Post
Category: বাংলা গল্প
নাইরা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে গান গাইছিল। হঠাৎ আকাশ ভেদ করে এক আলো নেমে এল, আর সেখানে দেখা দিলেন দেবী অ্যাথেনা। তাঁর চোখে ছিল জ্ঞানের দীপ্তি, হাতে ছিল এক সোনালি হার্প। দেবী বললেন—
“হে মেয়ে, তোমার সুর স্বর্গেরও হৃদয় ছুঁয়েছে। আমি তোমাকে দিচ্ছি এই হার্প। কিন্তু মনে রেখো—এটি বাজাতে পারবে কেবল সেই হৃদয়, যেখানে নেই হিংসা, নেই লোভ, আছে শুধু নির্মল ভালোবাসা।”
নাইরা যখন হার্পের তারে হাত রাখল, চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল আলো, বাতাসে ভেসে উঠল এমন এক সুর, যা শুনে নদীর জল থেমে গেল, আর তারারাও যেন আকাশে থমকে দাঁড়াল।
“ঢেউ থেমে গেছে। বাতাস স্তব্ধ। অন্ধকারের মাঝখান থেকে ভেসে আসছে এক সুর—মোলায়েম, গভীর, আর হৃদয়বিদারক। চাঁদের আলোয় দেখা দিল সে—লম্বা চুলে মুক্তোর ঝিলিক, চোখে অদ্ভুত নীল আভা। তার দৃষ্টি যেন সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা সব রহস্য একসাথে ফাঁস করে দিচ্ছে।
—‘আমাকে ভুলে গেছ?’
আরিবের বুক ধক করে উঠল।
—‘আমি তো তোমাকে কখনো দেখিনি।’
সে হেসে বলল,
—‘দেখেছ… জন্মের আগেই।’”
0এক গ্রামে মাহিন নামে এক দুষ্টু ছেলে ছিল । সে অনেক দুষ্টু ছেলে ছিল । স্কুলে বাংলা ক্লাস । সে কোনো পড়াই শিখেনি । সে বলে, স্য়ার আমি পড়া শিখি নাই । স্য়ার বলে , তোকে এখন আমি কি শিক্ষা দিতে পারি বলতো ? মাহিন বলে, স্য়ার ছাত্র পড়া না শিখলে মারা উচিত । শিক্ষা
নীলা, এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়, জানালার পাশে বসে বাইরে ঝরানো বৃষ্টির ফোঁটার মধ্যে নিজের অভিমান ও নিঃসঙ্গতা খুঁজে পায়। মেধাবী এই মেয়েটি তার পরিবারের অবহেলা আর সমাজের অবিচারের মধ্য দিয়ে একাকী লড়াই চালিয়ে আসছে। কিন্তু যখন পাশের ফ্ল্যাটের অ্যাডভোকেট রহস্যময়ভাবে খুন হয়, নীলা তার বুদ্ধি ও সাহস দিয়ে সেই অমীমাংসিত হত্যাকাণ্ডের পেছনের সত্য উন্মোচনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাধা ও হুমকির মুখে থেকে, সে নিজেকে প্রমাণ করে—নিজের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলা সম্ভব।
0চন্দ্রবিল—নামটা শুনলেই কেমন যেন একটা ঠাণ্ডা শিরশিরে ভাব চলে আসে। গ্রামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত এক পুরনো, ধ্বংসপ্রায় বাড়ি, যার পেছনে রয়েছে বিস্তীর্ণ একটি জলাশয়। কুয়াশা ঢাকা সেই বিলটি আজও জোছনার রাতে অদ্ভুত শব্দে গমগম করে। কেউ বলে, সেখানে চাঁদের আলোয় নাকি এক সাদা শাড়ি পরা মহিলা হাঁটে—চোখ দুটো তার কালো গহ্বরের মতো ফাঁকা, পা দুটো
0 লেখিকা :লামিয়া পার্ট:১ ঢাকার ব্যস্ত শহর যেন কখনও থামে না। বিকেল নামছে ধীরে ধীরে, সূর্যটা ঝিমিয়ে পড়েছে, কিন্তু শহরের হর্ন আর ধোঁয়া থামেনি। ঠিক এমন এক বিকেলে কলেজগেট পেরিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ইয়ানা শেখ। ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, শান্ত স্বভাবের হলেও চোখে মুখে প্রাণবন্ত একটা আভা। হাতে তার প্রিয় ডায়েরি আর কাঁধে একটা নীল ব্যাগ।
0গল্প: অপেক্ষা লেখক: মো: আবিদ রানা রিমি প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরেই বারান্দায় বসে। তার চোখ সব সময় খোঁজে একটা চেনা ছায়া—তন্ময়ের ছায়া। ছেলেটা পাশের বাড়িতে থাকে, কিন্তু কখনো সোজাসুজি কথা হয়নি ওদের। শুধু চোখে চোখে কথা হতো। কখনো স্কুলের পথে, কখনো ছাদে দাঁড়িয়ে। তন্ময় একদিন চলে গেলো—মায়ের চাকরির বদলিতে অন্য শহরে। যাওয়ার আগে একটা চিরকুট
0গল্প সিয়ামের স্বপ্ন আফছানা খানম অথৈ দশ বছরের সিয়াম কমলাপুর রেল ষ্টেশন এ থাকে।তার ঘরে খুব অশান্তি। এক মুহুর্তের জন্য ভালো লাগছে না।তাই কমলাপুর রেল ষ্টেশন থাকছে, খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে। সিয়ামের বাবা একজন নেশাখোর জুয়াড়ি।কোনো কাজকর্ম করত না।স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালাত।এতেও স্বামী সন্তুষ্ট না।স্ত্রীকে রোজ রোজ কারণে অকারণে মারধর করত। স্ত্রী মুখ বুঝে