আরজ আলী মাতুব্বরের লাইব্রেরী
- আমি কে?
- আমি কি মুক্ত ?
- মন এবং আত্মা কি একই জিনিস?
- কিভাবে শরীরে আত্মা প্রবেশ করে এবং বের হয় ?
নাস্তিক মাতুব্বর
ধারণা করা হয়, তার মায়ের মৃত্যুর পর গ্রামের লোকেরা জানাজা পড়াতে রাজী না হওয়াটাই প্রচলিত ধর্ম, নিয়ম, সংস্কারের প্রতি তাকে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। তার মায়ের মৃত্যুর পর ছবি তোলা হয়েছিল, এই অপরাধে গ্রামের মোল্লা, মৌলভিরা জানাজা পড়ায় নি।
জীবনের দীর্ঘ্য সময় তিনি শুধু পড়াশোনা করেই কাটিয়েছেন। আমাদের সমাজে পরিচিত আলেম- ওলামাদের কাছে গিয়েও অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন। তার গণ্ডির মাঝে থেকে ইসলাম ধর্মকে যেভাবে দেখা সম্ভব সেভাবেই দেখেছেন।
পজিটিভ দিক হচ্ছে, তিনি কারো কথায় অন্ধভাবে কিছু বিশ্বাস করেননি। সেই বিষয়ে জানার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। Hypocrisy বা, প্রবঞ্চনা বলতে যা বোঝায় তার লেখায় আমি তা পাইনি। অনেকেই বুঝতে পারেন না– আমাদের সময়ে যেমন চাইলেই কেউ শাবির আলি, ইয়াসির কাদির লেকচার শুনতে পারে, তখন সেটা সম্ভব ছিল না। নিঃসন্দেহে তিনি সত্যের সন্ধান করেছেন যা বাংলাদেশের মানুষেরা বেশীরভাগই করে না।
এই লোকটি জানার জন্য লোকের কাছে ছুটে বেড়িয়েছেন, একজন শিক্ষকের সহায়তায় কলেজের পাঠাগার থেকে বই সংগ্রহ করে পড়েছেন। নিজে একটি লাইব্রেরী তৈরি করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন একজন মানুষ স্বশিক্ষিত হয়ে বই লিখেছেন।
ধর্মকে আক্রমণ করেননি
একজন মুসলিম হয়েও আমি তাকে পছন্দ করি কারণ তিনি জানতে আগ্রহী ছিলেন, প্রশ্ন করতে উৎসাহী ছিলেন। তার আশেপাশের তথাকথিত ধার্মিকেরা তার মতো সত্যের সন্ধান করেনি, এবং তার প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারেনি।
অন্য অনেক রকম প্রবঞ্চক নাস্তিকদের আমরা দেখতে পাই যারা, শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মকে আক্রমণ করতেই ভালোবাসেন। তাদের পরিচয় ইসলামবিদ্বেষী দেয়া যেতে পারে, নাস্তিক নয়। বিদ্বেষ পোষণ করা যেকোন বিচারেই অপরাধ। একইসাথে, মত প্রকাশের অধিকার সবারই থাকা উচিত। সম্প্রতি আরিফ আজাদ তার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে একটি বই লিখেছেন- ‘আরজ আলী সমীপে’ নামে। নিঃসন্দেহে এটি খুব ভালো একটি উদ্যোগ।
মাতুব্বরের বাণী
আরজ আলী মাতুব্বরের একটি উক্তি-
কোন ব্যক্তি যদি একজন ক্ষুধার্তকে অন্নদান ও একজন পথিকের মাল লুন্ঠন করে ও অন্য কাউকে হত্যা করে অথবা একজন গৃহহীনকে গৃহদান করে এবং অপরের গৃহ করে অগ্নিদাহ, তবে তাহাকে ‘দয়াময় ‘বলা যায় না

নতুন কিছু জানলাম