গল্প বিয়ের ফাঁদ আফছানা খানম অথৈ

0বিয়ের ফাঁদ আফছানা খানম অথৈ আফজাল শিকদার একজন বড় ব্যবসায়ী। দেশে বিদেশে তার অনেক নাম ডাক।তিনি সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।কিন্তু তিনি লোক চক্ষুর আড়ালে অনেক অপকর্ম করেন।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার ছিলেন।যার কারণে অনেক সম্পদের মালীক হয়েছেন।এক সময় তিনি গ্রামে ছিলেন।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গা ঢাকা দেয়ার জন্য শহরে চলে যান।তারপর তিনি আফজাল থেকে

“রূপকথার গল্পে আমি”-১৪

0(১৪) এখন বসন্ত কাল। ফাল্গুন ও চৈত্র এ দু’মাস বসন্ত কাল। বসন্ত কালকে ঋতুরাজ বলা হয়। এ সময় চারদিকে ফুটে হরেক রকমের ফুল। আমের ডালে নতুন মুকুলে মৌমাছি গুনগুণ করে। বসন্ত নিয়ে লেখা হয়েছে কত কাব্য কত কবিতা। বসন্ত কবির চোখে ঋতুর রানী। প্রকৃতির যৌবনা রূপের প্রতীক। বসন্তে বনে বনে ফুল ফুটে। সবুজ পাতায় পাতায়

“রূপকথার গল্পে আমি”-১৪

0(১৪) এখন বসন্ত কাল। ফাল্গুন ও চৈত্র এ দু’মাস বসন্ত কাল। বসন্ত কালকে ঋতুরাজ বলা হয়। এ সময় চারদিকে ফুটে হরেক রকমের ফুল। আমের ডালে নতুন মুকুলে মৌমাছি গুনগুণ করে। এ সময় নাকি কোকিল মিষ্টি সুরে গান করে কবি লেখকের ভাষায়, আমি বলি বসন্তের কালে কোকিল ডাকে, আর এমনিতেই কোকিলের ডাক সুমধুর। বিকেলের দিকে রাহিকে

গল্প পুতুলের বিয়ে আফছানা খানম অথৈ

0পুতুলের বিয়ে আফছানা খানম অথৈ পুতুলের বয়স সবেমাত্র বারোতে পড়েছে।এতটুকুন মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে।পুতুলের মা-বাবার আর তর সইল না।সত্যি তাকে বিয়ে দিয়ে দিলো।পুতুলকে বউ সাজিয়ে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। সে কী! আচমকা সে বলে উঠল, তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?আমি যাব না। সে কীরে মা,এটা শ্বশুর বাড়ি, যেতে হবে তো? না মা

“রূপকথার গল্পে আমি”-১৩

0(১৩) শরণের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে অনিকের কথা খুব মনে পড়ছে! কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। সারা সন্ধ্যে আনমনা হয়ে বসে ভাবছি অনিকের সাথে আমার তো অন্য কোনো সম্পর্ক নেই তাহলে অনিকের কথা মনে পড়লে আমার অন্য রকম লাগে কেনো? অনিক বিদেশ চলে গেল। সে আমাকে কিছু বলে যেতে পারতো না? আর আমি ই

গল্প সুখী সংসার আফছানা খানম অথৈ

0সুখী সংসার আফছানা খানম অথৈ সালমার বিয়ে হয়েছে আজ পাঁচ বছর।স্বামীর সংসারে বেশ সুখে আছে তবুও কেনো জানি অভিযোগ।এত সুখের পর ও সে কেনো জানি অসুখি।স্বামীর প্রতি সন্তুষ্ট না।কারণ তার বাড়ি গাড়ি নেই।তার সই তানহা খুব সুখে আছে তার বাড়ি গাড়ি সব আছে।সুখ যেন তার সংসারে উপছে পড়ছে।এই নিয়ে প্রায় সময় স্বামী সাব্বির’র সঙ্গে কথা

“রূপকথার গল্পে আমি”-১২

0  (১২) কুলাউড়ার সঞ্চয়পুর গ্রামে বিরাট এরিয়া জুড়ে একটা বাড়ি। বাড়িটার গেট পেরুলে চুখে পড়ে লম্বা টঙ্গীঘর। এই টঙ্গীঘরের জন্য বাড়িতে ঢুকলে মনে হয় এই বাড়িটা প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে একটা। টঙ্গী ঘরের পিছনে বিশাল এরিয়া জুড়ে পশ্চিমে ও পূর্বে দুইটা একতলা বিল্ডিং। উত্তর দিকে একটা বড় ফুলের বাগান আছে। তার ও পিছনে সবজি বাগান। যে

“রূপকথার গল্পে আমি”-১১

0(১১) আমার পড়ালেখা এখন থেকে কুলাউড়াতেই হবে। এই অধিকারটুকু অনেক চেষ্টার ফলে আদায় করে নিয়েছেন খালামনি। মা রাজী হননি প্রথমে তার পরে ভাবলেন “বোনের কোন মেয়ে নেই এমনিতে তার অনেক কষ্ট আর সারা জীবনের জন্য তো মেয়েকে দিয়ে দেবো না। মাত্র ক’বছর ওখানে থেকে পড়াশোনা করবে”। এসব ভেবে মা রাজী না হয়ে পারলেন না। তো

গল্প ছোট মেয়ে আফছানা খানম অথৈ

0ছোট মেয়ে আফছানা খানম অথৈ হালিমা বজল মাস্টারের বাসার সামনে এসে দরজায় নক করলো।খড়খড় শব্দ শুনে এগিয়ে আসল বজল মাস্টারের স্ত্রী ফারহানা।দরজা খুলতেই দেখতে পেলো তেরো চৌদ্দ বছরের একজন যুবতি মেয়ে হাতে একটা কাপড়ের পুটলা, দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।তিনি প্রথমে মেয়েটির আপাদমস্তক দেখে নিলো।কিন্তু তাকে চিনতে পারলেন না।তবে মেয়েটি কে?প্রশ্নগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।মেয়েটি ও হা

“রূপকথার গল্পে আমি”-১০

0(১০) ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামায পড়ে মর্নিং ওয়াকে বের হয়েছি। খোলা মাঠের দিকে যাই। শীতকাল, পৌষ ও মাঘ এ দু’মাসে খুব বেশি শীত পড়ে। অগ্রহায়ণ ফাল্গুনে ও শীত অনুভূত হয়। এখন পৌষ মাস। গত মাসের চেয়ে এ মাসে আরেকটু বেশি শীত। শীতের সকালের কুয়াশা দেখে মনে হয় যেন প্রকৃতি নিজেকে সাদা চাদরে আবৃত করে