মানুষকে সৎকর্মশীল হওয়ার উপদেশ দেওয়া আজ একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ সাহিত্যের মাধ্যমে উপদেশ দেয়, কেউ উপদেশ দেয় বক্তৃতার মাধ্যমে। মসজিদের মেম্বারে উপদেশ যেমন হয় তেমন উপদেশ হয় সাধারণ হাটে বাজারে। আলেম-ওলামা থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই একে অপরকে উপদেশ দিতে ব্যস্ত কিন্তু নিজের বেলায় মানুষের চিন্তা চেতনা চলে যায় ভিন্ন দিকে।
উপদেশ দিতে ভালবাসি অনেকেই কিন্তু সেই উপদেশের আলোকে সুন্দর জীবন গঠন করতে পারা যে বড়ই কঠিন। আর এই কঠিন কে কঠিন হিসেবে রেখে দিয়ে অনেকেই শুধু উপদেশ দিয়ে যায় কিন্তু নিজের বেলায় তার আমল করে না।
উপদেশ দানকারীকে সবসময় জ্ঞানী হিসেবে ধরা হয়। জ্ঞানের কথা সব সময় সুকৌশলী হয়। এজন্য আল্লাহ তা’আলা যখন উপদেশ দানকারীদের ব্যাপারে কথা বলেছেন তিনিও কৌশল অবলম্বন করে কথা বলেছেন। আল্লাহ তায়ালা মধ্যমপন্থা অবলম্বন করেছেন তাদের ব্যাপারে যারা উপদেশ দেয়।
মধ্যমপন্থী আলেম বা মধ্যমপন্থী বক্তৃতা যারা দেয় তারা একটি বিষয়ের সকল দিক বর্ণনা করে। এরপরে উপস্থিত শ্রোতাদের কাছেই সে বিষয়ে প্রশ্ন রাখে এর মধ্যে আপনারা কোনটা বেছে নিবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার। যারা জ্ঞানী তারা সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। উপদেশ দানকারীরা যেহেতু জ্ঞানী সেহেতু আল্লাহ তাআলা উপদেশ দানকারীদের কে ঠিক এভাবেই উপদেশ ও সুপরামর্শ দান করেছেন।
আল্লাহ-তাআলা কুরআনে পাকে ইরশাদ করেন,
اَتَاْمُرُوْنَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَ تَنْسَوْنَ اَنْفُسَكُمْ وَ اَنْتُمْ تَتْلُوْنَ الْكِتٰبَ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ
তোমরা অন্যদের সৎকর্মশীলতার পথ অবলম্বন করতে বলো কিন্তু নিজেদের কথা ভুলে যাও। অথচ তোমরা কিতাব পাঠ করে থাকো। তোমরা কি জ্ঞান বুদ্ধি একটুও কাজে লাগাও না?
[সুরা আল বাক্বারা, আয়াত: ৪৪]
সুতরাং নিজের বুদ্ধির সঠিক ব্যবহার করতে এবং সুন্দর জীবন গঠন করতে আমাদের উচিত আল কুরআনের উপদেশগুলো অন্যের কাছে প্রচার করা। অন্যকে সৎ কাজের পরামর্শ ও উপদেশ দেওয়া এবং নিজেকে সৎকর্মশীলদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা। কিন্তু আমরা কি আসলেই সঠিকভাবে উপদেশ মেনে চলতে পারছি? আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন।
লেখক: ফারুক আব্দুল্লাহ
তারিখ: ১৪-০১-২০২৩
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। জাযাকাল্লাহ খাইরান
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া ❣️