গল্প ফাঁস আফছানা খানম অথৈ

0

ফাঁস

আফছানা খানম অথৈ

শরাফাত বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। তিন বোনের একমাত্র ভাই।।বাবা মাদরাসার প্রিন্সিপাল। বাবা-মা দেখে শুনে একজন গভ:মেন্ট প্রাইমারি স্কুল টিচারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছেন।একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা।আত্নীয়-স্বজন ফ্রেন্ড সার্কেল ও সম্মানীয় কিছু লোকজন দাওয়াত করলেন।জাস্ট টাইমে বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো।একমাত্র ছেলেকে বর সাজিয়ে আত্নীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রায় দুশত লোকজন নিয়ে বাবা আবদূর রহমান রওয়ানা করলেন।
এদিকে কনের বাড়িতে ও বেশ ধুমধাম চলছে।
আত্নীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই উপস্থিত।লাল নীল ঝিলিক বাতিতে বাড়ি ঘর মুখরিত।চারদিকে আনন্দ উল্লাসে ধবনি বেজে উঠল।বর যাত্রীকে বরণ করার সব আয়োজন কমপ্লিট।স্টেজ গেইট সব স্থানে ইয়ং যুবক-যুবতি এট্যাক।
বরের গাড়ি এসে সদর দরজায় ব্রেক করলো।প্রথমে গেইটের পালা একদল যুবক দাঁড়ানো, দুলামিয়ার পথ রোধ করে।সেলামি চাইল পাঁচ হাজার টাকা।তানা হলে পথ ছাড়া হবে না, জরুরী সংকেত দিলেন।
এই নিয়ে দুপক্ষের মাঝে কিছু কথা কাটাকাটি হয়।তারপর মিট হয়।
এবার স্টেজ’র পালা এখানে দাঁড়িয়ে আছে দুজন তরুনী, খুব সুন্দরী, তার উপরে বিউটিশিয়ান দ্বারা সাজু-গুজু।
বরপক্ষের যুবকদের চোখের পলক যেন পড়ছে না।কয়েকজন দুষ্টমি করে বলল,
আপু আপনাদের রেট কত।
এই সেরেছে, মাস্টার বাড়ির মেয়ে বলে কথা।ফটাফট লেগে গেল ঝগড়া।
স্টেজে দাঁড়ানো মেয়ে দুটো অন্য কেউ না কনের আপন বোন ও চাচাতো বোন, নাম পাপিয়া, তামান্না, তাদের মেজাজ একেবারে হাইতে উঠে গেল।তারা চোখ দুটো লালে লাল করে কড়া ভাষায় বলল,
স্টপ, রাবিশ আর একটা কথা বলেছ তো।
ওরা ও থামবার পাত্র নয়, আর ও কাছা-কাছি এসে বলে,
আর কিছু বললে কি করবেন শুনি।
কি করব মানে এক চড়ে দাঁত পেলে দেব।
তারাও পালটা জবাব দিলো,
আপু আমাদের হাত কিন্তু বেড়াতে যাবে না।ঠিক ঠিক জবাব দিবে, ভালোই ভালোই পথ ছাড়েন, তানা হলে কপালে খারাপি আছে।
ভায়া বাড়াবাড়ি না করে সেলামি দিয়ে দিন।আমরা পথ ছেড়ে দেব।
আপু আমরা সেলামি দেব না।দেখি আপনারা কত সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন।তাছাড়া আপনারা দাঁড়িয়ে থাকলে খুব ভালো লাগে।খুব কিউট।
পাপিয়া ও তামান্না শুনে গর্জে উঠে।অমনি তুমুল ঝগড়া শুরু করলো।তাৎক্ষণিক ভাবে বরের বাবা সেখানে উপস্থিত হয়ে সব কিছু মিট করে বলেন,
মা-মনিরা তোমরা কিছু মনে করো না।বিয়ে শাদিতে এক আধটু ঝগড়া না হলে মজা হয় না।এটা আসলে ঝগড়া না, আনন্দ, তোমরা কিছু মনে করো না।ওরা দুষ্টমির ছলে এসব কথা বলেছে।কোন খারাপ উদ্দেশ্যে নয়।
যাক তামান্না ও পাপিয়ার মেজাজ এতক্ষণে হাই থেকে নেমে এসেছে।তারা ভিতর মহলে চলে গেল।বর মজলিসে আসন পেতে বসলো।বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি চলছে।মৌলবী কাজী সবাই উপস্থিত।কনের কাছ থেকে মতামত আনার জন্য তিনজন গেল।মতামত নিয়ে আসল।বিয়ে পড়ানোর জন্য বর-কনের নাম ঠিকানা লিখে মৌলবী সাহেবের হাতে দিলেন।তিনি তা পড়ে বরের কাছে প্রকাশ করলেন।বরকে কবুল বলার জন্য নির্দেশ দিলেন।বর কবুল বলবে ঠিক সেই মুহূর্তে এক মেয়ে হন্ত দন্ত হয়ে মজলিসে উপস্থিত হলো এবং বলল,
