ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড়
আফছানা খানম অথৈ
ইমাম মাহাদী (আ:) আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কেয়ামতের অন্যতম আলামত।বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের মধ্যে সম্পদের লোভ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।তাই আল্লাহতায়ালা কিছু লোভী প্রকৃতির মানুষকে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় প্রকাশ করে পৃথিবীর থেকে নির্মূল করে দিবেন।মুলত এই আলামতটি আমাদের একেবারে নিকটবর্তী।কিন্তু আমাদের কাছে পর্যাপ্ত হাদিসের জ্ঞান না থাকার কারণে, আমরা কেউ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করছি না।
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, ” অদূর ভবিষ্যতে ফোরাত সোনার ভাণ্ডার উম্মুক্ত করে দেবে।যে সে সময়ে ওখানে উপস্থিত থাকবে,সে যেন তার থেকে কিছুই গ্রহণ না করে”।সহীহ বুখারী খন্ড ৬,পৃষ্ঠা ২৬০৫
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন,”সেই পর্যন্ত কেয়ামত সংঘঠিত হবে না,যতক্ষণ না ফোরাত থেকে সোনার পাহাড় বের হবে।তার জন্য মানুষ যুদ্ধ করবে।প্রতি একশ জনে নিরানব্বই জন মারা যাবে।যে কজন জীবনে রক্ষা পাবে,তারা প্রত্যেকে মনে করবে,বোধহয় একাই আমি জীবিত আছি”।
ফোরাত নদী তুরস্ক থেকে সিরিয়ার উপর দিয়ে ইরাকে গিয়ে শেষ হয়েছে।এর দৈর্ঘ্য ২৭০০ কি: মি:।।এর ৯০ ভাগ পানির উৎস হলো তুরস্কের মুরাত নদী এবং কারাসু নদী। তুরস্কের বিবিচিক,সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশ,দেইর আজজুর,সাদায়েল,আবু কামাল,ইরাকের আল কায়েম,হাদিথা,রামাদি,ফালুজা নাজাফ,নামিসিয়া,ফুফা শহরগুলো মূলত এই ফোরাত নদীর উপর নির্ভরশীল।কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তুরস্ক, সিরিয়াও ইরাক সরকার এখন পর্যন্ত বারোটি ছোট বড় বাঁধ নির্মাণ করার কারণে ১৯৯৯ সালের পরে ফোরাত নদীর পানি আশংকাজনকভাবে কমতে শুরু করেছে।হাদীসে বলা হয়েছে,”ফোরাত নদীর পানি শুকিয়ে স্বর্নের পাহাড় আবিস্কৃত হবে”।
বর্তমান অবস্থার সাথে মিলিয়ে দেখলে বুঝা যায়।সেটি খুব বেশী দূরে নয়।কারণ Global water forum এর গবেষণা দেখা গেছে,ফোরাত নদীর পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে।