গল্প শূন্য হৃদয় আফছানা খানম অথৈ

0

শূন্য হৃদয়

আফছানা খানম অথৈ

তুষার মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে সবেমাত্র।এখনো চাকরী হয়নি।তবে চাকরীর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একদিন ইন্টারভিউ শেষ করে ফেরার পথে গাড়ির জন্য ষ্টেশনে দাঁড়ালো।একি দেখল আহামরি এক রুপসী মেয়ে রাজকন্যা বেশে তার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে।তুষার ও তার পেছনে পেছনে গেল।দুজনের একই উদ্দেশ্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা।একটা বেঞ্চিতে দুজন পাশা-পাশি বসলো।তুষার পলকহীন ভাবে তার দিকে তাকিয়ে রইল।তাকে এভাবে তাকাতে দেখে মেয়েটি আপন মনে বলে,
আজবতো লোকটা আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে, মনে হয় মেয়ে মানুষ কোন দিন দেখেনি।যত্তসব পাগল ছাগলের দল।পরক্ষণে তুষার বলল,
হ্যালো শুনছেন।
মেয়েটি কথা বলছে না।তুষার ফের আবার বলল,
হ্যালো শুনতে পাচ্ছেন?
এবার মেয়েটি বলল,
কাকে বলছেন?
আপনাকে।
বলুন কি বলবেন?
আপনার সাথে কি পরিচিত হতে পারি?
কেন বলুন তো?
ইয়ে, মানে এমনি,আপনার নাম ঠিকানা।
আমি তিশা ইন্টার ফাস্ট ইয়ার,মিরপুর ১২
হেসে উঠে তুষার বলল,
ওয়াও সেখানে তো আমার ও বাসা।
এবার তিশা বলল,
আপনার নাম, পদবি?
আমি তুষার, সবেমাত্র মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি।চাকরী এখনো হয় নি। তবে হয়ে যাবে,এই মাত্র একটা ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছি।
থ্যাংকস।
দুজনের আলাপ পরিচয় শেষ।মুহূর্তে গাড়ি ষ্টেশনে এসে গেল।তারা গাড়িতে উঠে বসলো।দুজন এক সঙ্গে গাড়ি থেকে নামল।আশ্চার্যের বিষয় হলো দুজন একই বিল্ডিং এ থাকে, কিন্ত একজন চারতলা আরেক জন পাঁচ তলা।যাক দুজন স্ব স্ব বাসায় অবস্থান করলো।এরপর থেকে দুজনের মাঝে নিয়মিত দেখা সাক্ষাত রাজ জেগে ফোনালাপন।এক সময় তারা একে অপরকে গভীর ভাবে ভালোবেসে ফেলে।তুষারের এখনো চাকরী হয় নি।এবার সে বিদেশ যাওয়ার প্ল্যান করে।usa এর ফরম ফিলাপ করে জমা দেয়। ভাগ্যচক্রে লটারীতে তার নাম উঠে যাও।সে ইউ এস এ চলে যাও।
এদিকে তিশা কলেজের সেরা সুন্দরী।প্রতিদিন দুচারজন লাল গোলাপ নিয়ে হাটু গেড়ে তাকে আই লাভ ইয়ু সম্বোধন করে।তিশা এসবের দিকে তেমন একটা খেয়াল করত না।হেসে উড়িয়ে দিতো।কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল সে ঠিক এক জনের প্রেমে পড়ে গেল।তার সাথে তার সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ট হয়ে উঠে।তুষারের সাথে আগের মতো কথা বার্তা বলে না।ফোন নাম্বার চেঞ্জ করা হয়েছে তাই তিশাকে তুষার ফোনে পাচ্ছে না।তবুও সে তিশাকে ভালোবাসে।কারণ তিশা তার প্রথম ভালোবাসা।কিন্তু তিশা সেই ভালোবাসাকে প্রত্যাখান করে অন্য জনের প্রেমে মশগুল।বাবা-মা জানতে পেরে মেয়েকে অনেক বুঝিয়ে ঐ ছেলের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনে।এর ফাঁকে তিশার ইন্টার ফাইনাল শেষ হয়।সে ভালো রেজাল্ট করে।বাবা-মায়ের ইচ্ছা মেয়েকে ডাক্তার বানাবে।তাই মেডিকেল ভর্তি কোচিং করাচ্ছে।বাবা মেয়েকে কোচিং এ দিয়ে আসে এবং সময় মতো নিয়ে আসে।বাবা মেয়ের মাঝে অসম্ভব রকম ভালোবাসা।বাবার ধারণা আমার ছেলে নেই, মেয়ে আমার সব।তাই মেয়েকে ডাক্তার বানানোর ইচ্ছা তার ভিতরে কাজ করে অল টাইম।
