মানুষ:- ডাইনাসোর বিলুপ্তের পরপরি পৃথিবীতে মানুষের পদার্পণ।
তারপর সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষের উৎপত্তি
সৃষ্টির অন্যতম নিদশর্ন হিসেবে,
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব ত্নীক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তায়।
আবার মানুষ সৃষ্টির মাঝেই ধ্বংস।
এখন আমার প্রশ্ন :- মানুষ নিজেকে ক্ষমতাশালী ভেবে থাকে, সৃষ্টি হয়ে স্রষ্টার অস্তিত্ব বিশ্বাস করিতে চাই না, তাহলে কেন মানুষ অমর হয়ে বাঁচতে পারে না ?
জানি, এর সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারবে না
বিজ্ঞান আদৌ তার ব্যাখা দিতে পারবে না,
তারপর ও নিজেদের তুচ্ছ শক্তি ও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে স্রষ্টার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাবে অনেকাংশ মানুষ,
আর যারা মুমিন ব্যাক্তি আল্লাহকে চিনতে সক্ষম, আল্লাহকে না দেখিয়া উনার অস্তীত্বে বিশ্বাস করিতে সক্ষম, উনার হুকুম মেনে চলতে সক্ষম তারা কখনোই পথভ্রষ্ট হতে পারেনা।
এমন অনেক মানুষ আছে, যারা দাবী করে থাকে, আমি আল্লাহকে দেখি নাই, এতঅব আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করিতে চাই না,
সেটা যার যার অভিরুচি।
সেক্ষেত্রে আমি বলবো আমরা কি
অক্সিজেন খালি চোখে দেখিতে পারি ?
উত্তর আসবে না,
আমরা অনুভব করি।
তাহলে যেটা দাঁড়াচ্ছে সেটা হল
অক্সিজেন ও সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত।
আমরা সৃষ্টি হয়ে যদি সৃষ্টি না দেখিতে পারি
অনুভব করিতে হয়,
অক্সিজেন না দেখে তার উপস্থিতি বিশ্বাস করিতে হয়,
তাহলে কেমন করে স্রষ্টাকে না দেখে বিশ্বাস করিতে পারি না।
তাহলে কি সেটা অযুক্তিক দাবি হয়ে যাই না।
তাছাড়া আমরা মানুষ আমাদের চোখ দিয়ে আমাদের দেহের অনেক কিছু দেখিতে পারি না,
যেমন আমাদের চোখ আমরা দেখিতে পারি না
আয়নার সাহায্য ছাড়া।
আবার আমাদের মেরুদণ্ড বা পিছন দিকটা আমরা দেখিতে পারি না আয়নার সাহায্য নিয়ে ও
যেখানে আমরা সৃষ্টি হয়ে অনেক সৃষ্টি দেখিতে পারি না, যেমন নিজের চোখ দেখিতে পারিনা, মেরুদণ্ড বা পিছন দিকটা দেখিতে পারি না
তাই বলে কি বলতে পারবো আমার চোখ নেই, মেরুদণ্ড নেই।
ঠিক তেমনি আল্লাহকে না দেখে ও অবিশ্বাস করা যাবে না যে আল্লাহ নেই।
তাহলে ত এমনটা দাঁড়াবে, অক্সিজেনের অস্তিত্ব নেই, ত আমাদের চোখ কে আমরা দেখিতে পারি না আমাদের চোখের অস্তীত্ব নেই, আমাদের মেরদন্ডের অস্তিত্ব নেই।
এমনটা হয়ে যায় না।
তাই একটি কথা বলবো আমরা যা ভেবে থাকি, কল্পনা,করে থাকি,
দু”চোখে যা দেখে থাকি তা সবি যে সত্য আর ঠিক, তা কিন্তু নহে।
তার মাঝে ও লুকিয়ে থাকতে পারে হাজারো ভুল হাজারো মিথ্যে।
* মানুষ বিষয়ে আল্লাহপাক তার ঐশী বাণী কোরআনে যা লিখেছেন
তার বাংলা অনুবাদ
গভীর আগ্রহে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
* সূরা আদ-দাহর (মক্কায় অবতীর্ণ)
আয়াত সংখ্যা – ৩১
পারা- ২৯
সিজদা- নেই
রুকু – ২
সূরা নং: ৭৬
মানুষের উপর কি কালের এমন কোন ক্ষণ আসেনি যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না?
