দুই মুসাফির যে আসলো ভবে
দেখতে তাদের কর্ম,
ভবের হাটের পথিক সবাই
বুঝলো কি আর মর্ম।
গ্ৰীষ্মের দুপুর পথিক হাঁটছে
একতারা যে হাতে,
পিছন থেকে আর এক পথিক
এসে মিশলো সাথে।
পথিকের ওই গুমোট ভাবটা
কথার মাঝে কাটে,
নানান রকম কথার মাঝেই
দুজন মিলে হাঁটে।
হাঁটতে হাঁটতে ঘামটা ঝরায়
বসে গাছের তলে,
বাগান বাড়ি গাছের সারি
দেখায় পথিক বলে।
আমার গাছের ডাবের পানি
তৃষ্ণা জুড়ায় যাবে,
আরো নানান ফলের বাগান
দেখতে সবি পাবে।
শুনতে পেয়ে অসলো তেড়ে
জনৈক ব্যক্তি তিনি,
রাগের চোটে দারুণ ক্ষেপলো
বললো নাহি চিনি।
হাঁটতে থাকে পথিক দু’জন
গ্ৰামের রাস্তা দিয়ে,
তুললো গানের সুরটা পথিক
একতারা যে নিয়ে।
সুরের আভাস পেয়ে অসলো
গঞ্জের মানুষ সবে,
বললো সবাই লালন ফকির
আসলো যেন ভবে।
এসব দেখে বললো পথিক
আমার সবি আছে,
আমায় যেন রাখতে চায় যে
ধরে তাদের কাছে।
যুগের বিলিন হলেও এখনো
আমি সবার মাঝে,
তাইতো নামটা আমার আজও
সবার মুখে বাজে।
একটি দিনের জন্যে এলাম
সাধের এইতো ভবে,
দেখেই মনটা ভরে উঠলো
চলেই যেতে হবে।
তোমার বাড়ি গাছের সারি
অনেক কিছুই ছিলো,
ভোগ করে সব খাচ্ছে সবাই
ধিক্কার জানাই দিলো।
সম্পদ পেয়ে নিজের ভাবতে
আগলে রেখে বুকে,
এখন তোমায় ধিক্কার দিলো
পাগল বলে রুখে।
আরো পড়ুন-
- কমলার দীঘি গল্প
- বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা
- সৃজনশীলতার উদাহরণ
- মণিপুরী গান
- পাবলিক প্লেসে মোবাইল ব্যবহারের শালীনতা

বাহ