এক সময় দূর-দূরান্তে ঘন জঙ্গলের বুকে এক ছোট্ট গ্রাম ছিল। গ্রামবাসীরা ছিল শান্তিপ্রিয় মানুষ যারা তাদের দৈনন্দিন কাজগুলো সন্তুষ্ট চিত্তে করতেন। জীবন ছিল সহজ, এবং তারা সুখী ছিল।
একদিন, একটি বিশাল ঝড় বনের মধ্য দিয়ে বয়ে গেল, তার জেগে ধ্বংসের পথ রেখে গেল। পরদিন সকালে যখন গ্রামবাসীরা ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তাদের ফসল ভেসে গেছে। গ্রামবাসীরা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল এবং কী করবে বুঝতে পারছিল না।
তারা যখন তাদের গ্রামের ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তখন তারা একটি গাছের নীচে বসে থাকা এক বৃদ্ধের উপর হোঁচট খেয়েছিল। তার লম্বা দাড়ি ছিল, এবং তার চোখ অদ্ভুত আলোতে জ্বলজ্বল করে।
গ্রামবাসীরা তার কাছে এসে তার সাহায্য চায়। বৃদ্ধ লোকটি তাদের দুঃখকষ্টের কথা শুনলেন এবং বললেন, “আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি, কিন্তু আমি যা বলবো তুমি অবশ্যই করবে।”
গ্রামবাসীরা রাজি হল, এবং বৃদ্ধ লোকটি তাদের সমস্ত অবশিষ্ট কাঠ জড়ো করে গ্রামের মাঝখানে একটি বড় বনফায়ার তৈরি করতে বলল। তারা যেমন বলা হয়েছিল তেমনই করেছিল এবং শীঘ্রই আগুন জ্বলতে শুরু করেছিল।
তারপর বৃদ্ধ তাদের সব বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এসে বাজানো শুরু করতে বললেন। গ্রামবাসীরা বিভ্রান্ত হলেও তাদের যা বলা হয়েছিল তাই করেছে। শীঘ্রই গানের মিষ্টি সুরে গ্রাম ভরে গেল।
তারা খেলতে খেলতে, বৃদ্ধ লোকটি আগুনের চারপাশে নাচতে শুরু করে। তার চলাফেরা ছিল তরল এবং করুণ, এবং গ্রামবাসীরা মুগ্ধ হয়েছিল। তারা নাচে যোগ দিল, এবং শীঘ্রই পুরো গ্রাম আগুনের চারপাশে নেচে উঠল।
নাচতে নাচতে তারা তাদের কষ্ট ভুলে যেতে শুরু করে। তারা হেসেছিল এবং গেয়েছিল এবং তাদের কাছে ফিরে আসা জীবনের আনন্দ অনুভব করেছিল। অবশেষে যখন তারা থামল, তারা বুঝতে পেরেছিল যে তাদের গ্রাম ধ্বংস হয়নি, বরং রূপান্তরিত হয়েছে। এটি এখন একটি সুন্দর জায়গা, জীবন এবং শক্তিতে পূর্ণ।
বৃদ্ধ লোকটি তাদের দেখে হেসে বললেন, “তোমরা দেখেছ, আমার প্রিয় গ্রামবাসীরা, কখনও কখনও যা লাগে তা হল সামান্যতম সঙ্গীত এবং নাচের জীবনকে এমনকি অন্ধকার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে।”
গ্রামবাসীরা বৃদ্ধকে ধন্যবাদ জানায় এবং তাদের সাথে থাকার আমন্ত্রণ জানায়। তিনি তাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং গ্রামের একজন প্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। সেই দিন থেকে তারা প্রতিদিন নাচতেন এবং গান বাজনা করতেন, এবং তাদের গ্রামটি সারা দেশে আনন্দ এবং আনন্দের জায়গা হিসাবে পরিচিত ছিল।