বর্তমান সময়ে বিদেশগামী লোকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে, দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও বাড়েনি কর্মসংস্থান অনেকেই পড়াশোনা করে ভালো চাকরি না পাওয়ার কারণে বিদেশের দিকে দাবিত হচ্ছে। তবে যে কারণেই হোক এটা দেশের এবং পরিবারের জন্য ভালোদিক যে, বর্তমানে বিদেশ থেকে ভালো পরিমাণ রেমিট্যান্স আসছে।
বিদেশ যেতে হলে প্রথমে যেটা প্রয়োজন তা হল পার্সপোর্ট, বর্তমানে ই-পাসপোর্ট চালু আছে যা আপনি চাইলে খুব সহজেই পার্সপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ে আরও একটি সমস্যা হল পাসপোর্টের ভূল অনেক লোকদের দেখা যায়। পাসপোর্টের ভূল সংশোধনের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়।
তাই পাসপোর্ট করার পূর্বে এর ভূল এরাতে করনীয় কি তা নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
পাসপোর্টের আবেদন ফর্মপূরণ করার সময় অবশ্যই আপনার আইডিকার্ডের নাম দেখে আপনার নাম বসাবেন, আপনার বাবা আইডি কার্ডের নাম দেখে আপনার বাবার নাম দিবেন এবং আপনার মায়ের আইডি কার্ডের নাম দেখে আপনার মায়ের নাম দিবেন
মনে রাখবেন আপনার আইডি কার্ডে যদি সামান্য (.) ফুলস্টপ না থাকে আর আপনি যদি পাসপোর্টের নামে ফুলস্টপ দিয়ে দেন তাহলে এটা আবার পরিবর্তন করতে হবে
যেমনঃ
পাসপোর্ট করতে হলে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয় নিম্নে তা দেয়া হল
১) আবেদন ফরমপূরণ করাঃ আবেদন ফরমপূরণ করার সময় অবশ্যই উপরের দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী সঠিকভাবে পূরণ করবেন
Given Name এর জাগায় আপনার নামের প্রথম অংশ এবং Surname এর জাগায় আপনার নামের দ্বিতীয় অংশ দিবেন
আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রিন্ট সামারি এবং আবেদন কপি দেওয়া হবে
২) পাসপোটের টাকা প্রদান করা
প্রিন্ট সামারি ব্যাংক নিয়ে ব্যাংক থেকে এ চালান (A-Challan) সংগ্রহ করতে হবে এবং এর মাধ্যমে নিদিষ্ট ফি ব্যাংকের কাউন্টারে জমা দিবেন
সিলমোহর দিয়ে এ চালানের (জমা রশিদ) একটি কপি ব্যাংক থেকে দেওয়া হবে। কত টাকা প্রদান করতে হবে তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন – পাসপোর্ট করতে কত খরচ?
যেসকল ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারবেন তা হলঃ ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক। এছাড়া অনলাইনে Ekpay এর মাধ্যমে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়া যায়
৩) কাগজপত্র জমা দেওয়া ও বায়োমেট্রিক
আবেদন কপি, প্রিন্ট সামারি, টাকা জমা দেওয়া রশিদ, আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে সার্টিফিকেট, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, এনআইডি কার্ড অথবা জন্মসনদ এর কপি আপনার জেলা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দিতে হবে। কাগজপত্র জমাদেওয়ার পরে আপনার ছবি, চোখের রেটিনা স্কান, বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে সেখানে অবশ্যই আপনার প্রিন্ট সামারি দিয়ে আসতে হবে, সেখান থেকে আপনাকে একটি ডেলিভারি স্লিপ দেওয়া হবে
৪)পুলিশ ভেরিফিকেশন
আপনি যে নিকটস্থ থানার ঠিকানা দিয়েছেন সেখান থেকে পুলিশ সুপার আপনাকে ফোন দিয়ে আসতে বলবে অথবা আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং এবার এনএইডি কার্ড, আপনার বাবার এন আইডিকার্ড, বিদুৎ বিলের কপি, ডেলিভারি স্লিপের কপি, নিয়ে আপনাকে থানায় যেতে হবে অথবা কি কি লাগবে তা পুলিশের সুপারের কাছে ফোন দিয়ে জেনে নিবেন।
এবার নিদিষ্ট কিছু দিনের মধ্যে পাসপোর্ট আপনার হাতে পৌছে যাবে।
উপকারী তথ্য,ধন্যবাদ।
Nice
প্রয়োজনীয় তথ্য