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, আমি তাকে পরীক্ষা করব, ফলে আমি তাকে বানিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন।
অবশ্যই আমি তাকে পথ প্রদর্শন করেছি, হয় সে শোকরকারী অথবা অকৃতজ্ঞ।
আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি শেকল, বেড়ি ও প্রজ্বলিত অগ্নি।
নিশ্চয় সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন পানপাত্র থেকে যার মিশ্রণ হবে কাফূর।
এমন এক ঝর্ণা যা থেকে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে, তারা এটিকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে।
তারা মানত পূর্ণ করে এবং সেদিনকে ভয় করে যার অকল্যাণ হবে সুবিস্তৃত।
তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্তেও মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে।
তারা বলে, ‘আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদেরকে খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান চাই না এবং কোন শোকরও না।
আমরা আমাদের রবের পক্ষ থেকে এক ভয়ংকর ভীতিপ্রদ দিবসের ভয় করি।
সুতরাং সেই দিবসের অকল্যাণ থেকে আল্লাহ তাদের রক্ষা করলেন এবং তাদের প্রদান করলেন উজ্জ্বলতা ও উৎফুল্লতা।
আর তারা যে ধৈর্যধারণ করেছিল তার পরিণামে তিনি তাদেরকে জান্নাত ও রেশমী বস্ত্রের পুরস্কার প্রদান করবেন।
তারা সেখানে সুউচ্চ আসনে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে। তারা সেখানে না দেখবে অতিশয় গরম, আর না অত্যাধিক শীত।
তাদের উপর সন্নিবহিত থাকবে উদ্যানের ছায়া এবং তার ফলমূলের থোকাসমূহ তাদের সম্পূর্ণ আয়ত্তাধীন করা হবে।
তাদের চারপাশে আবর্তিত হবে রৌপ্যপাত্র ও স্ফটিক স্বচ্ছ পানপাত্র-
রূপার ন্যায় শুভ্র স্ফটিক পাত্র; যার পরিমাপ তারা নির্ধারণ করবে।
সেখানে তাদেরকে পান করানো হবে পাত্রভরা আদা-মিশ্রিত সুরা,
সেখানকার এক ঝর্ণা যার নাম হবে সালসাবীল।
আর তাদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে চিরকিশোরেরা; তুমি তাদেরকে দেখলে বিক্ষিপ্ত মুক্তা মনে করবে।
আর তুমি যখন দেখবে তুমি সেখানে দেখতে পাবে স্বাচ্ছন্দ্য ও বিরাট সাম্রাজ্য।
তাদের উপর থাকবে সবুজ ও মিহি রেশমের পোশাক এবং মোটা রেশমের পোশাক, আর তাদেরকে পরিধান করানো হবে রূপার চুড়ি এবং তাদের রব তাদেরকে পান করাবেন পবিত্র পানীয়।
তাদেরকে বলা হবে) ‘এটিই তোমাদের পুরস্কার; আর তোমাদের প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসাযোগ্য।’
নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি পর্যায়ক্রমে আল- কুরআন নাযিল করেছি।
অতএব তোমার রবের হুকুমের জন্য ধৈর্য ধারণ কর এবং তাদের মধ্য থেকে কোন পাপিষ্ঠ বা অস্বীকারকারীর আনুগত্য করো না।
আর সকাল-সন্ধ্যায় তোমার রবের নাম স্মরণ কর,
আর রাতের একাংশে তার উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হও এবং দীর্ঘ রাত ধরে তাঁর তাসবীহ পাঠ কর।
নিশ্চয় এরা দুনিয়ার জীবনকে ভালবাসে আর তাদের সামনে রেখে দেয় এক কঠিন দিন।
আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এবং তাদের গ্রন্থি শক্ত করে দিয়েছি আর আমি চাইলে তাদের স্থানে (তাদের মত) মানুষ দিয়ে পরিবর্তন করে দিতে পারি।
নিশ্চয় এটি উপদেশ; অতএব যে চায় সে যেন তার রবের দিকে একটি পথ গ্রহণ করে।
তাতে ও এ কথা সুস্পষ্ট যে আল্লাহ তার বান্দা বান্দীদের মঙ্গল কামনা করে যাচ্ছে।
তাই সবাই গভীর চিন্তা করে দেখি
আল্লাহর একটি পথ গ্রহন করতে অসুবিধা হয় কিনা।
আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, তাই চলো আল্লাহর কাছে নিজেদের ভুলের জন্য মন থেকে তওবা করি, আর আল্লাহর দেখানো পথে চলি।
আরো পড়ুন-
খুব সুন্দর লিখেছেন