ছোট গল্প (আত্মগ্লানী)

play icon Listen to this article
0

আত্মগ্লানী🥀

 

” এই আনিকা তুই কেনো সাওনকে বলতে গেলি যে আমি মামার বাড়িতে গেছি ”

“কেনো কি হয়েছে? ”

“কি আবার তাকে কেনো বলে যাইনি এসব নিয়ে অনেক ঝামেলা করছে। তোকে আমি বলেছিলাম এসব বলতে। ”

“সরি রে ভুল হয়ে গেছে আর বলবো না ”

“ধুর আবারো একি ভুল এই জীবনটাই একটা সমস্যা। ধ্যাৎ, যেখানে যেই কথায় বলি না কেনো প্রবলেম তো হবেই। ধুর কবে এই অশান্তি থেকে মুক্তি পাবো ”

———জীবন কারো কাছে স্বর্গীয় কারো কাছে নরকীয়। কেউ কেউ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থেকে আনন্দ পায়। আবার কেউ অন্যের উপকারে।

কিন্তু ব্যতিক্রম কিছু মানুষ ও আছে। যাদের আচার ব্যবহার কোনো সাধারণ মানুষ লক্ষ্য করলে পাগল উপাধি দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না।

তাদের কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হচ্ছে সব কিছুতে নিজের নাহলে অন্যের দোষ ধরা।

সে যাই হোক কিছুক্ষণ আপনারা যে আনিকা কথা শুনেছেন সে হচ্ছে এই টাইপের মানুষ। কিন্তু তা কারো কাছেই প্রদর্শনীয় নয় মানে কেউই তা জানে না।

 

“উফফ আবার একই ভুল 😣।আনিকা ইউ আর এ ফুল। তোর কিছু হবে না,,,ধুর ”

আনিকা বসে বসে এইসব ভাবছিলো কারণ সে আবারো একই ভুল করেছে অর্থাৎ সে তার ফ্রেন্ড মুক্তার বিএফকে আবারো বলে দিয়েছে যে মুক্তা তার বিএফ কে না জানিয়ে মার্কেটে গিয়েছে তাও নিজের কাকাতো ভাইকে নিয়ে। যার জন্য মুক্তা তাকে কম বেশ অনেক কথায় শুনিয়েছে।

“একটা কাজ যদি ঠিক ভাবে করতে পারি সব কিছুতেই ভুল। আমার জম্মটাই ভুল ধ্যাৎ। ইশ কেনো যে নিজের উপর কন্ট্রোল করতে পারি না।

নাহ কালকে থেকে সব একদম ঠিকভাবে করবো আর ভুল না। কালকে শুধু পড়ালেখায় মন দিব অন্য কিছুই না।”

সেই কালকে আর আসলো না😒

 

After some month,,,

“সারাদিন শুধু ফোন আর ফোন। না পড়া লেখা না ঘরের কাজ কর্ম কিছুই না। দেখবো তো বিয়ের পরে কি করে। যখন শ্বাশুড়ি বকা দিবে তখন এই মায়ের কথা গুলাই মনে করে কান্না আসবে বলে দিলাম ”

“উফ মা ”

এই কথা মাকে সরাসরি বললেও মনে মনে ভাবছে “আমি একটা মেয়ে হওয়ার ও যোগ্য না। না মাকে হেল্প করতে হবে কালকে থেকে হেল্প করবো 🥴।ভোরে উঠে ঘরের সকল কাজ শেষ করে ফেলবো। এতো কাজ করবো যে আর মোবাইল ধরার টাইম ও পাবো না। ”

পরের দিন সকালে,,

এলার্ম এর শব্দে আনিকা উঠে বসে। “আর এ আজ তো কাজ করার কথা। 😴থাক এখন অনেক ঘুম ধরছে এমনিতে শ্বশুর বাড়িতে গেলে অনেক কাজ করতে হবে। এখন এইখানে বিশ্রাম নেই। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানাবো নে 😴”

