0দেমাগ আফছানা খানম অথৈ রাজ সবেমাত্র শহর থেকে ফিরেছে।ষ্টেশনে নেমে দাঁড়ালো, হুম একি দেখল! এক ষোলো সতেরো বছরের তরুণী হেলে দুলে হাসতে হাসতে রাজের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে।রাজের পলক যেন পড়ছে না।সে অপলক চোখে তাকিয়ে আছে।পরক্ষণে সে ও রওয়ানা করলো।দুজন একই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।কিছুদূর যাবার পর দেখল মেয়েটি তাদের পরিচিত মাস্টার বাড়িতে ঢুকে পড়লো।রাজ বলে
Category: বাংলা গল্প
0ফাঁস আফছানা খানম অথৈ শরাফাত বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। তিন বোনের একমাত্র ভাই।।বাবা মাদরাসার প্রিন্সিপাল। বাবা-মা দেখে শুনে একজন গভ:মেন্ট প্রাইমারি স্কুল টিচারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছেন।একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা।আত্নীয়-স্বজন ফ্রেন্ড সার্কেল ও সম্মানীয় কিছু লোকজন দাওয়াত করলেন।জাস্ট টাইমে বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো।একমাত্র ছেলেকে বর সাজিয়ে আত্নীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রায় দুশত লোকজন নিয়ে বাবা আবদূর রহমান
0তনিমা এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না যে সে সানভির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সানভির সামনে দাঁড়ানোটা কোনো সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা। ওদের দুজনের দেখা করার জায়গাটা হচ্ছে জেলখানা। কারণ সানভি একজন আসামী। যে সে আসামী নয়, খুনের আসামী। তবে এটা যে মিথ্যা তা তনিমা ভাল করেই জানে। শুধু জানেনা কেন সানভি নিজে
0আমি তোমার মা আফছানা খানম অথৈ প্রিয়া আর সবুজ’র পাঁচ বছরের রিলেশন।রাত জেগে ফোনালাপ চ্যাটিং।দুজনের মাঝে গভীর ভালোবাসা।একে অপরকে এক পলক না দেখে থাকতে পারে না।কোন কারণে একদিন দেখা না হলে অবিভাককের চোখে ধুলো দিয়ে দুজন গোপন অভিসারে মিলিত হয়।একে অপরের মাঝে ভালোবাসা যেন উপছে পড়ছে।ঠিক সেই মূহূর্তে টের পেয়ে গেল প্রিয়ার মা।তাই প্রিয়াকে না
0স্বপ্ন যখন দুঃস্বপ্ন আফছানা খানাম অথৈ জান্নাত বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সবেমাত্র অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হলো।এখনো ভালো ভাবে কারো সাথে পরিচিতি ও বন্ধুত্ব গড়ে উঠেনি।ষ্টেশনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে।গাড়ি আসতে লেট হলো তাই অনেক্ষণ দাঁড়াতে হলো।এমন সময় একটা ছেলে এসে বলল, “এক্সকিউজ মি”। জান্নাত বেখেয়ালি ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।তখন ছেলেটি আবার বলল, হ্যালো শুনতে পাচ্ছেন? এবার
0অফুরন্ত ভালোবাসা আফছানা খানম অথৈ সোহম ও সুমি দুজন ছোট বেলার বন্ধু।সোহম পরিবারের বড় ছেলে।সুমি পরিবারের ছোট মেয়ে। দুজনের বাবা সরকারী কর্মকর্তা।পাশা-পাশি ফ্ল্যাটে তারা থাকে।ছোট বেলার পুতুল খেলার মধ্য থেকে দুজনের বন্ধুত্ব হলো।একে অপরের মাঝে খুব বন্ধুত্ব।স্কুল থেকে ফেরার পর দুজনে এক সঙ্গে খেলাধুলা ছুটাছুটি মাতিয়ে তুলে পুরো বাড়ি।পাশের বাসার ভাড়াটিয়ারা তাদের দুষ্টমির জন্য খুব
0বোকা মা আফছানা খানম অথৈ কদমের তিনদিন ধর খুব জ্বর।তার বাবা গরীব মানুষ কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকে সারাক্ষণ।কারণ একদিন কাজ না করলে উপোস কাটাতে হবে যে।এজন্য ছেলেটার দিকে তেমন একটা খেয়াল দিতে পারছে না।এদিকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া হালিমার কাগজ কলম কিনে দিতে পারে নাই বিধায় স্কুলের টিচার’রা বুক বকাঝকা করে।হালিমা স্কুল থেকে ফিরে উঁ উঁ
0বিয়ের নামে দেহ ব্যবসা আফছানা খানম অথৈ আঁখি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মেয়ে। বাবা ব্যবসা করেন,ফ্যামিলি স্ট্যাটার্স মোটামুটি ভালো।আঁখি হোস্টেলে থেকে লেখা পড়া করে।তারা একই রুমে আটজন থাকে।সিট অবশ্য আলাদা,একমাত্র আখি ছাড়া সবাই প্রেমের রিলেশনে জড়ানো।সন্ধ্যার পরপরই সবাই গল্প-সল্প আর ফোনালাপন নিয়ে ব্যস্ত।আখি খুব বিরক্তবোধ করত তবুও কিছু বলতো না।কারণ কারো ব্যক্তি স্বাধীনতার
0অকৃতজ্ঞ স্বামী আফছানা খানম অথৈ পঞ্চাশ বছরের খালেক বেপারী দ্বিতীয় বিয়ে করে বউ নিয়ে হাজির।ঘরের দরজায় এসে কড়া নাড়ে।প্রথম স্ত্রী অজিফা ভিতর থেকে আওয়াজ তোলে, কে ওখানে? কোন আওয়াজ নেই।আবার ও কড়া নাড়ে।এবার অজিফা আর থেমে থাকল না।হাতের কাজ ফেলে তড়িঘড়ি করে দরজা খোলে দিলো। সে কী!তার স্বামী দাঁড়িয়ে আছে।পাশে বউ বেশে দাঁড়িয়ে আছে পনেরো
0লাল পাঞ্জাবি আফছানা খানম অথৈ অয়নের বয়স সাত আট বছর হবে।তার সখ ঈদে একটা লাল পাঞ্জাবী কিনবে।কিন্তু টাকা কোথায় পাবে?তার মা-বাবা বেঁচে নেই।এই জগতে সে বড় একা,আপন বলতে তেমন কেউ নেই।ভবঘুরের মতো সারাদিন ঘুরে বেড়াই।একটা দুটো টাকার জন্য লোকের দুয়ারে ধর্না ধরে।কেউ দেয়, কেউ দেয় না।কেউ আবার দুচারটা কড়া কথা শুনিয়ে তাড়িয়ে দেয়।রাতে থাকার জায়গা