এক সময়, এক দূর দেশে, জ্যাক নামে এক যুবক বাস করত। জ্যাক ছিলেন একজন অনাথ যিনি একটি বড় পাহাড়ের পাদদেশে একটি ছোট গ্রামে বাস করতেন। তিনি সর্বদা পাহাড়ের প্রতি মুগ্ধ ছিলেন, এবং তাদের চূড়ার মধ্যে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তা ভেবে ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতেন।
একদিন, তার গ্রামের চারপাশের বন অন্বেষণ করার সময়, জ্যাক একটি পুরানো মানচিত্রে হোঁচট খেয়েছিল। মানচিত্রটি একটি লুকানো পথ দেখিয়েছিল যা পাহাড়ের দিকে নিয়ে গিয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে যে কেউ এটি অনুসরণ করবে সে একটি বিশাল ধন আবিষ্কার করবে।
জ্যাক এই গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার আশায় উত্তেজিত হয়ে পাহাড়ের পথে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাটি দীর্ঘ এবং বিশ্বাসঘাতক ছিল এবং জ্যাক পথে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু তিনি চলতেই বদ্ধপরিকর ছিলেন এবং অবশেষে বহু দিনের ভ্রমণের পর তিনি পৌঁছে গেলেন সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়ায়।
সেখানে একটি গুহায় লুকিয়ে সে গুপ্তধন খুঁজে পায়। এটি সোনার মুদ্রা এবং মূল্যবান রত্ন দিয়ে ভরা একটি ছোট বুক ছিল, তবে জ্যাকের কাছে এটি বিশ্বের সমস্ত ধন-সম্পদের চেয়ে বেশি মূল্যবান ছিল। কারণ তিনি তার যাত্রায় আরও মূল্যবান কিছু আবিষ্কার করেছিলেন – তিনি তার নিজের শক্তি এবং সংকল্প আবিষ্কার করেছিলেন।
পাহাড়ের নিচে ফিরে যাওয়ার সময়, জ্যাক গর্ব এবং কৃতিত্বের অনুভূতি অনুভব করেছিলেন যা তিনি আগে কখনও অনুভব করেননি। তিনি জানতেন যে তিনি তার মন যা কিছু করতে চান তা তিনি সম্পন্ন করতে পারেন এবং কিছুই তার পথে দাঁড়াতে পারে না।
সেই দিন থেকে, জ্যাক একজন সাহসী দুঃসাহসিক হিসাবে সারা গ্রামে পরিচিত হয়ে ওঠে এবং তার গল্প অন্যদেরকে তার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করে। এবং যদিও তিনি যে ধন খুঁজে পেয়েছিলেন তা অবশ্যই মূল্যবান ছিল, সত্যিকারের ধন হল আত্মবিশ্বাস এবং সাহসের অনুভূতি যা তিনি তার যাত্রায় অর্জন করেছিলেন।
