রোযায় সুস্থ থাকতে যেসব বিষয় মেনে চলতে হবে

0

ইসলামের পাচটি স্তম্ভের মধ্যে রমযান অন্যতম একটি স্তম্ভ। ইসলাম ধর্মে রোযা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর কারন হচ্ছে, আল্লাহ তা আলা রোযার সওয়াব নিজ হাতে দিবেন। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন হচ্ছে, রমযান মাসে রোযা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি বান্দা আনুগত্য হোন ও বান্দার মধ্যে আল্লাহভীতি প্রবেশ করে। এতে খাটি ঈমানদার হওয়া যায় ও মুমিন হিসেবে নিজেকে আল্লাহর কাছে আরো গ্রহণযোগ্য করে প্রদর্শন করা যায়। 

 

যেহেতু রমযানে প্রায় সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয় তাই আমাদের শরীরে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা জরুরী। নিম্নোক্ত বিষয়গুলো একটু খেয়াল করে নিয়মিত মেনে চললে রোযা রেখেও ফিট ও সুস্থ থাকা সম্ভব। আসুন দেখি নিই কী কী বিষয়গুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। 

 

১ নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন

 

রোযার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে শরীরকে সতেজ রাখা বা হাইড্রেটেড রাখা। এর জন্য রোযা না রাখার সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে ও শরীর সতেজ থাকবে। সেহরি ও ইফতারের সময় অন্যন্যা খাবারের সাথে প্রচুর ফলমূলও খেতে হবে। অন্তত যেসব ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে সেসব ফল বেশি খেতে হবে। 

 

২ ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার 

 

ইফতারে এমন সব খাবার রাখুন যা থেকে আপনার শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাবে। এক্ষেত্রে, খেজুর ও পানি হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। খেজুর আপনাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিবে ও পানি আপনার শরীরকে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করবে। 

এরপরে খেতে পারেন হালকা খাবার যাতে চর্বির পরিমাণ কম থাকবে। তার জন্যে বেছে নিতে পারেন ছোলা ও বুট জাতীয় খাবার। যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন তা হচ্ছে ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার। এসব খাবার আপনার হজমে সমস্যা করতে পারে ।

 

৩ হালকা ব্যয়াম করার অভ্যাস করুন

 

রোযার সময় ব্যায়াম করা আপনাকে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং আপনার ফিটনেস উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। রোজা না থাকার সময় আপনার ব্যায়ামের রুটিন বানিয়ে নিন। বিশেষত ইফতারের পরে। হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং আপনাকে দিনের বেলা সক্রিয় থাকতে সাহায্য করতে পারে।

৪ যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর চেষ্টা করেন

 

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রমজানে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরী। আপনার শরীরকে বিশ্রাম দিতে প্রতিদিন ৭/৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। দিনেও কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার শরীর চাঙ্গা থাকবে ও মন মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করবে। 

 

৫ ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন

 

রমজান মাসে ধূমপান ও মদ্যপান নিষিদ্ধ। এই অভ্যাসগুলো আপনার শরীরকে পানিশূন্য ্করে দিবে এবং আপনার স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি একজন ধূমপায়ী হোন, রমজান হলো ধূমপান ত্যাগ করার এবং আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়ার উত্তম সময়। 

 

৬ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন

 

আপনার যদি কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে রমযানের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যেহেতু রমযানে আমাদের খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যায় তাই আপনার জন্য সেরা পরামর্শটি ডাক্তারই দিতে পারে। এতে আপনার শরীরে রোযায় কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে। 

 

উপসংহার, রমজান মাসে সুস্থ ও ফিট থাকা অপরিহার্য যাতে আপনি আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারেন এবং আপনার ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করতে পারেন। হাইড্রেশন রোধ করা, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, সুষম খাদ্য গ্রহণ, ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়ানো, আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা এবং আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হোন। 

আপনার শরীরের কথা শুনুন এবং যখন আপনি ক্লান্ত বোধ করেন তখন বিরতি নিন বা নিজেকে সময় দিন। বুঝার চেষ্টা করুন কোথায় সমস্যা হচ্ছে। নিজেকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত রাখুন এবং মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে নিজের যত্ন নিন।

 


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

কবিতা আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ

আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ মা আমেনার গর্ভেতে জন্ম নিলো এক মহামানবের, নাম হলো তার মুহাম্মদ রাসুল আসলো ভবের

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ ইমাম মাহাদী (আ:) আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কেয়ামতের

কবিতা দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ

দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ কেয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসবে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবে, কাফের মুনাফিক যাবে তার দলে ঈমানদার মুমিন

গল্প হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনের গল্প আফছানা খানম অথৈ

জন্ম:হযরত মুহাম্মদ (সা:) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রে বনি হাশিম বংশে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার

Leave a Reply