গল্প ফাঁসি আফছানা খানম অথৈ

0ফাঁসি আফছানা খানম অথৈ মিন্নি বাবা মায়ের একমাত্র আদরের মেয়ে।পড়া লেখায় মোটামুটি ভালো।সবেমাত্র ইন্টারমিডিয়েটে পা দিয়েছে।এরই মধ্যে রিফাত নামের একজনের সাথে পরিচয় হয়।রিফাত ডিগ্রীতে পড়ে।দুজনের মাঝে ভালো ভাব সাব তৈরী হয়।ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা তারপর একে অপরকে গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড ভাবতে শুরু করে।রিফাত মিন্নির মতো একজন গার্লফ্রেন্ড পেয়ে খুব খুশি।মিন্নির ও একই অবস্থা।দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে।একে অপরকে

“রূপকথার গল্পে আমি”-২০

0(২০) আমি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ছি। এই দুই তিন বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমার অনেক বান্ধবির বিয়ে হয়ে গেছে। আমি এখন বাস্তবতা সম্পর্কে অনেক কিছু উপলব্ধি করতে শিখেছি। ছোট ছিলাম নিজের চিন্তা ধারার পরিসর সিমাবদ্ধ ছিল কিন্তু এখন বয়স হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে শিখেছি “নিজের চিন্তাধারার নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে এক বিশাল জগৎ আছে- সেখানে মানুষ

গল্প অসহায় রহিমা আফছানা খানম অথৈ

0অসহায় রহিমা আফছানা খানম অথৈ রহিমা হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে।বিবাহিতা জীবনে সে খুব কষ্টে আছে।স্বামী ঠিকমতো ভরণ পোষন দিতে পারছে না।স্বামী কুদ্দুস ছিল অকর্মা ঢেকি।একদিন কাজ করলে তিন দিন বসে বসে খাই।কিছু বললে রহিমার গায়ে হাত তোলে মারধর করে।রহিমার হয়েছে যত জ্বালা।সে না পারে সইতে,না পারে কইতে।নীরবে মুখ বুঝে স্বামীর সকল নির্যাতন সহ্য করে।কিন্তু এভাবে

“রূপকথার গল্পে আমি”-১৯

0( অনেকদিন পর আজকে (১২.১২.২০২৩) আবার লিখতে বসেছি। ২০০৮ সালে লিখা শুরু করেছিলাম। আঠারো তম পর্ব পর্যন্ত লিখা ছিল। আজকে থেকে গল্পের বাকি অংশ লিখব।)   (১৯) অনার্সে ভর্তি হয়ে যাই। নিজ বাড়ি থেকেই অধ্যয়ন শুরু করি। বাড়িতে অধ্যয়নের এই নতুন অধ্যায়ে আমি পুরোনো স্বাধীনতা অনুভব করি। সেই ছোট ক্ষণগুলি, পুরনো স্মৃতির স্থান, সবসময় আমার

“রূপকথার গল্পে আমি”-১৮

0(১৮) হাসি খুশি আনন্দ বেদনা ফুর্তি আমোদ, সবকিছু মিলিয়ে কিভাবে যে তিন বছর কেটে গেল বুঝতেই পারিনি। ইন্টার ফাইনাল এক্সেম শেষ করেছি। তিন মাস পর রেজাল্ট দেবে। বাড়ীতে চলে আসি। বাড়িতে এসে নিহার বিয়ের ইনভাইটেশান কার্ড পাই। আমরা বান্ধবি সবাই মিলে বিয়েতে খুব ফুর্তি করি। আমার মনে মনে আছে অনিকের কোন খবর পাই কি না।

গল্প সৎ ভাই আফছানা খানম অথৈ

0সৎ ভাই আফছানা খানম অথৈ কাব্যর বয়স যখন সাত বছর তখন তার বাবা-মা দুজনে মারা যায়।এখন আপন বলতে তার আর কেউ নেই।একমাত্র বড় বোন আরিফা এখন তার অবিভাবক।আরিফার মা মারা যাওয়ার পর কাব্যর মাকে বিয়ে করে তার বাবা।কাব্যকে দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয় বড় বোন আরিফাকে।কিন্তু সে নিতে নারাজ। তবুও গ্রামবাসী অনেক বুঝিয়ে কাব্যকে তার

“রূপকথার গল্পে আমি”-১৭

0(১৭) কুলাউড়াতে আসার পনের দিন পর বিকেল বেলা বসে আছি পুকুরের পশ্চিম পাড়ে, একটা তাল গাছের নিচে। শরণ পুকুর ঘাটে বসতে এসে আমাকে দেখে ওখানে এসে সেও বসে। কেমন আছ অধরা? কবে আসলে? দু সপ্তাহ হয়ে গেছে! দু সপ্তাহ! ওহ এই দু সপ্তাহ আমি অফিসের কাজে এত ব্যস্ত ছিলাম একদম সময় পাইনি তাই তোমার সাথে

গল্প আজব শহর ঢাকা আফছানা খানম অথৈ

0আজব শহর ঢাকা আফছানা খানম অথৈ এই প্রথম ঢাকায় আসলাম।গুলিস্তান স্টেশন থেকে গাড়িতে উঠলাম মুহাম্মদপুর যাব।লোকান গাড়ি মানুষভরা। কোন সিট খালী নেই।তবুও মানুষ উঠছে।জরুরী ভিত্তিতে মুহাম্মদপুর যেতে হবে।মায়ের অসুখ ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।এক্ষণি না গেলে নয়।তাই আমি ও উঠে পড়লাম।কি আর করা অন্যদের মতো আমিও দাঁড়িয়ে রইলাম।গাড়ি চলছে তার আপন নিয়মে।ভালোই লাগছে বাসে ঝুলে ঝুলে

“রূপকথার গল্পে আমি”-১৬

0(১৬) আমি-রাহি মিলে একটার পর একটা দুষ্টামী করে যাচ্ছি। দিনগুলো খুব ই ইনজয় করতেছি। রাহি খুব সাহসী একটা ছেলে। ছুটির দিন শরণ তার রুমে ঘুমিয়ে আছে। দুপুরের দিকে রাহি একটা খামের উপরে শরণের নাম লিখে বেশ কটা তেলাপুকা ধরে খামের মধ্যে ঢুকিয়ে শরণের রুমের জানালা দিয়ে চুপি চুপি টেবিলের উপর রেখে চলে আসে। শরণ ঘুম

“রূপকথার গল্পে আমি”-১৫

0  (১৫) এক সপ্তাহ পর। কলেজ থেকে আসার পথে এক বান্ধবীর বাড়িতে যাই। সে আজ কলেজে আসেনি তাই ভাবলাম দেখে যাই। তবে এর ও পেছনে একটা উদ্দেশ্য আছে। সেটা হল ওদের বাড়িতে চন্দ্রমল্লীকা ফুলের গাছ আছে। এখন প্রয়োজন এই ফুলের। তাদের বাড়িতে গিয়ে সোজা রিয়ার রুমে যাই, দেখি রিয়া পত্রিকা হাতে নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে।