ইসলাম ধর্মের সর্বোত্তম ইবাদত হলো সিয়াম যাকে বাংলায় রোযা বলা হয়। আর এ-ই রোযার অনুশীলন মোট ছ’টি। সেহরীর শেষ সময়সীমা পালন করা,মাগরিবের আগে খেজুর অথবা পানি পান করে নির্দিষ্ট সময়ে তাড়াতাড়ি ইফতার করা,সূর্যাস্তের পর দাঁত খিলাল ফেলে দেওয়া, বিশেষ সৌন্দর্যের জন্য রমজান মাসে উদার দান খয়রাত করা,রমজান মাসের শেষ দশদিন মসজিদে এতেকাফে বসা। এগুলো হচ্ছে সিয়াম বা রোযার অনুশীলন।
আল্লাহর নবী(স.) রোযার শেষ দশদিনে এ ধরনের প্রথা পালন করতেন। তিনি (স.) তখন তার বিছানাপত্র গুটিয়ে কোমরে চাদর বাঁধতেন এবং তার পরিবারের সদস্যবৃন্দকেও তা পালন করার উপদেশ দিতেন এবং দশদিনের শেষ দিন নাগাদ এবাদতে নিমগ্ন থাকতেন। এই দশদিন হলো, সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতের রাত বা লায়লাতুল কদর। সম্ভবত লায়লাতুল কদরের যে কোন বিজোড় রাত হবে। হয়তো বা একুশে, হয়তো বা তেইশে, হয়তো বা পঁচিশে, হয়তো বা সাতাশে রমজানের রাতই লায়লাতুল কদর। এই দশদিন দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে একাধারে এবাদতে মশগুল থাকাটা বেহতের।
যদি কোন ব্যক্তি কসম করে একাধারে দশদিন চিল্লায় বসেন এবং তিনি যদি চিল্লা অবস্থায় বিনা কারণে মসজিদ পরিত্যাগ করেন অথবা যদি কোন রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে যান অথবা শোক মিছিলে যোগ দেন অথবা দোস্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান অথবা পবিত্রতা নবায়ন করতে যান তাহলে তার চিল্লার ধারাবাহিকতা ভেঙে যাবে। তবে পায়খানা প্রস্রাবের জন্য ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে না। চিল্লায় থাকা অবস্থায় কোন ব্যাক্তি নিজ বাড়িতে এসে পায়খানা – প্রস্রাব করতে পারেন। তবে তিনি পথে অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবে। সবকিছুর পরেও চিল্লার নিয়তের নবায়ন উত্তম।

ভালো মতামত দিয়েছেন কবি