গল্প তালাক আফছানা খানম অথৈ

0তালাক আফছানা খানম অথৈ শিহাব ভালোবেসে বিয়ে করেছে পান্নাকে।কিন্তু মা-বাবা তাদের ভালোবাসা মেনে নেয়নি।একমাত্র ছেলে শিহাবকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা দুজন আলাদা বাসা ভাড়া নেই। একদিন মাঝরাতে মা ফোন করে বলে, বাবা শিহাব আমরা তোর ভালোবাসা মেনে নিয়েছি।তুই ফিরে আয়। সত্যি বলছ মা? হ্যাঁ সত্যি। শিহাব আর দেরী করলো না।ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে

“রূপকথার গল্পে আমি”

0(৯) প্রায় এক সপ্তাহ ইনস্টিটিউটে যাই না। মনের সাথে যুদ্ধ করে এই  সিদ্ধান্তে পৌছি, যা হলো এই,  আমি এমন কোন আচরণ করব না, এমন কোন কথা বলবো না কাউকে, এমন কোন ভাব করবো না যাতে কেউ আমাকে অনিকের সাথে জড়িয়ে কিছু বলতে পারে। আর বললেই বা কি? যে যাই বলুক অনিকের সাথে পরিচয়ের আগে আমি

গল্প ঝগড়াটে বউ আফছানা খানম অথৈ

0ঝগড়াটে বউ আফছানা খানম অথৈ জাবেদের ছোট ভাই সিফাত মাকে নিয়ে এসেছে।মায়ের কান্সার ভালো চিকিৎসার দরকার।তাই জাবেদের বাসায় এসেছে।কলিংবেল টিপতেই দরজা খোলে দিলো জাবেদের স্ত্রী সাহারা। সে কী! শ্বাশুড়িকে দেখে চোখ কপালে উঠে গেল।বিরক্তিস্বরে বলল, মা আপনি? হ্যাঁ বউ মা আমি। কেনো এসেছেন? জাবেদ কোথায়? যা বলার আমাকে বলুন। বউ মা আমার ক্যান্সার ধরা পড়েছে।ভালো

“রূপকথার গল্পে আমি”- ০৮

0(৮) ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার তিন মাস পর এস.এস. সি পরিক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে গতকাল। জিপিএ গ্ৰেড A পেয়েছি। আজ মিষ্টি নিয়ে প্রথমে স্কুলে যাই গিয়ে স্যারদের সাথে কুশল বিনিময় করে মিষ্টি দিয়ে তারপর ইনস্টিটিউটে যাই। সোজা অফিস রুমে গিয়ে মিষ্টির কার্টুন প্রিন্সিপাল স্যারের হাতে দেই। স্যার হাসিমুখে গ্রহণ করে অভিনন্দন জানান। অফিস থেকে বের হয়ে

গল্প বাল্য বিয়ের কুফল আফছানা খানম অথৈ

0বাল্য বিয়ের কুফল আফছানা খানম অথৈ টুনি পঞ্চম শ্রেনিতে পড়ে। বয়স বারো কিংবা তেরো হবে।গায়ের রং ফর্সা বডি ফিটনেস ভালো। বয়স অনুপাতে তার বডি যতটুকু বাড়ার ততটুকু বেড়েছে। মোটামুটি ভালোই লাগছে তাকে। কি বোঝেন এতটুকুন মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। টুনির বাবা ধনকুবের, কৃপন ও লোভী স্বভাবের। পারলে মেয়েকে আজই বিয়ে দিয়ে দেয়।

“রূপকথার গল্পে আমি”

0(৭) ইন্টারনেট ইউজিং সিস্টেম কোর্সে ভর্তি হয়েছি। বাসায় কম্পিউটার আছে। কম্পিউটারের বেসিক জিনিস গুলো ভাইয়ার কাছ থেকে শিখে নিয়েছি। ইন্টারনেট এর ব্যবহার শিখার জন্য ভর্তি হয়েছি। e-mail, web, Internet browsing system শিখা হয়ে গেছে। ইন্টারনেট ইউজ এর আরো বিভিন্ন system আছে সেগুলো শিখবো। এখন good student দের সারির একজন। নিয়মিত ক্লাসে যাই। মাঝে মাঝে অনিকের

“রূপকথার গল্পে আমি”

0(৬) শীতকাল শুরু হয়েছে মাত্র। রাত প্রায় দ্বিপ্রহর। জানালা খুলে সামনে এসে বসি। বাসার দক্ষিণে খোলা মাঠ আছে তার পাশ দিয়ে ছোট একটা নদী বয়ে গেছে। নদীর ওই পাড়ে ছোট ছোট কুটির আছে। সেখানে কৃষক, জেলে, দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো সারা দিনের ক্লান্ত দেহ নিয়ে ফিরে গিয়ে স্বর্গের সুখ লাভ করে। হালকা অন্ধকারময় মেঘরাশি

“রূপকথার গল্পে আমি”

0রূপকথার গল্পে আমি শুরুর কথা পর্ব- ০১ পর্ব- ০২ পর্ব- ০৩ পর্ব- ০৪ পর্ব- ০৫   (৫) এক সপ্তাহ পর। ক্লাস শেষ করে সিঁড়ি পেছন ফেলে নিচে নামছি। চারতলায় ক্লাস রুম। দ্বিতীয় তলায় আসতেই আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ি সেই দিনের সেই লোকটা। আমি ভূ-ভূ ভূত বলে চিৎকার করতে যাব ততক্ষণে লোকটা একটু অপ্রস্তুত হয়েই বলছে আরে

“রূপকথার গল্পে আমি”

0রূপকথার গল্পে আমি শুরুর কথা পর্ব- ০১ পর্ব- ০২ পর্ব- ০৩ পর্ব- ০৪ পর্ব- ০৫   (৪) ইনস্টিটিউটে যাচ্ছি গলির মোড়ে আসতেই চমকে উঠি। সেই লোকটা দাঁড়িয়ে। তাড়াতাড়ি রিক্সা থেকে নেমে ওর কাছে গিয়ে দাঁড়াই। ধীরে ধীরে প্রশ্ন করি- আপনি কে? কোন জবাব নেই। কোথা থেকে এসেছেন? জবাব নেই। এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? কোথাও যাবেন

গল্প সংসার আফছানা খানম অথৈ

0 সংসার আফছানা খানম অথৈ বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের বড় ছেলে আশিক রহমান সংসারের হাল ধরল।তার বেশি দূর লেখাপড়া হয়নি।মাত্র দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে।এর পর ফ্যামিলি চালানোর জন্য তাকে টেক্সি চালানোর কাজ নিতে হলো।নিজের রোজগারের টাকায় সংসার ও ছোট দু’ভাই বোনের লেখাপড়া চালাচ্ছে ঠিকমতো।তবুও মা কেন জানি ছেলেকে ভালো চোখে দেখেন না।সৎ ছেলে বলে কথা,