ও সে অশেষ বিহনে রঙ্গ দহনে ছাই তোদের নিয়তি,
অক্ষির সমক্ষে দেখিতাম তোরা ক্লান্তির অত্যাচার কে উপেক্ষা করিয়া দাঁড় বাইতি।
যেন মুমূর্ষু প্রান্তে জীবন্ত হইতি জীবন্মৃত হইইয়া,
এহেন কাজে নিজেকে ভিজিয়ে মরণ প্রপাত আনতি বহিয়া!
ওহে তরঙ্গ জীবন নদেও আঘাত হানিয়া যাইত
বিলীন গর্ভে বিলীত রাহী লইয়া সে বড়ই তৃপ্তি পাইত ।
আসুরিক নৃত্য ক্ষইয়া লইল বিগান্ধিক মরিচা তোদের
দাম্ভিক অশরীর মাতিয়া খাইল, মরণেও লজ্জা নাই ওদের ।
মেহেদী পল্লব উপমা শুধুই ঠাই পাইলেও জীবন অনড়
দুঃখ দহনে নোনতা নাচন , কেবা দেখিল হোক যুদ্ধ বদর।
তোদের রক্ত পঁচা বলিয়া পঁচা মাংশ ভক্ষন করে যারা
ঈপ্সা জাগে রুধির ধারায় ক্ষান্ত করি, যাক ওরা শকুন কাঠে মারা !
দুর্বিষহ মলিন পথে কতইবা জীবন দিবি ,
কিসের ভয়ে ভীত হইয়া শ্মশান ঘাটে কঙ্কালের ন্যায় বাঁচবি ?
এসব যাতনা দেখিয়া যারা রক্ত মাখা দন্তে হাসে
ওরে, কবে যে দেখিব ওদের লাশ মরা গঙ্গায় ভাসে !
করিস না বসবাস অজ্ঞানের ভ্রান্ত ছায়াতলে
পিষে দে ওদের, তোদের অভদ্র শ্রমের যাঁতাকলে !
তোদের গালি দিয়া যারা ঘুমায় আরাম কাঠে
শয়তান বৈ ওরা আর কিছু না, পারে তো তোদের মারে তোদেরি মাঠে ।
কিসের প্রতীক্ষায় আজো তোরা ভাসিস নয়ন নীরে ,
তোদের প্রজন্মও কি আসবে এই পিশাচের ভীরে ?
নেড়ী কুত্তাও পারে তো দেয় মলদ্বার ঢেলে ওদের মুখে !
তবে তোরা কেন সইবি দরুণ কষ্ট লইয়া তোদের বক্ষে ?
তোদের স্বচ্ছ অন্তর আমি দেখিয়াছি তাই বাঁচিয়া আছি আজো ,
এসব কারণেই হয়ত সভ্য সমাজ থেকে হইয়াছি ত্যাজ্য ।
কিবা আসে যায় তাহাতে ?
আমি তো মরছি না হইয়া হাভাতে।।
আমার কাব্য নষ্ট পাথরে খোদাই হইতে দিব না ,
কোথায় নজরুল , কোথায় মুজিব তাদের উদ্দেশ্য সফল না করিয়া
হে মালিক এ পৃথ্বী আমি ছাড়িতে চাহি না।।
আরো পড়ুন-
- বাংলা শর্ট কবিতা
- কিভাবে একটি ছোটগল্প লেখা যায়?
- যযুর্বেদ ডাউনলোড
- বাংলা মোটিভেশনাল স্ট্যাটাস
- বেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

Nice
ভালো লিখেছেন কবি