সময় মতো মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হলো।মেয়ে কিন্তু পাস করলো না।এই নিয়ে বাবা খুব টেনশন করলো। হঠাৎ উনার মাথা ব্যথা সহ বুক জ্বালা পোড়া শুরু হলো।দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো।ইমারজেন্সি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু…।
ডাক্তার ইমারজেন্সি থেকে বের হলেন,
তিশা কেঁদে কেঁদে ডাক্তারকে বলল,
ডাক্তার সাহেব আমার পাপ্পুর কি হয়েছে?পাপ্পু কথা বলছে না কেন,আমার পাপ্পুকে ভালো করে দিন।
মেয়ের কান্নার কাছে ডাক্তার হেরে গেল।এমন একটা মৃত্যু ডাক্তার ও মেনে নিতে পারলো না।তার চোখ থেকেও পানি গড়িয়ে পড়লো।তারপর তিশার চাচ্চুকে তার বাবার মৃত্য সংবাদ দিলো।
তিশার বাবার মৃত্যুতে তাদের ফ্যামিলিতে আর্থিক সংকট দেখা দিলো।এক সময় তিশার বাবা তার টাকায় ছোট ভাইদের লেখা-পড়া শিখিয়েছেন।অথচ এখন তারা তিশা ও তার ছোট বোন রিশা এদের ঠিক মতো টেক কেয়ার করছেন না।এক সময় তিশার মাকে সবাই মান্য করতো।এখন তার কথার কোন দাম নেই,তাকে কেউ তেমন একটা এলাউ করছে না।কথায় কথায় দোষ ধরে,তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভাষা ব্যবহার করে।তিশার মা মেয়ে দুটোর মুখের দিকে চেয়ে নীরভে সব কিছু হজম করে নেয়।
এদিকে বাবার মৃত্যু পর তিশা দিশেহারা,কি করবে না করবে ভেবে পাচ্ছে না।একদিকে বাবা নেই অন্যদিকে আর্থিক সংকট।নিরুপায় হয়ে সেই ইউ এস এ থাকা ছেলেটিকে ফেসবুকে নক করে।ছেলেটি খুশি হয়ে তার ডাকে সাড়া দেয়।দুজনের মাঝে আবার পূণরায় চলে ফোনালাপ।তুষার তিশাকে অনেক বুঝায় এবং বাবার মৃত্যুকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়ে আবার পড়া লেখা করার কথা বলে।তিশা রাজী হয় এবং পরের বছর অনার্সে ভর্তি হয়।তুষার স্মার্ট ফোন পড়ার খরচ সব তিশার জন্য পাঠায়।তিশার ফ্যামিলির কেউ এসব জানে না।এদিকে তুষারকে বিয়ে করার জন্য তার ফ্যামিলি চাপ দিচ্ছে।তুষারের এক কথা, তিশা ছাড়া অন্য কাউকে সে বিয়ে করবে না।তুষারের বাবা রাজী থাকলেও মা কিন্তু রাজী নেই।কারণ ফ্যামিলি স্ট্যাটার্স দুজনেরি আলাদা।তিশা খান্দানি বংশের সুন্দরী মেয়ে,তবে বর্তমানে আর্থিক অবস্থা ভালো না।আর তুষার বংশের দিক দিয়ে একটু নিচু হলেও বর্তমানে ফ্যামিলি স্ট্যাটার্স তিশাদের চেয়ে অনেক হাই লেভেলে।আর এখানে দুফ্যামিলির অমিল।তাছাড়া দেখা শুনা পাশা-পাশি ফ্ল্যাটে থাকা মেয়ে ভালো হবে না। এজন্য তুষারের মা অমত পোষণ করেছেন।কিন্তু মায়ের না সম্বোধন ও তুষারকে থামিয়ে রাখতে পারেনি।সে মন প্রাণ দিয়ে তিশাকে ভালোবাসে।তুষারের এক কথা সে তিশাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না।দুজনের প্রেম একেবারে পাক্কা।একদিন মাঝ রাতে তুষার তিশা ফোনালাপনে ব্যস্ত।এক পর্যায়ে তুষার বলল,
তিশা একটা কথা বলবো?
হুম জান বল।
জান এভাবে আর কতদিন,আর ভালো লাগছে না তোমাকে ছেড়ে থাকতে?
জান আর একটু অপেক্ষা কর।
প্লিজ তিশা না করো না।তুমি রাজী থাকলে আমি আজই তোমাকে বিয়ে করতে চাই।
তুষার মায়ের মনে কষ্ট দিয়ে আমি এভাবে বিয়ে করতে পারবো না।