স্টপ মৌলবী সাহেব বিয়ে পড়াবেন না।
মৌলবী সহ মজলিসের সবাই স্তব্ধ।তারপর মৌলবী সাহেব জিজ্ঞেস করলেন,
কেন সমস্যা কি, তাছাড়া আপনি কে?
মৌলবী সাহেব আমি শরাফাতের বিবাহিত স্ত্রী।
তার জবাবে মৌলবী সাহেব বললেন,
কি বলছেন, আপনার মাথা ঠিক আছে তো?
মৌলবী সাহেব আমার মাথা ঠিক আছে।সত্যি আমি শরাফাতের স্ত্রী।বাকীটা ওকে জিজ্ঞেস করেন।
এবার মৌলবী সাহেব শরাফাতকে বলল,
শরাফাত এই মেয়ে যা বলেছে সব সত্যি?
শরাফাত এক কথায় জবাব দিলো,
জ্বি না ও সব মিথ্যে বলছে,সব মিথ্যে।
মেয়েটির ফ্যামিলি স্ট্যাটার্স ছেলেদের সমান নয়।একটু নিচু মানের, তবে সে শিক্ষিত ম্যাট্টিক পাশ।মেয়েটির সঙ্গে শরাফাতের বিয়ে ঠিক হয়েছে।কিন্তু শরাফাত ছাইছে নিচু মানের মেয়ে বলে তাকে ঠকাতে তাই সরাসরি বিয়ের কথাটা অস্বীকার করলো।কিন্তু মেয়েটি নিচু মানের হলেও কাবিন নামা রেজিস্ট্রিও বিয়ের সাক্ষী সমাজের গণ্যমান্য দুজন ব্যক্তিকে করেছেন।একদিকে দুর্বল হলে দিক অন্য দিকে শক্ত।তাই সে শরাফাতের দিকে আঙুল তাক করে বলল,
স্টপ শরাফাত আর মিথ্যে নয়,আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বল, তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়নি, বাসর হয়নি?চুপ করে আছ কেন বল?
শরাফাত আবার বলল,
এই মেয়ে তুমি কি সব আজে-বাজে কথা বলছ, তোমার সাথে আমার বিয়ে হওয়াতো দূরের কথা, আমি তোমাকে এর আগে দেখেছি বলে মনে হয় না।তুমি যাও এখান থেকে।
মেয়েটিও কড়া ভাষায় উত্তর দিলো,
আমি তোমাকে না নিয়ে এক পাও নড়ব না।
এই মেয়ে তুমি আমার কে যে তোমার সঙ্গে আমি যাব।
আমি তোমার স্ত্রী, আর তুমি আমার স্বামী।স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যাবে এতে দোষের কি আছে।তাড়াতাড়ি আস বলছি।তানা হলে অসুবিধা হবে।
আমি কখনো তোমার সাথে যাব না।দেখি কি করতে পার?
মেয়েটি আর থেমে থাকতে পারলো না।মজলিস থেকে শরাফাতকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যেতে উদ্যত হলো।পুরো ঘটনাটা নাটকীয় রুপ ধারণ করলো।মজলিসে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ স্তব্ধ। কেউ মজা নিচ্ছে, কেউ অবাক হয়ে ভাবছে।এমন সময় কনে পক্ষের এক মুরব্বী বলল,
এই মেয়ে, শরাফাত যে তোমার স্বামী, তাছাড়া তার সঙ্গে যে তোমার বিয়ে হয়েছে তার কি প্রমাণ আছে।
মেয়েটি রাগের ভাষায় বলল,
প্রমাণ নেই মানে সব প্রমাণ আছে।
দেখাও তো দেখি কি প্রমাণ আছে।
মেয়েটি আর লেট করলো না।বিয়ের কাবিন নামা ও কিছু ছবি সবার সামনে মেলে ধরলো।কনে পক্ষের সবাই যদিও এতক্ষণ দ্বিধাদ্বন্ধের মধ্যে ছিল, কিন্তু কাবিন নামা ও ছবি দেখে বুঝতে পারলো শরাফাতের সঙ্গে সত্যি মেয়েটির বিয়ে হয়েছে, কিন্তু শরাফাত অস্বীকার করছে কেন সেটা হলো ভাবনার বিষয়।এবার কনের বাবা রাগাম্বিত হয়ে বরের বাবাকে বলল,
