কফিনের অন্তরালে – ভাস্কর পাল

0

কফিনের অন্তরালে

  • ভাস্কর পাল

 

চুপ কেন আজ, তবে কি শুনবে না কবিতা?

ভোরে উঠেছে কত লেখায়, আমার কাব্য খাতা।

 

আগে তো রোজ বায়না করতে, একটা করে কবিতা শুনতে

আজ কি আর ভালোলাগে না! কবিতারা বুঝি আর খোঁজে না?

 

আকাশ আজ তারায় ঢাকা, হয়না গুনে শেষ

আমায় ছেড়ে তারাদের মাঝে তুমিও আছো বেশ!

 

অলস দুপুর তোমায় ছাড়া বড্ডো ফাঁকা লাগে,

তোমার গানের শব্দ গুলো আমার কানে বাজে।

 

হঠাৎ করেই আলাপ হয়েছিল, মনে আছে তোমার?

ছেড়ে যাবে না বলেও তুমি কোথায় গেলে এবার??

 

রাগ করে বুঝি আমার উপর,, এতটা শাস্তি দিচ্ছ!!

ফিরে এসো তুমি, একাকিত্বটা পাড়ছিনা করতে সহ্য।।

 

তোমার জন্য বানানো নূপুর পরে আছে আজ বাক্সে,

আমায় ছেড়ে বন্দি তুমি বদ্ধ কফিন বাক্সে।।

 

মনে পড়েনা মেঘলা বিকেল, গঙ্গা তীরে সূর্যি ডুবতো

কমলা রঙের আকাশটাকে কেমন করে মাতিয়ে তুলতো।

 

মনে পড়ে না একই রিকশায়, আমার হাতটা শক্ত কিরে ধরে-

বলতে রোজ তোমার জন্য বেলির মালা আনতে।

 

চুপ করে কেন, কি ভাবছো!! মিটমিট করে আকাশেতে জ্বলছ

ইচ্ছা করেনা ফিরে এসে, চমকে দিয়ে ভালোবাসি বলবো!!

 

লিখলে না তো যাওয়ার আগে, আমায় কোনো চিঠি

বললে না তো সাবধানে থেকো, এবার আমি আসি।

 

হঠাৎ করেই চমকে দিয়ে আচমকাতে উধাও

ভাবছো হয়তো এখন আমি ভালোই আছি বোধহয়।

 

সময় দিলে না শেষ চুম্বনের, কপালে দিয়ে বলতে-

তার আগেই কফিনেতে নিজেকে স্থান দিলে!!

 

আজও তোমার সেই মুখটা ভেসে ওঠে চোখের কোণেতে,,

শুনছো বোধহয় চুপটি করে এসব কথা কফিনের অন্তরালেতে!!

 


আরো পড়ুন-


 


56
বিজ্ঞাপনঃ মিসির আলি সমগ্র ১: ১০০০ টাকা(১৪% ছাড়ে ৮৬০)

0

ভাস্কর পাল

Author: ভাস্কর পাল

আমার নাম ভাস্কর পাল। জন্ম পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর অঞ্চলে। ছোটো থেকে মায়ের হাত ধরে বিদ্যালয়ের পত্রিকায় কবিতা লেখা শুরু। বিভিন্ন যৌথ বই এবং পত্রিকায় অনেক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া ২০২২ সালে নিজের একটি একক কবিতার বই 'ফুলঙ্গিনী' প্রকাশিত হয়েছে।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

রক্তেমোড়া লাশ

আবু সাঈদ জুলাই মাসের বিপ্লবী ওই বীর, স্বৈরাচারকে রুখতে সবাই উচ্চে রাখে শির। জুলাইয়ের ওই প্রথম প্রহর ছিলো রক্তে লাল,

তুমি এসো

তুমি এসো, ক্লান্ত হৃদয়ে বিশ্রাম হয়ে… দিনশেষের নিঃশ্বাসে তুমি হও শান্তির ছায়া, ভাঙা স্বপ্নগুলোকে জোড়া লাগানো একটুখানি আশা।   তুমি

বর্ষার খুশি

বর্ষা এলে সুবাস ছড়ায় কদম কেয়া গন্ধ, কবিরা তাই কাব্য সাজায় লিখে দারুণ ছন্দ। আষাঢ় এলো বর্ষা নিয়ে কদম কেয়া

স্রোতের কণ্ঠে চন্দ্রাবিষ্ট জ্যোৎস্না

চাঁদের বিমূর্ত আলোয় ধৌত স্রোতের অন্তর্গত স্তব্ধতা, স্রোতের কণ্ঠে বাজে চন্দ্রাবিষ্ট প্রার্থনার ঝিলিক, অন্ধকারে আলো ফুটথাচর অবিনাশী চুম্বন, জল হয়ে

Leave a Reply