ঠিক আছে অবিভাবককে কষ্ট দিয়ে বিয়ে করা আসলে ঠিক না।আমি ঘটক মারফত প্রস্তাব পাঠাব।
ওকে জান তাই কর।
তিশা আরেকটা কথা বলি?
হুম বলো।
তুমি সত্যি আমাকে ভালোবাসতো?
হুম বাসি।
যদি আন্টি রাজী না হয়,তাহলে।
আগে চেষ্টা কর,বাকী চিন্তা পরে।
ওকে সুইট হার্ট, ভালো থেকো।রাখি বাই বাই।
তুষার আর দেরী করলো না।পরদিন ঘটক মারফত প্রস্তাব পাঠাল।তিশার মা রাজীতো হলো না।ঘটককে সিরিয়াস ভাবে অপমান করে তাড়িয়ে দিলো।তিশার মায়ের এক কথা এত নিচু বংশের ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দেবে না।শুধু টাকা থাকলে হবে না।সম্মানীয় বংশ,উচ্চ শিক্ষিত গেজেটেড অফিসার হতে হবে।এত কম শিক্ষিত প্রবাসী পুরুষের লাখ টাকা থাকলে ও সে মেয়ে বিয়ে দেবে না।ছাপ ছাপ তার জবাব।তিশার মা ছাড়া সবাই রাজী।এই নিয়ে তিশার চাচ্চুদের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হয়।তবুও তিশার মা রাজী হয় না।
এদিকে তিশা তুষারকে বলে,
জান আমি তোমাকে অনেক লাভ করি,তুমি আমার জান,তুমি আমার প্রাণ।তুমি আমাকে বিশ্বাস কর,এবং সুখ দুঃখের সাথী ভাবতে পার।আমি যেমন করে হোক মাম্মীকে রাজী করাবো।তারপর সারা জীবনের জন্য তোমাকে সঙ্গী করবো।
তিশার মুখে এমন কথা শুনে তুষার বলল,
মাই সুইট হার্ট আমি তোমাকে বিশ্বাস করি এবং মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি।যদি তোমাকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পাই।তাহলে লাখো পুরুষের মাঝে আমি ভাগ্যমান।
তুষারের মুখে এমন কথা শুনে তিশা বলল,
তুষার এত লেকচার দেয়ার মানে কী?
সুইট হার্ট লেকচার নয়,সত্যি, তবে একটা কথা যদি আন্টি রাজী না হয় আমরা গোপনে বিয়ে করবো।
ওকে জান তাই হবে।টেনশন করো না।
ওকে এখন রাখি।অনেক রাত হয়েছে এবার ঘুমাও। গুট নাইট।
এমনি ভাবে রোজ রাতে তারা ভিডিও কলে কথা বলত।তিশা তুষারের প্রেমে একেবারে মগ্ন।তুষার দুএকদিন পর পর ঘটক পাঠাই।কিন্তু তিশার মা কিছুতেই রাজী হয় না।
এদিকে তুষার তিশাকে বিয়ের জন্য ফোর্স করে।তিশা বাধ্য হয়ে তার এক বান্ধবীকে সব কথা বলে,এবং তাকে দিয়ে তার মায়ের কাছে ফোন করায়।মা বলে,
ঠিক আছে আমি ভেবে দেখি।
পরক্ষণে মা ফোনে বলল,
তিশা তুই কি তুষারকে ভালোবাসিস?
তিশা ভয়ে ঘুরিয়ে বলল,
জ্বী না মা ঠিক তাই না।ছেলেটা আমাকে অনেক অনেক ভালোবাসে তাই বলছিলাম আর কি।
তা বুঝলাম।কিন্তু এই ছেলেটাকে যদি তোর এত পছন্দ,তা আমাকে আগে বলিস নি কেনো?অন্য লোককে বলেছিলি কেনো?আমি কি তোর পর,আমি কি তোকে ভালোবাসি না?তুই আমাকে এতটা পর ভাবতে পারলি।
প্লিজ মাম্মী শান্ত হও।আমি তোমাকে পর ভাবতে যাব কেনো।তুমি তো আমার সব।আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
তা বুঝলাম।আমাদের মা মেয়ের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক।তবুও কথাটা আমাকে না বলে অন্য লোককে বলার মানে কী?
প্লিজ মাম্মী রাগ করো না।আমি বহুবার তুষারের বিষয়টা ইনডাইরেক্ট ভাবে বুঝাতে চেয়েছিলাম,কিন্তু তুমি বুঝাতো দূরের কথা শুনতেও চাওনি।তাই বাধ্য হয়ে আমার ফ্রেন্ডকে দিয়ে কথাটা বললাম।এতে এমন কি ভুল হয়েছে।মাম্মী জানি তুমি তুষারকে সহ্য করতে পারছ না।তাই প্রতি পদে পদে ভুল ধরছ।তবে একটা কথা মনে রেখ,আমাকে আর ও হাই লেভেলে বিয়ে দেবে ঠিকই,কিন্তু তুষারের মতো কেউ আমাকে ভালোবাসবে না।তুষার অনেক ভালো একটা ছেলে।এখন বুঝছ না,পরে ঠিকই আফসোস করবে।
তিশার কথায় মা বুঝতে পারলো,সত্যি তিশা ছেলেটাকে ভালোবাসে।তাই এমন কড়াভাবে কথাগুলো মায়ের মুখের উপর বলে দিলো।এবার যেমন করে হোক মেয়েকে ম্যানেজ করতে হবে।তবে সরাসরি না করা যাবে না।তাই মিষ্টি কণ্ঠে বলল,
মা মনি রাগ করো না।তোমার কিছু হলে আমি বাঁঁচব না।তুষার অনেক ভালো ছেলে সেটা আমিও জানি।আমি তোর চাচ্চুদের সাথে আলাপ করে দেখি কি করা যায়।
তিশা ভেবেছিল তার মা সত্যি রাজী হবে।তাই খুশি হয়ে তুষারকে ফোন করে বলে,
হ্যালো জান সুখবর আছে।
বল সুইট হার্ট কি খবর?
মাম্মী মনে হয় রাজী হবে,তুমি তাড়াতাড়ি প্রস্তাব পাঠাও।
ওকে এখনি পাঠাচ্ছি।
তুষার আর দেরী করলো না।ঘটক মারফত প্রস্তাব পাঠিয়ে দিলো।তিশার মা আগের মতো ঘটককে অপমান না করে বলল,
ঠিক আছে, আপনি এখন যান।বিয়ে শাদীর ব্যাপার,হুট করেতো কিছু করা যায় না।আমি ভেবেচিন্তে তারপর বলব।
ঘটক ফিরে এলো।তিশার মা দেবরের সাথে তুষারে ব্যাপারে আলোচনা না করে,তাড়াতাড়ি পাত্র দেখতে বলল।দেবর তাই করলো দ্রুত তিশার জন্য পাত্র ঠিক করলো।বিয়ের সব আয়োজন কমপ্লিট করে হোস্টেলে তার চাচ্চুকে পাঠাল তিশাকে আনতে।তিশা বলল,
চাচ্চু আমি এখন যাব না।কলেজ বন্ধ হোক তারপর যাব।
চাচ্চু বলল,
তোর মায়ের অসুখ বেড়ে গেছে,তোকে যেতে বলেছে।
তিশা আর দেরী করলো না।মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে ছুটে গেল।গিয়ে একি দেখল তার বিয়ে। বর সেজে বসে আছে এক যুবক।তিশার মাথায় সপ্ত আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।কোন কিছু বলার আগে তাকে নিয়ে যাওয়া হলো কনে সাজানোর জন্য।পরক্ষণে বিয়ে শাদীর কাজ শেষ।তিশা নিরভে সব কিছু হজম করে নিলো।
এদিকে তিশার বিয়ের খবর সময় মতো তুষার পেয়ে গেল।খবরটা শুনার পর তুষারের ভিতরের আকাশে তোলপাড়,কিছুতে মনকে বুঝাতে পারছে না।রীতি মতো হার্টফেল করার মতো।তার ভালোবাসার তিশা তার হৃদয়কে শূন্য করে অন্য হৃদয়ে গিয়ে বাসা বেঁধেছে।এ শূন্যতা সে কিছুতে সহ্য করতে পারলো না।তাই তাৎক্ষণিক ভাবে টিকেট করে “শূন্য হৃদয়” নিয়ে ইউ এস এ পাড়ি দিলো।


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

Afsana Khanam

Author: Afsana Khanam

লেখক

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গল্প চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ

চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ মেহেরপুর একটি সুন্দর গ্রাম।এই গ্রামে কিছু অদ্ভুত নিয়মকানুন চালু আছে,যা অন্যকোন গ্রামে নেই।এই গ্রামে নারীরা

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ রানু বউ হয়ে এসেছে চার পাঁচ মাস হলো।এরই মধ্যে তার স্বামী স্কলারশিপ এর

গল্প মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ

মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ আবিদ হায়দার বেড়াতে এসেছে গ্রামে তার বন্ধু ফুয়াদ'র বাসায়।অবশ্য সে একা না,তার সঙ্গে আছে,বন্ধু সজল

গল্প বন্ধ্যা আফছানা খানম অথৈ

গল্প বন্ধ্যা আফছানা খানম অথৈ আলেয়া বউ হয়ে এসেছে চার বছর হলো।এখনো মা হতে পারেনি। এজন্য রীতিমতো তাকে কটু কথা

Leave a Reply