ছিঃ ছিঃ আবদূর রহমান সাহেব আপনি একজন মাদরাসার প্রিন্সিপাল হয়ে এত বড় জঘন্য কাজ করতে পারলেন।ধার্মিক লোক হয়ে অধার্মিকের মতো কাজ করলেন।বিবাহিত ছেলেকে আবার বিয়ে।আমার ভাবতে ও ঘৃণা হচ্ছে আপনার মতো লোক এমন ঘৃণিত কাজ করতে পারলেন।
ভাই আকবর সাহেব একটু শান্ত হও।
আকবর মাস্টার রেগে উঠে বলল,
রহমান সাহেব আমার মান সম্মান সব শেষ, এরপর ও বলছেন শান্ত হতে।আপনাকে আমি পুলিশে দেব।
ভাই বিশ্বাস কর, আমি এসবের কিছুই জানি না।যদি জানতাম ছেলেকে আবার বিয়ে করাতাম না।
আমি আপনার কথা বিশ্বাস করি না।সব মিথ্যে, সাজানো নাটক, বিবাহিত ছেলেকে আবার বিয়ে,ছিঃ ছিঃ কি লজ্জা, আমি আপনার কোন কথা শুনব না।এক্ষণি পুলিশ কল করবো।
আকবর মাস্টারের মেজাজ একেবারে হাইতে উঠে গেল।তিনি পুলিশ কল করতে মুঠোফোন হাতে নিলেন।তখনি তার কিছু আত্নীয়-স্বজন বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাকে বসালো।এবার শরাফাতের বাবা বলল,
আকবর ভাই আমি শরাফাতকে আঁড়ালে নিয়ে সব জিজ্ঞাসা করেছি।সে সব কিছু অস্বীকার করছে।আমার মনে হয় সব মেয়েটির ষড়যন্ত্র।ছোট জাতের মেয়েতো টাকার জন্য বোধহয় বিয়ের মিথ্য নাটক সাজিয়েছে।আমাকে একটু সময় দিন, আমি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে দেখি।কিছু টাকা দিলে হয়তো সব মিট হয়ে যেত।
আকবর মাস্টার বলল,
ভাই যা করার তাড়াতাড়ি করুন।আমার মান সন্মান বলে আর কিছু নেই।আমি লোকে জনকে কি বলব।
ঠিক আছে ভাই একটু অপেক্ষা করুন।
প্রিন্সিপাল সাহেব মেয়েটিকে ডেকে আঁড়ালে নিয়ে গেলেন।তারপর বললেন,
এই মেয়ে তেমার নাম কি?
আমার নাম লিপি।
লিপি শুন।
জ্বি বলুন।
আমার মনে হয় তুমি টাকার জন্য এ মিথ্যে নাটক সাজিয়েছ।কত টাকা দিলে তুমি এ মিথ্যে নাটক বন্ধ করবে বল? তুমি যা চাইবে তাই দেব।বল তোমার কত টাকার দরকার।
মেয়েটি ও হার মানার পাত্রী না।সে প্রতিত্তুরে বলল,
বাবা আমার এক টাকা ও লাগবে না।আমি চাই শুধু আমার স্বামীকে।
তুমি যাকে স্বামী বলছ সে তো তোমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করছে না।
বাবা সত্য কখনো চাপা থাকে না।আমি তার বিবাহিত স্ত্রী এটা একশ পার্সেন্ট সত্য।
কিন্তু সে তো তোমাকে অস্বীকার করছে, তুমি কিভাবে তা প্রমাণ করবে?
বিয়ের কাবিন নামা আর ছবি এসব কি প্রমাণ না?
লিপি এসব কাবিন নামা এবং ছবি নকল।এসব দিয়ে তুমি কখনো সত্য প্রমাণ করতে পারবে না।কারণ আজ কালের যুগে এসব মিথ্যে ঘটনা অহরহ ঘটে।আমি বলি কি, বাড়াবাড়ি না করে কিছু টাকা নিয়ে যাও, এতে তুমি ও তোমার ফ্যামিলির অনেক উপকার হবে।
মেয়েটি আর থেমে থাকতে পারলো না।কড়া ভাষায় বলল,
বাবা এতক্ষণ ভদ্রভাবে বলেছিলাম।এবার একটু কড়াভাবে বলি,আমরা গরীব হলে ও লোভী না।ছিঃ বাবা ছিঃ একজন ইসলাম পন্থী লোক হয়ে টাকা দিয়ে এত বড় সত্যকে গোপন করতে চাইছেন।আল্লাহ পাক কখনো এ অন্যায় বরদাস্ত করবেন না।আমি এক্ষণই আমার স্বামীকে এখান থেকে নিয়ে যেতে চাই।যদি আপনি বাঁধা দেন, আমি পুলিশ কল করবো।
এই বলে সে হনহন করে ভরা বিয়ের মজলিসে শরাফাতের সামনে গিয়ে আঙুল তাক করে বলল,
শরাফাত আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বল,
বিগত বছরের ২২ ই ফাল্গুন সোমবার রাত দশটায় তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়নি?
