গল্প পাগল তোর জন্য আফছানা খানম অথৈ

0

পাগল তোর জন্য

আফছানা খানম অথৈ

আঁখি বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে।অতি আদর যত্নে সে মানুষ।পড়ালেখায় ও ভালো।তবে আচার আচরণ একটু রুক্ষ ও বদ মেজাজি টাইপের।আর হবে না কেনো বাবা-মা আদর ছাড়া কখনো শাসন করেননি তো তাই।যখন যা চেয়েছে তা দিয়েছেন।কখনো কোন আবদার অপূর্ণ রাখেননি।মেয়ের আচার আচরণ চলাফেরা কোন কিছুতে উনাদের কোন আপত্তি নেই।মেয়ে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে চলবে এতে বাধা দেয়ার কী আছে।আধুনিক যুগ বলে কথা।মেয়ে ও ঠিক সেভাবে চলাফেরা করছে।এমনিভাবে চলতে গিয়ে সে এক বখাটের প্রেমে পড়ে যাই।
এদিকে তাকে ভালোবাসে তার দু’বছরের সিনিয়র মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের রিফন হায়দার।একদিন আঁখিকে সে সরাসরি বলল,
আঁখি আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আঁখি হা হা হো হো করে হেসে উঠে বলল,
যত্তসব রাবিশ আপনার সাহস তো কম না।আমাকে ভালোবাসেন?
হুম বাসি।
শুনুন।
হুম বলো।
আর কোনদিন এ কথা বলেছেন তো মরেছেন?
কী করবে?
প্রিন্সিপাল সারকে বলে মার খাওয়াব।শুধু তাই নয়, প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে কমপ্লেইন করবো, বহিষ্কার করার জন্য।
প্লিজ আঁখি আগে আমার কথা শুন তারপর যা খুশি তাই কর।
না আমি আপনার কোন কথা শুনব না।
প্লিজ আঁখি শুন।আজকের পর থেকে আমি তোমাকে আর ডিস্টার্ব দেব না।শুধু কিছুকথা বলব।বলো শুনবে?
ঠিক আছে বলুন।
আঁখি তুমি আমাকে ভালো না বাসলেও আমি তোমাকে ভালোবাসি।আঁখি তুমি আমার জীবনের একমাত্র নারী যাকে আমি মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি।যেদিন ভার্সিটিতে তোমাকে প্রথম দেখলাম সেদিন তুমি আমার হৃদয় সিংহাসনে আসন পেতে বসলে।কী করব তোমাকে যে সরাতে পারছিলাম না।তাই ভালোবেসে ফেললাম।আঁখি সত্যি আমি তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসি।কিন্তু তুমি হেসে উড়িয়ে দিয়ে আমায় উপহাস করলে।প্রিন্সিপালের ভয় দেখালে।একটা কথা মনে রেখ ভালোবাসা অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হয়।এ অন্তরে আছ শুধু তুমি তুমি তুমি।কোন ভয় ভীতি এ অন্তরের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করতে পারবে না। আমি সকল ভয়কে উপেক্ষা করে তোমাকে ভালোবেসে যাব।আর সেই ভালোবাসার টানে তুমি একদিন আমার কাছে ছুটে আসবে।
অসম্ভব আমি কখনো আপনাকে ভালোবাসব না।আপনার কাছে ছুটে ও যাব না।আমি আপনাকে ঘৃণা করি।তাছাড়া আমাকে ভালোবাসার মতো কী আছে আপনার?
একজন নারীকে ভালোবাসা ও সুখী করার জন্য একজনের পুরুষের যতগুলো বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার আমার সবগুলো আছে।এরপর ও যদি বলো আমি তোমার অযোগ্য তাহলে করার কিছু নেই।তবে একটা কথা মনে রেখ,তুমি যাকে ভালোবেসেছ সে একদিন তোমাকে কাঁদাবে।সেদিন তুমি বুঝবে সত্যিকার ভালোবাসা ও সত্যিকার মানুষ।সে মানুষ হিসেবে ভালো না মন্দ স্বভাবের।আমি আর কখনো ভালোবাসার দাবী নিয়ে তোমার সামনে দাঁড়াব না।তবে তোমার অপেক্ষায় থাকব।চলি।ভালো থেকো। শুভকামনা।
আঁখি আর বাড়াবাড়ি না করে ফিরে গেল গন্তব্য স্থলে।তারপর বয়ফ্রেন্ড এগিয়ে এসে বলল,
জান এতক্ষণ কোথায় ছিলে?
এইতো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
চলো চলো।
কোথায়?
কোথায় মানে ঘুরতে যাব।
না আজ থাক অন্যদিন যাব।
না তোমাকে যেতে হবে।
এক প্রকার জোর করে সৈকত তাকে নিয়ে গেল।কিছুক্ষণ ঘুরল তারপর তাকে নিয়ে গেল এক ফ্রেন্ডের বাসায়।কিছু সময় রোমান্স…।
তারপর রাত করে বাসায় ফিরল।
এমনি আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে কাটছে আঁখি সৈকতের প্রেমের রিয়েক্সাল।সৈকতের ডার্লিং কিন্তু একজন না ডজন খানেক হবে।যেদিন যাকে মন চায় তাকে নিয়ে ঘুরে। কারো নজরে কিন্তু কেউ পড়ে না।একদিন আঁখি বান্ধবীদের নিয়ে ছুটির দিনে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে বেরিয়েছে।তারা চিড়িয়াখানার ভিতরের রাস্তা দিয়ে হেটে চলেছে।ঠিক তখনি দেখল সৈকত একটা মেয়ের হাত ধরে হাটছে।আঁখি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলো না।সত্যি কি সৈকত না অন্য কেউ।সে আঁড়ালে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে রইল।তারপর দেখল তারা একটা গাছ তলায় পাশাপাশি বসে পড়লো।তারপর সে কী রোমান্স,একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কিস কিস…।
সুষমা বলল,
এই আমরা বিয়ে করবো কখন?
এইতো বেশি দিন না।ফাইনাল এক্সাম শেষ হোক তারপর।
সত্যি আমাকে বিয়ে করবে তো?
হুম করবো।
আমায় ছুঁয়ে শফথ কর।
জান এই তোমার মাথা ছুঁয়ে শফথ করে বলছি,আমি তোমাকে ভালোবাসি,তোমাকে বিয়ে করবো।
শফথ শুনার পর আঁখি আর নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারলো না।এগিয়ে এসে সৈকতের জামার কলার ধরে বলল,
চিট্ বাটপার এই তোর ভালোবাসা না?
ওহ তোর জান।তুই ওকে বিয়ে করবি ?তাহলে এতদিন আমার সাথে ভালোবাসাবাসি করলি কেনো?
আমার গা ছুঁয়ে ওতো শফথ করেছিলি।আবার ওর গা ছুঁয়ে ও শফথ করলি।
ছি:ছি: তুই প্রেমিক না,প্রেমিক নামের কলঙ্ক।তোর সাথে আমি সকল সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।
আঁখি তার সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করে এক বুক ব্যথা নিয়ে বাসায় ফিরে গেল।তারপর রিফনের ভালোবাসা স্মরণ করে চোখের জলে বুক ভাসাল।তার খোঁজ করতে শুনতে পেল সে স্কলারশিফ’র জন্য লন্ডন চলে গেছে।
এর ফাঁকে ক’বছর কেটে গেল। আঁখি মাস্টার্স কমপ্লিট করে একটা চাকরী নিলো।চারদিক থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করলো।
আঁখির এককথা সে বিয়ে করবে না।মা-বাবা একমাত্র মেয়েকে নিয়ে খুব দু:চিন্তায় আছেন।একদিন মা তার পাশে বসে বলল,
আঁখি তোর কী হয়েছে?
কই নাতো মা কিচ্ছু হয়নি।
তাহলে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিস না কেনো?
বললাম না মা বিয়ের ব্যাপার নিয়ে আমাকে আর কখনো ফোর্স করবে না।
কেনোরে? তোর কী পছন্দ আছে?থাকলে বল তার সঙ্গে বিয়ে দিহ্।
প্লিজ মা আমায় বিরক্ত করো নাতো।
শুন আঁখি,আগামীকাল এক পাত্রপক্ষ তোকে দেখতে আসবে।কাল তুই কোত্থাও যেতে পারবি না।
মা বিয়ের ব্যাপার নিয়ে যদি আর একটা কথা বল,আমি বাসা ছেড়ে ম্যাচে উঠব।
আচ্ছা তুই কী কোনদিন বিয়ে করবি না?
মা সেটা পরে দেখা যাবে।এখন যাও তো।
মা দেখল মেয়ের মুভমেন্ট ভালো না।তাই আর কথা না বাড়িয়ে নিজের ঘরে ফিরে গেল।এদিকে আঁখি রিফনের কথা স্বরণ করে ঘুমরে ঘুমরে কাঁদছে।না পারে কইতে না পারে সইতে।রিফন এখন তার ধরা ছোঁয়ার বাইরে।শত চেষ্টা করে ও তার ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারলো না।তবু তাকে আপন করে পাওয়ার জন্য বিধাতার কাছে রোজ রোজ প্রার্থনা করছে।একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে তার সই তিশার সঙ্গে ষ্টেশনে তার দেখা হলো।তিশা বলল,
হাই আঁখি কেমন আছিস?
ভালো নাইরে।
কেনো কী হয়েছে?তাছাড়া তোদের রিলেশনশিফ কেমন চলছে?
ভালো না।ওর সাথে আমার ব্রেকাপ হয়ে গেছে।
কেনো কেনো?
আসলে সে ভালো না।অন্য একটা মেয়ের সাথে তার রিলেশন আছে।
এ কথাটা আমি তোকে বলেছিলাম।কিন্তু তুই আমার কথা বিশ্বাস করলি না।এবার বিশ্বাস হলোতো?
তিশা শুন।
বল শুনছি।
না মানে ইয়ে…।
এত ইয়ে ইয়ে না করে বলতো কী জানতে চাস?
না মানে রিফন ভাই এখন কোথায়?
আমি জানব কি করে?
না মানে তোর বেস্ট ফ্রেন্ডতো তাই জিজ্ঞাসা করলাম আর কী।
তা সই কেনো?
না এমনি।
শুন আঁখি আমি সব বুঝি।তুই রিফনকে সত্যি ভালোবাসিস।কিন্তু এখন সে লন্ডন প্রবাসী।জানি না তার হৃদয় এখন কার দখলে।
তবুও সই একবার চেষ্টা করে দেখ না…।
আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।ওকে সত্যি ভালোবাসিরে।তাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা অসম্ভব।
জানিরে খালাম্মা আমাকে সব বলেছে।
কী বলেছে?
তুই নাকি বিয়ে করতে রাজী হচ্ছিস না।
মা আর কী বলেছে?
তোর বিয়ে নিয়ে খুব টেনশনে আছে।একমাত্র মেয়ে বলে কথা।তাছাড়া তুইতো উনাদেরকে বলে দিতে পারিস,যে তুই একজনকে ভালোবাসিস।
তা কি করে বলবো।ওতো এখন আমার দখলে নেই।
আঁখি সত্যিকার ভালোবাসা কখনো মরে না।দেখবি সে ঠিক তোর জীবনে ফিরে আসবে।
তোর কথা যেন সত্যি হয়।রিফন হায়দারকে যেন আমি জীবন সঙ্গী হিসেবে পাই।
ঠিক আছে টেনশন করিস না। আমি তার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে তোকে জানাব।এখন চলি।ভালো থাকিস।খোদা হাফেজ।
বাসায় ফিরতে তিশার মোবাইল ফোনে একটা অপরিচিত নাম্বার বেজে উঠল।সে ফোন রিসিভ করে সালাম দিয়ে বলল,
হ্যালো কে বলছেন?
আমি রিফন হায়দার।তিশা কেমন আছিস?
ভালো।রিফন তুই কোত্থেকে বলছিস?
বাংলাদেশ থেকে।
কবে বাংলাদেশে ফিরেছিস?
সপ্তাহ খানেক হবে।
তো কেমন আছিস?
ভালো।তা তুই কেমন আছিস?
ভালো।আমি এখন আর আগের তিশা নেইরে। বিয়ে করে একেবারে সংসার মুখী।
সত্যি?
হ্যাঁরে সত্যি।তোর কী খবর।বিয়ে করিসনি?
না এখনো করিনি।
কেনো?
মনের মতো কাউকে পাইনিতো তাই।
তাহলে তো ভালই হলো।
কেনোরে?
আঁখির ব্রেকাপ হয়ে গেছে।
সত্যি?
হুম সত্যি।শুধু তাই নয়,সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে।এবং তোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।
তিশা সত্যি বলছিস তো?
রিফন আমি তোর সঙ্গে মিথ্যে বলতে যাব কেনো।সে তোর অপেক্ষায় আছে।অবিভাবক শত চেষ্টা করেও তাকে বিয়ে দিতে পারছে না।
