আগেও আকাশ ছিল এখনও আকাশ আছে। আকাশ থাকলেই আমার ভাল লাগে। সবচেয়ে সুন্দর আকাশ’ দক্ষিণ শ্রীমঙ্গলে। একদিন সেখানে আমি যাব, দেখব সে কি করে। আমাকে যদি অভিবাদন জানায় আমি তাকে একটি সুন্দর গোলাপ উপহার দেব । একদিন তার জন্মদিন ছিল আমি যাইনি।সে যে কি রাগ হয়েছিল আমি তা কেমন করে বোঝাব! তাকে দেখলেই কেন যেন আমার শুধু চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে ; সে বুঝি পরজনমে কোন লাল শাড়ি পরেছিল! সে শাড়ি’ কোথায় আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে। খুঁজে পেলে বলতাম, এখানে রাখ আমি আবার দেখব।তার নাকি কেউ নেই সবাই মঙ্গলে গেছে বেড়াতে। আমি একদিন সেখানে যাব দেখব সে কি করে।
তার নামে নাকি কবিতা লিখেছিল কবিতা। সে কবিতা আজ মারা গেছে। তার শোকে সে বিহ্বল। আমি তাকে বলব, শোক করে কি হবে! তার চেয়ে শুকরগুজার কর।
তার যদি কোন মা থাকত সে তাকে মালা পরিয়ে দিত। তার মা নেই কে তাকে মালা পরাবে? আমি তাকে বলেছি, চট্টলা গীর্জায় এক পাদ্রী আছে নাম করা, শ্যামন পাদ্রী তাকে আনতে সে তাকে মালা পরিয়ে দেবে।
দুদিনের দুনিয়া এ নিয়ে সে সবসময় ভাবান্বিত থাকে।আমি বলেছি, এত ভেবে কি হবে! তার চেয়ে বরং তুমি আজকের দিনটি সুন্দর করার চেষ্টা কর।
সে সবসময় কবিতা পড়ে রংতুলিতে ছোপছাপ মাঠের পরে ঝোপঝাপ ওরে বুবু সরে দাঁড়া।আমি তাকে বলেছি পড়তে, ওরে বুবু আসতে দাঁড়া…।
এইতো সেদিন সে আমার ছিল, আজ সে আমার নাই।এ কথা আমি কাকে জানাব? আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ কথা আমি কলঙ্কিনী কঙ্কাবতীকে জানাব।কারন, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী যে সবচেয়ে বড় সাধ্বী।
