আচ্ছা কমল?
আজ রাতে যদি বৃষ্টিরা নামে এই উত্তপ্ত মাটিতে?
প্রবল বেগে,প্রকৃতির অদৃশ্য তনয়ার অশরীরী নৃত্যে?
অদেখা কোনো এক নূপুরের অমায়িক তালে?
তুমি নাই পাশে, এই উন্মত্ত ঝুমঝুমানির সময়ে!
কিন্তু আছো জানি,একই পৃথিবীর কোনো এক কোনায়,
চাঁদের আলোয় ভেসে যাওয়া কদম্ব বাগিচায়।
একই বৃষ্টিকে মাখিয়ে নিচ্ছো তোমার ঐ কাঁধে।
কল্পনায় রেখেছো মোরে পাশে,
চেয়ে আছো চাতক দৃষ্টিতে,কবিতার আশে।
আমি ছড়িয়ে দেই আমার প্রেমের ডানা,
খুলে দেই হৃদির জানালা,
ঊর্মির স্বরে বকে যাই কবিতার লাইন।
একে একে ভেঙে দেই আমি,
কামিনীকুঞ্জের দুর্ভেদ্য তালা!
কমলিনী,
আমি থামতে পারিনাই, পারিনাই!
আমাকে থামতে দেয়নি-তোমার ঐ চোখ!
যে চোখে আমি দেখেছি প্রাচী-প্রতীচী;
এই মহাজগতের বিশালতার মাঝে পেয়েছি-প্রেমময় ঠাঁই।
কমলিনী,
আপনাকে তো আমার দরকার!
এই অনন্ত বিশাল মহাজগতে যারে আমি পাই-
অবিনশ্বর অনুরাগে,যা মহাবিশ্বের মতই বর্ধিষ্ণু!
তারে আমি ক্যামনে না চাই?
যারে মম মোর পিঞ্জরে বেঁধেছি প্রবল আন্দোলনে,
বেঁধেছি ভালোবাসায়,তারে ক্যামনে না পাই?
তারে ক্যামনে দেই বিদায়?
ক্যামনে না তারে আমি চাই!
আলমাস আহমদ
১০/৫/২৩
গঠনমূলক মন্তব্য করে জানাবেন কবিতাটি কেমন হয়েছে।কবিতাটি আমার কাল্পনিক প্রেমিকাকে উৎসর্গ করে লেখা-একজন প্রকৃতি প্রেমিক মানুষের প্রকৃতির সবচাইতে সুন্দর সময়-উন্মত্ত বৃষ্টির মাঝে প্রিয়াকে পাওয়ার প্রবল আকাঙখা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি।
আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আরো পড়ুন-
- বাংলা সাহিত্যের পঞ্চপান্ডব
- স্যামন মাছ
- সয়া সসের উপকারিতা
- সৌরজগতের গ্রহগুলোর চিত্রসহ বর্ণনা
- ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা
