আপনার শরীরে কেউ হঠাৎ করে একটা চিমটি কাটল, সাথে সাথে আপনি উফফ বলে শব্দ করে উঠলেন। আবার আপনিও অন্য কাউকে চিমটি কাটলেন তারও একই প্রতিক্রিয়া। এই উফফ শব্দটা হলো “ব্যথা” নামক এক অদৃশ্য যন্ত্রণারই বহিঃপ্রকাশ।
কেন হয় এই ব্যথা?
ব্যথাকে আমরা ‘পেইন ‘(pain) নামেও বলতে পারি। প্রাচীনকালে এই ব্যথা বা পেইনকে অপ্রাকৃতিক বিষয় মনে করা হত। কোন কোন জাতি বিশ্বাস করতেন এটা অশুভশক্তির আঘাতের কারণ। এটাকে সৃষ্টিকর্তার অভিশাপের ফলও বলে মনে করা হত।
বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী এবং শল্যচিকিৎসাবিদ ইবনে সিনা প্রথম ব্যথা সম্পর্কে বিজ্ঞান ভিত্তিক ধারণা দেন। তিনি বলেন, ব্যথা হচ্ছে এক ধরনের অনুভূতির সমষ্টি। পরিবর্তিতে ১৬৪৪ সালে আরেক বিজ্ঞানী এবং প্রখ্যাত গনিতবিদ রেনে ডি কার্তেস ব্যথার সংজ্ঞা দেন “স্নায়ুর ভিতর দিয়ে সংবেদনকৃত কষ্টদায়ক অনুভূতিগুলো যখন আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছায় তখন তাকে আমরা ব্যথা বলি”।
আধুনিক বিজ্ঞানে ব্যথা হচ্ছে এক ধরনের সিগন্যাল যা আমাদের শরীরে অবস্থিত কিছু রিসেক্টর নামক স্নায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদের মস্তিষ্ককে আলোড়িত করে এবং বিরক্তিময় অনুভূতির জন্ম দেয়।
আরেকটু বলি, উত্তর আমেরিকার ওয়াশিংটনের এক গবেষণা সংস্থা, দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর স্টাডি অব পেইন (IASP)’— এর ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত সংজ্ঞাঃ ” ব্যথা একটি অপ্রীতিকর অনুভূতি এবং মানসিক অভিজ্ঞতা যা প্রকৃত বা সম্ভাব্য টিস্যু ক্ষতি কিংবা তদ্রূপ ক্ষতির সাথে সম্পর্কিত। ”
উক্ত বিষয়ের সংক্ষিপ্তরূপে বোঝা যায়, দেহের কোনো জায়গায় ব্যথা পেলে সেখানে থাকা নার্ভগুলো এই ব্যথার সংকেতটি মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স নামক সংশ্লিষ্ট জায়গায় ব্যাথার অনুভূতি দেয়। ফলে আমরা ব্যথা অনুভব করি।
আরো পড়ুন-

ধন্যবাদ,অনেক অজানা তথ্য জানলাম