আমার তখন ..ছাত্র জীবন
আটের ক্লাসে পড়ি,
পরের বাড়ী…. থেকে তখন
নিজের জীবন গড়ি।
চিঠি পত্রের আদান-প্রদান
তখন থেকে চলে,
বাবা মায়ের… পড়তো মনে
নিশুতি রাত হলে।
লিখতাম চিঠি আবেগ চোখে
গভীর ভাষা দিয়ে,
ভাবনা আমায় ভীষণ ভাবায়
বাবা মায়ের নিয়ে।
অনেক কাগজ ছিঁড়ে ফেলি
এলোমেলো হলে,
আপন মনে লেখার জন্যেই
মনটা তখন বলে।
লিখলাম চিঠি বাবার কাছে
দুই তিন পৃষ্ঠা হবে,
সবার কথাই লেখার মাঝেই
পড়তো মনে তবে।
অনেক শব্দের লেখার মাঝেই
বাবা ছিলো মূলে,
অনেক দূরে থাকতাম তখন
তাদের যেন ভুলে।
পিওন এসে মায়ের কাছে
দিলো চিঠি হাতে,
চিঠি নিয়ে….ভাইটা দেখে
লেখাটা কী তাতে।
পড়ার আগে অনেক হাসি
ভাইটা তবে পেলো,
আপন মনে চিঠির কথা
মায়ে শুনে নেলো।
বাবা বাবা ….এমন ডাকটা
ছিলো পঞ্চাশ বারে,
বললো ভাইটা এমন ভাবেই
ক্যামনে লিখতে পারে।
হাসির কারণ বুঝলো মায়ে
আমার কথা ভেবে,
বললো মায়ে দিনে দিনেই
সবি মেনেই নেবে।
আজকে বাবা অনেক দূরে
দেয়না সাড়া মোরে,
স্মৃতির ভিড়ে ঐ ডাকটা যে
বাবা এখন গোরে।
আরো পড়ুন-