আসসালামু আলাইকুম এশিয়া মহাদেশের ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। আর এজন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় ভাত খাওয়ার অভ্যেসকেই। প্রিয় দর্শক ভাত আসলে বেশি খেলে কি হয়? জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আজকের আমরা জানবো কোন বয়সে কতটুকু ভাত খাবেন? ভাত হচ্ছে বাঙালির প্রধান খাবার। আমরা চাইলেই ভাতকে বাদ দিয়ে দিতে পারব না। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রই আঁতকে উঠে ভাতের নাম শুনলে। মনে করা হয় ভাত বুঝি ওজন বাড়ার একমাত্র কারণ। আর যদি কোন অসুখের প্রসঙ্গ আসে তাহলে প্রাথমিক কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় ভাতকে। তাই খাবার তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হয় ভাতের নাম।
আরো পড়ুন: ইসলামিক কবিতা
ভাত খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী। সেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা ভাত খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং পদ্ধতি জানিনা। চাল ভেদে ভাতের পুষ্টিগুণ এর তারতম্য হয়। আধা কাপ ভাতে ১২৫ থেকে ১৫০ কিলো ক্যালরি পাওয়া যায়। এতে রয়েছে 7% ফ্যাট ৮৫% কার্বোহাইড্রেট এবং আট পার্সেন্ট প্রোটিন। ভাতে সোডিয়াম বেশি এবং পটাশিয়াম খুবই কম।
তবে ভাত কিন্তু কোলেস্টেরল বর্জিত একটি খাবার। তবে রক্তের লিপিডের একটি উপাদান রয়েছে যার নাম ট্রাই গ্লিসারাইড। ভাত খেলে কিন্তু এটি বেড়ে যায়। ভাত খাওয়ার ব্যাপারে যে বিষয়টি অবশ্যই আমাদের মনে রাখা দরকার সেটি হচ্ছে কোন বয়সে কতটুকু ভাত খাওয়া জরুরি? কিংবা কতটুকু ভাত খেলে আমরা প্রচন্ড মোটা হয়ে যাব? ডায়াবেটিক আক্রান্ত হব এবং অন্যান্য রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। কিংবা কতটুকু ভাত খেলে আমরা মোটা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাব ডায়াবেটিক ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এবং বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে না। কিংবা শরীর সুস্থ থাকবে ভাত খেয়েও।
শৈশবের দিনে এক থেকে দেড় কাপ ভাত প্রয়োজন। বয়সন্ধিকাল এর শুরুতে সারাদিনে চার থেকে পাঁচ কাপ ভাত খাওয়া প্রয়োজন। কিশোর বয়সের সারাদিনে ছয় থেকে সাত কাপ ভাত খাওয়া প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একদিনে ৬ থেকে ৭ কাপ ভাত খাওয়া প্রয়োজন। বৃদ্ধ বয়সে চার থেকে পাঁচ কাপ ভাত খাওয়া প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে এই কাপ বলতে চায় এর কাপ কে বোঝানো হয়েছে কোন মেজারিং কাপ নয়।
যারা বিস্কুট নুডুলস পাস্তা এবং অন্যান্য শর্করা জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ভাত খাওয়ার পরিমাণ টা একটু কমিয়ে দিতে হবে। ভাতের কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট শরীরে ভাঙতে অনেক বেশি সময় লাগে। তাই যারা ওজন বাড়ানোর ভয়ে ভাত খাওয়া থেকে দূরে থাকছেন তাদের দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। বরং ভাতের মধ্যে যে বাড়তি পানি থাকে তা আমাদের আদ্র আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। তবে ভাত নিয়ে মনের মধ্যে যে ভীতি কাজ করে তা এখনই ঝেড়ে ফেলুন। ভাত মাছ সবজি ডাল সব একসঙ্গে খান।
আরো পড়ুন: গরুর মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি
খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ুন এবং খাবারের শেষে আলহামদুলিল্লাহ পড়ুন। মনে রাখবেন প্রিয় নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ বলেছেন খাবার গ্রহণের সময় এক ভাগ পানি দ্বারা ভর্তি করতে একভাগ খাবার খেতে আর একভাগ খালি রাখতে। আর আপনি এই নিয়ম পালন করলে আজীবন সুস্থ থাকবেন ইনশাল্লাহ।
আরো পড়ুন-

ভালো লিখেছেন কবি