জানি তুমি আর তুমি নেই। তুমি হয়ে গেছ অন্য এক তুমি। তুমি এখন আর ফুল দেখলে হাসনা, পাখি দেখলে গাওনা, নদী দেখলে বয়ে যাওনা।তুমি কেন এমন? তুমি কি সারস পাখির লেজ দেখেছ যে লেজ অনেক বড়? আর ভেবেছ আমি যদি এ লেজ হতে পারতাম? না, না তুমি সারস পাখির লেজ দেখনি তুমি দেখেছ চড়ুই বাতির লেজ, যে লেজ সব লেজকে ছাড়িয়ে যায়। তোমার এত বড় লেজ হওয়ার ইচ্ছা কেন জাগল? ও বুঝেছি তুমি কাল রাতে কিছু খাওনি, আর তাই চিন্তা করেছ এবার বেশি করে খাব।তুমি এত বেশি খাও যেন খেতে খেতে তোমার উদর পুর্তি হয়ে যায়। পূর্তি হয়ে সে যেন শুধু হা হু্ল্লাশ করে।
তুমি কোনদিন কারো নাম মুখস্ত করনি, করেছিলে শুধু আমার নাম।আজ সে নাম তুমি ভুলে গেলে।তোমাকে কি নাম দেব সেটাই ভাবছি। তোমার নাম হোক নামের নাম, তাতে যদি নাম তার সবচেয়ে আপন জনা’ খুঁজে পায়।
এত যে ভালবাসি তার প্রতিদান কি দেবে? তুমি যদি সাত সাগরের পানি দিতে অনেক ভাল হত।তুমি দিয়েছ আট সাগরের পানি, এটা বেশি হয়ে যায়।
তুমি যদি কাল মালিনী নদীর তীরে সাপ খেলা দেখতে যাও সেখানে আমার কথা বোলো, সাপ নিশ্চয়ই একটু নড়েচড়ে তার খেলা প্রদর্শন করবে।
কবি জীবনানন্দের শখ ছিল বনলতাকে নিয়ে খেলা। আমার শখ তুমি, তুমি আমাকে কি দেবে? আর কোনদিন পাহাড় নদীর গান শুননা, সে গান শুনলে তুমি পাগল হয়ে যাবে। পাগল যে আমি বড় অপছন্দ করি।
সোনার পেয়ালায় তিনটি ডিম আছে। এ তিনটি ডিম আমি খাব।তার একটি যদি তুমি হতে কতইনা ভাল হত।
আজ তুমি শপথ নাও এখন থেকে তুমি শুধু ঈশ্বরের নামে শপথ করবে।কারন, ঈশ্বর যে আমাকে সৃষ্টি করেছে।
জাহান্নামের আগুনে বসে যে জন হাসে তুমি তার বন্দনা কর।কারন, আমি একদিন জাহান্নামের আগুনে বসে হাসি হেসেছিলাম;আর সে হাসি ছিলে তুমি।
