সিন্ধু সভ্যতা- লেখক ডট মি

সিন্ধু সভ্যতার পরিচিতি

play icon Listen to this article
0

সিন্ধু সভ্যতাকে বলা হয় ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা,কারণ এই সভ্যতায় কোনো লোহার জিনিস পাওয়া যায়নি।১৯২১ সালে সিন্ধু নদীর তীরে এই সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো বলে এই সভ্যতাকে “সিন্ধু সভ্যতা” বলা হয়।সিন্ধু সভ্যতার উদ্ভাবক দ্রাবিড় জাতি।আর সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কার করেছেন বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ জন মার্শাল,রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহনী।সিন্ধুর উপনদী রাভীর তীরে গড়ে উঠেছিলো হরপ্পা নগরী এবং মূল সিন্ধুনদের তীরে এক বর্গমাইল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিলো মহেঞ্জোদারো নগরী।সাড়ে তিন হাজার বছরের প্রাচীন এই নগরী।মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা নগরীতে হাড় ও পাথরের তৈরি সীলমোহর পাওয়া গেছে।ব্যবিলন সভ্যতার অধিবাসীদের সাথে সিন্ধু উপত্যকার অধিবাসীদের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। জন মার্শাল মনে করেন, খ্রিস্টপূর্ব ৩২৫০-২৭৫০ অব্দের মধ্যে সিন্ধু সভ্যতা গৌরবের শিখরে উঠেছিলো।এ সভ্যতার বেশিরভাগ লোক কৃষিকাজ করতো।

সিন্ধু সভ্যতার অবদান

পরিকল্পিত নগরীর ধারণা প্রথম সিন্ধু সভ্যতা থেকেই আসে।এই সভ্যতায় হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো উভয় শহরেই রাস্তার দুই পাশে দোতলা/তিনতলা বাড়ি ছিলো।এই বাড়িগুলোতে থাকতো চৌবাচ্চাসহ গোসলখানা এবং কূপ।এছাড়া,দুইটি শহরেই পাকা নর্দমা ছিলো।
আমরা বর্তমানে নানা রকমের দ্রব্যের ওজন পরিমাপ করি।এই পরিমাপ পদ্ধতি প্রথম সিন্ধু সভ্যতাই আবিষ্কার করেছে।তারা বিভিন্ন রকম বাটখারা ব্যবহার করতো,দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য ব্যবহার করতো বিভিন্ন রকম স্কেল।

সিন্ধু সভ্যতার পতন

সব সভ্যতাই একদিন না একদিন ধ্বংস হয়েছে। সিন্ধু সভ্যতার পতন কীভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।তবে পণ্ডিতগণ মনে করেন,বহিঃশত্রুর আক্রমণ, প্রচন্ড ভূমিকম্প কিংবা ভয়াবহ কোনো বন্যার  ফলে আনুমানিক ২৭৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এ সভ্যতার পতন ঘটে।

Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

Shifa

Author: Shifa

আল্লাহ যা করবেন কল্যাণের জন্য করবেন 🙂

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

রমজান

মুমিন বান্দার মাঝে আসলো বছর ঘুরে রোজা, নেক আমলে ভরবে জীবন কমবে পাপের বোঝা। রমজান মাসে ফরজ রোজা রাখে মুমিন

ফেনী জেলার ভৌগোলিক বিবরণ

বাংলা দেশের দক্ষিণ - পূর্বভাগে অবস্থিত হচ্ছে ফেনী জেলা। বৃহত্তর নোয়াখালীর পূর্ব দিকে ফেনী শহরকে ভূখণ্ড হিসাবে অধিকতর প্রাচীন বলে

রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব এবং আমল

রমজান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব এবং আমল মহান আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসকে অন্যান্য মাসের উপর ফজিলত ও বিশেষত্ব দিয়েছেন। এ

যুগ-যুগান্তর ধরে

মানুষ বিশাল প্রাণের মাঝে যুগ-যুগান্তর ধরে, অতৃপ্তির ওই অধীর আগ্রহে নতুন সন্ধান করে। কোনো ভাবেই হয় না পূরণ প্রাপ্তীর প্রাপ্তে

Leave a Reply