“আমাকে যদি কেউ একটি ফুল দিত, আমি তাকে কয়টি ফুল দিতাম? দশটি।
আমাকে যদি কেউ একটি শুকতারা দিত আমি তাকে কয়টি শুকতারা দিতাম? দশটি।”
“আমাকে কেউ কিছু দেয়না।তাইতো আমিও কাউকে কিছু দেইনা।এমন একটি দিন কেন আসল? এমন একটি দিন না আসলেতো ভাল হত।”
“হে ঈশ্বর তুমি কেন আমাকে সৃষ্টি করলে? আমাকে কি সৃষ্টি করেছ শুধুই অন্যের ভালবাসা দেখে মরার জন্য?” “না,না তোমার জন্য একজন ভালবাসার ডালি সাজিয়ে বসে আছে।” সে কে আমাকে বল, আমি এক্ষুনি তাকে দেখতে যাব। ” সে বর্ষা নগরের নাগরি বালা।”
“নাগরি বালা তুমি এত ভাল আমাকে আগে বলবেনা! আগে বললেতো আমি তোমার জন্য ভালবাসার এক বিশাল ডালা সাজিয়ে রাখতাম।”
“আমি তোমাকে ভালবাসি হাজার বছর আগে থেকে।”তাহলে আমি হাজার বছর আগে তোমাকে রজনীগন্ধার ডালা উপহার দেওয়া উচিত ছিল।” এই যে এখন দিচ্ছ এটাই যথেষ্ট। ” না, না ভালবাসার মানুষকে ভাল করে আপ্যায়ন করতে হয়।তাহলে তুমি কি করতে চাও আমাকে বল।আমি কাল তোমাকে অ্যাফ্রোদিতির কবরের পাশে নিয়ে যাব, সেখানে যদি অ্যাফ্রোদিতি আমাদের দেখে হেসে উঠে তাহলে বলব, আমাদের ভালবাসা পরিপূর্ণতা পেয়েছে।
“অ্যাফ্রোদিতি কি হেসে উঠবেন?” “নিশ্চয়ই উঠবেন, তিনি ভালবাসার মানুষকে না বলে থাকতে পারবেননা।” “তাহলে তাই যেন হয়।”
“অ্যাফ্রোদিতি, অ্যাফ্রোদিতি আমরা এসেছি।” ” হ্যাঁ, এতদিন তোমরা কোথায় ছিলে? আমিতো তোমাদের জন্যই অপেক্ষার প্রহর গুনে বসে আছি।” “এতদিনে আমাদের ভালবাসা পরিপূর্ণতা পেল।এবার বল তুমি কি চাও? তুমি যা চাইবে তাই পাবে।” ঐ পাহাড়ের উপর একটি হীরের নোলক আছে সেটা এনে আমাকে দাও।” “ধর নাও।”এতক্ষণে ভালবাসা তার ভালবাসাকে খুঁজে পেল।”
“এমন ভালবাসা আগে কেন আসেনি! আগে আসলেতো আমি মরে যেতাম!” “মরার দরকার নেই, শুধু ভালবাসলেই হবে!” “তাহলে এখন থেকে আমি দিনরাত শুধু ভালবাসব।”