মজার ব্যাপার তো।যে আমাকে ঘৃণা করলো, সে নাকি আমাকে ভালোবাসে।বিশ্বাস হচ্ছে নারে।
রিফন সত্যিরে আঁখি তোকে ভালোবাসে।
আচ্ছা তা দেখা যাবে কতটুকু সত্য?
একশ পার্সেন্ট সত্য।আমি এক্ষণই তাকে খবর দিচ্ছি।তুই ফোন রাখ।
বলতে না বলতে তিশা ফোন করে আঁখিকে রিফনের খবর দিলো।আঁখি আর দেরী করলো না।উল্কার গতিতে ছুটে গেল রিফন’র কাছে।কলিংবেল টিপতেই দরজা খুলে একি দেখল রিফন,
এক গোছা লাল গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে আছে আঁখি। রিফন কী বলবে না বলবে ভেবে পাচ্ছে না।আস্তে করে বলল,
আঁখি তুমি ভিতরে এসো।
আঁখি আস্তে করে ভিতরে ঢুকল।তারপর লজ্জাবতী লতার মতো দাঁড়িয়ে রইল।এবার রিফন একটা চেয়ার এগিয়ে দিয়ে বলল,
আঁখি দাঁড়িয়ে আছ কেনো বস।তুমি একা যে তোমার বয়ফ্রেন্ড কোথায়?
প্লিজ আমাকে বয়ফ্রেন্ডের কথা বলে আর লজ্জা দিবেন না।
কেনো কী হয়েছে?
বললাম না আমাকে এসব বলে আর লজ্জা দিবেন না।
ঠিক আছে আর বলবো না।
একটা কথা বলবো?
হ্যাঁ বলো।
আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।সত্যিকার মানুষ ও সত্যিকার ভালোবাসা বুঝতে শিখেছি।আমি আপনার ভালোবাসা প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করেছি।আপনি ঠিক বলেছেন,আমি আপনার ভালোবাসার টানে ছুটে আসব।ঠিক তাই হলো।আমি ঠিক ছুটে আসলাম আপনার ভালোবাসার টানে।যেদিন থেকে আপনার ভালোবাসা বুঝতে পারলাম সেদিন থেকে এক মুহূর্তের জন্য আপনাকে ভুলতে পারলাম না।প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি ক্ষণ শুধু আপনাকে ভেবেছিলাম।আমার জীবনে এখন শুধু আপনারই প্রয়োজন।আমি সত্যি আপনাকে ভালোবাসি।
I love you.
আমায় গ্রহন করুণ।
আঁখি তুমি সত্যিকার ভালোবাসা বুঝতে পেরেছ এতে আমি ধন্য।আমি ও তোমাকে ভালোবাসি।
I love you too.
দীর্ঘ বিরহের পর দু’জনের মিট হলো।বিয়ে করে দুজনে সংসার জীবন শুরু করলো।রিফন বউকে জড়িয়ে ধরে গেয়ে উঠল “পাগল তোর জন্যরে” পাগল এ মন।
ঃসমাপ্তঃ


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

Afsana Khanam

Author: Afsana Khanam

লেখক

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গল্প চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ

চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ মেহেরপুর একটি সুন্দর গ্রাম।এই গ্রামে কিছু অদ্ভুত নিয়মকানুন চালু আছে,যা অন্যকোন গ্রামে নেই।এই গ্রামে নারীরা

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ রানু বউ হয়ে এসেছে চার পাঁচ মাস হলো।এরই মধ্যে তার স্বামী স্কলারশিপ এর

গল্প মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ

মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ আবিদ হায়দার বেড়াতে এসেছে গ্রামে তার বন্ধু ফুয়াদ'র বাসায়।অবশ্য সে একা না,তার সঙ্গে আছে,বন্ধু সজল

গল্প বন্ধ্যা আফছানা খানম অথৈ

গল্প বন্ধ্যা আফছানা খানম অথৈ আলেয়া বউ হয়ে এসেছে চার বছর হলো।এখনো মা হতে পারেনি। এজন্য রীতিমতো তাকে কটু কথা

One Reply to “গল্প পাগল তোর জন্য আফছানা খানম অথৈ”

Leave a Reply