সর্দিকাশিতে মধু

0
আব্দুল মান্নান

মধু হলো আল্লাহ্ প্রদত্ব নিয়ামত বা বিশেষ দান। একটি মহৌষধ যার গুণ বহুমূখী।

মধু নিয়মিত সেবনে সুস্থভাবে দীর্ঘজীবন লাভ করা যায়।
সর্দিকাশির অসুখে মধু ভাল কাজ করে। সম্প্রতি চিকিৎসকগণ এর প্রাকৃতিক সমাধান খোঁজে পেয়েছেন।
নতুন গবেষণায় জানা গেছে সর্দিকাশির অসুখে অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারে মধু। এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক তেমন ভাল কাজ করতে পারেনা। তাছাড়া এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে, যেকারণে দীর্ঘমেয়াদে ওষুধ সেবনেও রোগ সারেনা।
এর বিপরীতে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা সহজ চিকিৎসা পদ্ধতি হলো- সর্দিকাশিতে : গরম পানিতে একটু মধু, লেবুর রস ও আদা মিশিয়ে পান করতে হবে।
কফ এবং গলাব্যাথা নিরাময়ে বড়ই ফলদায়ক এই প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থা।
উপরিউক্ত তথ্য যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ্ এন্ড কেয়ার এক্সেলেন্স (এনআইসি’ই) এবং পাবলিক হেলথ্ ইংল্যান্ড-এর গবেচষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়।
আল্লাহ্ তাআলা মধুর কথা কুরআনে উল্লেখ করেছেন। (আল কুরআন : সূরা আন্ নাহল্ – আয়াত : ৬৮-৬৯ক)
এক পেয়ালা গরম পানিতে অর্ধেক চা চামচ বা এক চা চামচ মধুর সাথে একটু দারচিনির গুঁড়া মিশিয়ে রোজ সকালে পান করলে শরীর নিরোগ থাকবে, এতে সুস্থভাবে দীর্ঘজীবন লাভ করা যায়।
মধুর উপকারিতা ব্যাপক। এখানে মহানবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর একটি হাদীছ বা বাণীর উল্লেখ করলে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝা যাবে। উক্ত হাদীছটি পরবর্তীকালে ইমাম বুখারী তাঁর বিখ্যাত হাদীছ গ্রণ্থ ‘ছহীহ্ বুখারী’তে সংকলন করেছেন।
হাদীছটির বর্ণনাকারী বিশিষ্ট সাহাবি (নবীর সঙ্গী) আবু-সাঈদ খুদরি (রাদিআল্লাহু আনহু) :
একদা এক সাহাবি নবী মুহাম্মদ (সা:) এর নিকট উপস্থিত হয়ে জানালেন তাঁর ভাইয়ের পেট পীড়ার কথা। উত্তরে নবীজি (সা:) মধু সেবনের পরামর্শ দিলেন। উক্ত লোকটি দ্বিতীয় দিন এসে একই কথা বললেন, তাঁর ভাইয়ের পেটের অসুখ করেছে। বিশ্বনবী এবারও মধু খাওয়াবার কথা বললেন।
তৃতীয় দিন লোকটি এসে একই কথা বলতে লাগলেন যে তাঁর ভাইয়ের অসুখ সারেনি। এবার নবীজি (সা:) জোর দিয়ে বললেন : আমার আল্লাহ্ আমাকে সঠিক বলেছেন। তোমার ভাইয়ের অসুখ বরং মিথ্যা। যাও, বাড়ি গিয়ে রোগীকে মধু পান করাও। নবীর নির্দেশ অনুযায়ী তিনি চলে গেলেন। লোকটি পরে ফিরে এসে তাঁর ভাইয়ের সুস্থ হওয়ার খবর জানিয়ে গেলেন।
‘তাফসীরে মারেফুল কুরআন’ গ্রণ্থে মুফাসসীরগণ উপরিউক্ত হাদীছে বর্ণিত ঘটনার ব্যাখ্যায় লিখেছেন – মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করেনা। কারো ক্ষেত্রে দেরিতে কাজ করে, কেউ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।
একইরকম আরো কিছু লেখা-

Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

Abdul Mannan

Author: Abdul Mannan

আবদুল মান্নান। জন্ম সিলেটে। ছোটবেলা থেকেই পড়ার প্রতি তীব্র আকর্ষণ। পড়তে পড়তে টুকটাক লেখার অভ্যাস গড়ে উঠা।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

বেলের উপকারিতা

বেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

বেল একটি খুবই সাধারণ ফল। শুধু গ্রামেই নয়, শহরেও তেল সমানভাবে জনপ্রিয়। বেল সাধারণত আমরা শরবত বানিয়ে খেয়ে থাকি। গ্রীষ্মকালে
শর্করা জাতীয় খাবার কি কি

শর্করা জাতীয় খাবার কি কি?

আজকে আমরা জানবো খাদ্যের প্রধান ছয়টি উপাদানের মধ্যে অন্যতম শর্করা জাতীয় খাবার সম্পর্কে। শর্করা, যাকে ইংরেজিতে কার্বোহাইড্রেট বলা হয়, মানবদেহের
প্রোটিন জাতীয় খাবার

খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রোটিন জাতীয় খাবার

আমরা জানি, পুষ্টি বিজ্ঞানীরা খাদ্যের উপাদানগুলোকে মোট ছয়টি প্রধান ভাগে ভাগ করেছেন। যার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রোটিন, যাকে বাংলায় বলি
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার কেন খাবেন?

জেনে নিন ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার কেন খাওয়া উচিত

ক্যালসিয়াম একটি অতি প্রয়োজনীয় খনিজ পুষ্টি উপাদান, যা বিভিন্ন খাদ্য, যেমন দুগ্ধজাতীয় খাদ্যে পাওয়া যায়। মানবদেহের হাঁড় এবং দাঁতের প্রায়

Leave a Reply