আমরা সিঁড়ি আমাদের মাড়িয়ে তোমরা উঠতে চাও উপরে। যখন উঠতে পারনা তখন বল সিঁড়ি তুমি সিঁড়ি নও।সিঁড়ি যদি সিঁড়ি না হত তাহলে তুমি কেমন করে উপরে উঠতে? গতকালওতো তুমি সাততালা উঠেছ, দশতালা উঠেছ।অথচ তুমি বলছ, সিঁড়ি সিঁড়ি নয়।সিঁড়ি যদি যদি সিঁড়ি না হত ক্লিওপেট্রার মাথায় এত চুল থাকত? সব চুল পড়ে যেতনা? সিঁড়ি সিঁড়ি বলেইতো ক্লিওপেট্রার মাথায় এত চুল। কাজেই সিঁড়িকে সিঁড়ি বল।
সিঁড়ি কি কোনদিন কাউকে না বলেছে?সিঁড়ি যদি কাউকে না বলত কেউ কি সিঁড়ি হত? সিঁড়ি সবাইকে হাঁ বলেছে বলেইতো আজ সবাই সিঁড়ি। কাজেই সে সিঁড়ি’ শ্রদ্ধা কর যে সিঁড়ি সবচেয়ে বড় সিঁড়ি।
সিঁড়ি দেখে ভয় পেয়েছিলেন কে? সিঁড়ি দেখে ভয় পেয়েছিলেন সম্রাট হুমায়ুন।তিনি ভেবেছিলেন, যদি সিঁড়ি থেকে পড়ে যাই! কিন্তু তিনি কি সিঁড়ি পার হননি? হয়েছেন। তাইতো সব সিঁড়ি আজ সিঁড়ি।
সিঁড়ি থেকে লাফ দিয়ে মরতে চেয়েছিলেন কে? জার দ্বিতীয় নিকোলাস।লাফ দেওয়ার সময় তিনি কি ভেবেছিলেন?’আমি লাফ দিলে বদনাম হবে সিঁড়ির। সিঁড়িকে তখন সবাই অপরাধী সিঁড়ি বলবে।একটি নিরপরাধ সিঁড়িতো অপরাধ সিঁড়ি আখ্যা পেতে পারেনা’।তখন তিনি কি করেছিলেন? ডান হাত উঁচিয়ে সালাম জানিয়ে ঘরে গিয়ে বসে পড়েছিলেন।কাজেই সব সিঁড়িকে শ্রদ্ধা কর, সিঁড়ি যে সিঁড়ি।