শরাফাত মাথা নিচু করে বলে,
না তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়নি।তুমি মিথ্যে বলছ।তুমি ভেবেছ এসব বললে আমি তোমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে, কিন্তু না তা কখনো না।কারণ তুমি আমার কেউ না।
সত্যি বলছ তো?
হ্যাঁ সত্যি।এক কতবার বলব, তুমি এখান থেকে চলে যাও।তানা হলে নকল বউ সেজে ব্লাকমেইল করার অপরাধে তোমাকে পুলিশে দেব।
সত্যি পারবে তো?
হ্যাঁ পারবো।
মেয়েটি প্রথমে ছেয়েছিল সিরিয়াসে না গিয়ে সহজ ভাবে বিষয়টাকে ম্যানেজ করেতে।কিন্তু বাপ-ছেলের বাড়াবাড়িতে মেয়েটি শেষ পর্যন্ত সিরিয়াসে যেতে বাধ্য হলো।সে সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মায়ের কাছে কল করলো।তারা সকল সত্য প্রমাণ নিয়ে হাজির।বিয়ে পড়ানোর ভিডিও, কাজী, সাক্ষী, সবাই উপস্থিত।প্রথমে ভিডিও ওপেন, তারপর কাজী, সাক্ষী সবাই সাক্ষ্য দিলেন।একে একে সকল সত্য বেরিয়ে আসল।বাপ-ছেলে লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো। তাদের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হলো না।আর বেরুবে কিভাবে ভিডিওটা সকল সত্য প্রকাশ করে দিলো।শরাফাত যায় কই, পুরো মজলিসের লোকজন বাপ-বেটা দুজনকে ছিট বাটপার বলে ছিঃ ছিঃ বলে ধিক্কার জানাল।
লোকজন একটা কথা বলাবলি করলো, একটা প্রবাদ আছে না, “আলেমের ঘরে ঝালেম” ঠিক তাই, হলো।বিয়ে অস্বীকার করে আবার বিয়ে, কিন্তু পারলে তো? যাক সময় মতো বিয়ে পড়ানোর পূর্বে সকল সত্য “ফাঁস” হয়ে গেল।আর একটু পরে হলে মাস্টারের মেয়ের কপাল পুড়ত।বিয়ে ভাঙ্গলো তাতে কিচ্ছু যায় আসে না।বিয়ে সময় মতো হবে।কিন্তু সম্নান চলে গেলে আর পাওয়া যায় না।অর্থাৎ সতীনের সংসার করার চেয়ে এ মুহূর্তে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়াটা বেশী উত্তম ছিল।কারণ সম্নানীয় বংশের মেয়েদের পক্ষে সতীনের সংসার করা সম্ভব না।এসব হলো ফালতু মেয়েদের কাজ।যাক কোনমতে তাদের মান রক্ষা হলো।শরাফাতের বাবা জরিমানা ও মাস্টারের কাছে হাত জোড় করে মাফ চেয়ে নিলো।


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

Afsana Khanam

Author: Afsana Khanam

লেখক

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

উদঘাটন

উদঘাটন      ❝সেদিনের পর থেকে আজও চিন্তিত থাকে সুকান্ত। সে কোনোদিনও সেই স্মৃতি ভুলতে পারবেনা❞ রহস্য আর রহস্যময় মানুষ

গল্প চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ

চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ মেহেরপুর একটি সুন্দর গ্রাম।এই গ্রামে কিছু অদ্ভুত নিয়মকানুন চালু আছে,যা অন্যকোন গ্রামে নেই।এই গ্রামে নারীরা

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ রানু বউ হয়ে এসেছে চার পাঁচ মাস হলো।এরই মধ্যে তার স্বামী স্কলারশিপ এর

গল্প মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ

মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ আবিদ হায়দার বেড়াতে এসেছে গ্রামে তার বন্ধু ফুয়াদ'র বাসায়।অবশ্য সে একা না,তার সঙ্গে আছে,বন্ধু সজল

Leave a Reply