এই ঝামেলা ওই ঝামেলা মেলা সব সময় আনিকার পিছু ছাড়েই না। সে নিজেকেই সব ঝামেলার দোষী মনে করে আর বেশি ঝামেলাই পড়লে সুইসাইড করার চেষ্টা করে।

এভাবেই কলেজ জীবন পেড়িয়ে বিবাহিত জীবনে পদার্পণ করেছে ১ মাস হয়েছে।

“উফ আনিকা তোমার প্রবলেম টা কি। আমার আর তোমাকে সহ্য হচ্ছে না। তোমার মতো একটা ক্যারেক্টারলেস মেয়ের সাথে আমি থাকতে চায় না। আমার ডিভোর্স চায় ”

এই শুনে আনিকা ভাবছে,,

” আমারই দোষ আমি কেনো একটু সুন্দর হলাম না। এজন্য উনার আমাকে পছন্দ না। আমি মা বাবাকে কি বলবো এখন। আমি কোন মুখে বাবার কাছে যাবো। সব দোষ আমার আমি যদি একটু রান্না শিখে আসতাম এতো ঝামেলাই হতো না। কেনো কেনো আমি নীলের সাথে কথা বলতে গেলাম আমি ওই বাজে। নাহলে একটা ছেলে কথা বলতে আসলো আর আমি কথা বলতে চলে গেলাম ছিহ।আমার নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে। এই জীবন আর রাখবো না আমি ।

 

তারপর আনিকা নিজের জীবন থেকে বিদায় নেয়।।।

এখন আসি আসল ঘটনায় আসি মেঘ আনিকার স্বামী যে আনিকাকে বিয়ে করতে রাজিই ছিল না। সে একটা মেয়েকে ভালোবাসতো আর তাকেই বিয়ের কথা পরিবারকে জানালে। মেঘের মা বাবা সরাসরি না করে দেয়। কারণ তারা তাদের একমাত্র ছেলেকে নিজের পছন্দের মেয়ের সাথেই বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তারপর আর কি মেঘকে জোর করে আনিকার সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সব ঠিক থাকলেও মেঘ আনিকাকে মেনে নিতে পারেনি। সে আনিকা সবসময় আনিকা কালো, আনিকা ভালো রান্না পারে না আরো অনেক কিছু এমনকি মেঘ তার মা-বাবার সাথেও আনিকার রিলেশন খারাপ করে দেয় মিথ্যা নাটক করে। যখন কোনো কিছুতেই আনিকা ছেড়ে যাচ্ছিলো না তখন সে তার বন্ধু নীলের সাথে এক ভয়াবহ পরিকল্পনা করে। এবং তাতে সফল ও হয় আনিকাকে ক্যারেক্টারলেস প্রমাণিত করে। আর তাতেই আনিকা নিজের আত্মগ্লানিতে মৃত্যুবরণ করে।

🍁আত্মগ্লানী💔

 

Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

rarpita

Author: rarpita

অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করার আগে নিজেকে দেখুন

Related Posts

শান্তির ঘাঁটি

রোজার মাসের চাঁদ উঠেছে খুশি মুমিন বান্দা, ফরজ রোজা পালন করবে ছেড়ে সকল ধান্দা। প্রভুর হুকুম পালন করতে রাখে ফরজ

নারী পুরুষ

  মানুষ ভাবে…. দুই ভাগেতে নারী পুরুষ জাত, সমান ভাবে দেশের কাজে আছে সবার হাত। নারী পুরুষ মিলে লড়ছে বিভেদ

প্রতিশ্রুতি

মহান উত্তম শাবান মাসের শবে বরাত রাত, মুসলিম উম্মা আজ প্রার্থনায় উঠায় যে দুই হাত। জিকির তালিম মশগুল বান্দা গভীর

ধান্দায় খাচ্ছে লুটে

মানুষ বাঁচে একশো বছর কিংবা তাহার কম, নিজের নজির প্রকাশ করে ছাড়ে গর্বের দম। দিবস রাতে টাকার পিছে শুধুই মানুষ

Leave a Reply