” এটি জগতসমুহের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।’ (সূরা হাক্কাহ- ৪৩) “
‘‘নিশ্চয় এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে’’ [সূরা আশ-শু‘আরা-১৯২]।
সূচিপত্র
Toggleপৃথিবীকে আলোকিত করতে
” এই কিতাব আমি (হে মুহাম্মদ) তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি মানবজাতিকে তাদের প্রতিপালকের নির্দেশে অন্ধকার থেকে বের করে আলোকে আনতে পারো। বের করে আনতে পারো তাঁর পথে, যিনি পরাক্রমশালী, প্রশংসিত “। [সুরা : ইবরাহিম, আয়াত :১]
” তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দার প্রতি সুস্পষ্ট আয়াত অবতীর্ণ করেন, তোমাদের অন্ধকার থেকে আলোকে আনার জন্য। আল্লাহ তো তোমাদের প্রতি করুণাময়, পরম দয়ালু।” (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ৯)
” তিনিই তাঁর দাসের প্রতি প্রকাশ্য আয়াত অবতীর্ণ করেন, যাতে তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোকে আনয়ন করেন। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি করুণাময়, পরম দয়ালু “। (সূরাঃ আল হাদীদ, আয়াতঃ ৯) “
” যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ২৫৭) “
হিদায়াত হিসাবে
‘আর আমি (হে মুহাম্মদ) তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি প্রতিটি বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা, হিদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।’ (সূরা আন-নাহল- ৮৯)
” হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী (অর্থাৎ কুরআন) এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য”। (সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৫৭) “
“এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি এবং আল্লাহ-ই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন”।(সূরাঃ হাজ্জ্ব, আয়াতঃ ১৬) “
“এবং নিশ্চিতই এটা (কুরআন) মুমিনদের জন্যে হেদায়েত ও রহমত”। (সূরাঃ নমল, আয়াতঃ ৭৭)
তাওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্য
” তোমাদের উপাস্য হচ্ছেন এক আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই। তিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু”। ( সূরা বাকারা : ১৬৩)
“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরপ্রতিষ্ঠিত ধারক”। ( সূরা আলে ইমরান ৩ :২)
“নিশ্চয়ই এটা প্রকৃত ঘটনা। আল্লাহ ছাড়া অন্য সত্য ইলাহ নেই। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়”। ( আলে ইমরান ৩ : ৬২)
” তোমরা কি এমন সাক্ষ্য দিতে পার যে, আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহও আছে? বল, আমি এমন সাক্ষ্য দেই না, বল তিনি তো এক ইলাহ আর তোমরা যে তাঁর অংশীদার স্থাপন কর, তা থেকে আমি সম্পূর্ণ মুক্ত। (আনআম ৬ : ১৯) “
শির্কের মূলোৎপাটন করতে
” ‘আল্লাহর সঙ্গে শরীক (স্থাপন) করো না। নিশ্চিত জেনে রেখো শিরক (আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করা) হচ্ছে অতি বড় জুলুম”(লুকমান ১৩)
“নিশ্চয় জেনো, আল্লাহর সঙ্গে শরীক বানানোর যে পাপ তা তিনি ক্ষমা করেন না”। (নিসা ৪৮)
‘যে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকেও ডাকে। তার সমর্থনে তার হাতে কোন দলিল প্রমাণ নেই। তার হিসাব-নিকাশ হবে আল্লাহর নিকট। এ ধরনের কাফেররা কিছুতেই কল্যাণ ও সফলতা লাভ করতে পারে না।’ (মুমিনুন ১১৭)
‘তোমরা কেবলমাত্র আল্লাহরই দাসত্ব ও ইবাদত করো। আর অন্য কোন কিছুকেই তাঁর সঙ্গে শরীক করো না।’ (নিসা ৩৬)
“আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা আল্লাহকে অস্বীকারকারী, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। সৃষ্টির মধ্যে তারাই নিকৃষ্ট।” (সুরা বাইয়্যেনাহ : আয়াত ৬)
জ্ঞানীদের চিন্তার খোরাক
‘”তবে কি তারা কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহে তালা বদ্ধ রয়েছে?” (সূরা মুহাম্মদ-২৪)
“আমি একে এক নিদর্শনরূপে রেখে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? “(সূরাঃ আল ক্বামার, আয়াতঃ ১৫)
“নিশ্চয় যারা কোরআন আসার পর তা অস্বীকার করে, তাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার অভাব রয়েছে। এটা অবশ্যই এক সম্মানিত গ্রন্থ। “(সূরাঃ হা-মীম সেজদাহ, আয়াতঃ ৪১)
“যিনি সৃষ্টি করে, তিনি কি সে লোকের সমতুল্য যে সৃষ্টি করতে পারে না? তোমরা কি চিন্তা করবে না? ” (সূরাঃ নাহল, আয়াতঃ ১৭)
“অতএব তারা কি এই কালাম (কুরআন) সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? না তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে, যা তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি? “(সূরাঃ আল মু’মিনূন, আয়াতঃ ৬৮)
“তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পার”। (সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ২১৯)
“আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? ” (সূরাঃ আল ক্বামার, আয়াতঃ ১৭)
সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী
” তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্যদ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি সকল দ্বীনের উপর তা বিজয়ী করে দেন। যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। ” (সূরা আস-সফ-৯)
“তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে। “(সূরাঃ আত তাওবাহ, আয়াতঃ ৩৩)
সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা
” নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সঙ্গে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড – নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।” (সূরা হাদীদ-২৫)
পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী
“তিনি (আল্লাহ্, হে রাসুল) আপনার প্রতি কিতাব (কুরআন) নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের। (সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৩)
“আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ (কুরআন), যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী”। (সূরাঃ আল মায়িদাহ, আয়াতঃ ৪৮)
“আর এটি পূর্ববর্তী কিতাব সমুহকে সত্যায়ন করে, যেমন তওরাত”। (সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৫০)
কুরআন এসেছে প্রচারের জন্য
“হে রাসূল, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে, তা পৌঁছে দাও” [সূরা মায়িদাহ : ৬৭]।
“আমার প্রতি এ কোরআন অবর্তীর্ণ হয়েছে-যাতে আমি তোমাদেরকে এবং যাদের কাছে এ কোরআন পৌঁছে সবাইকে ভীতি প্রদর্শন করি। ” (সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ১৯)
” কিন্তু আল্লাহ তা’আলার বাণী পৌছানো ও তাঁর পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে। ” (সূরাঃ আল জিন, আয়াতঃ ২৩)
কুরআন হচ্ছে উপদেশ
” আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবর্তীর্ণ করেছি; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। তোমরা কি বোঝ না? ” (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০)
“আর এটাই আপনার পালনকর্তার সরল পথ। আমি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্যে আয়াতসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ননা করেছি। ” (সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ১২৬)
“এটি একটি গ্রন্থ, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে করে আপনি এর মাধ্যমে ভীতি-প্রদর্শন করেন। অতএব, এটি পৌছে দিতে আপনার মনে কোনরূপ সংকীর্ণতা থাকা উচিত নয়। আর এটিই বিশ্বাসীদের জন্যে উপদেশ। ” (সূরাঃ আল আ’রাফ, আয়াতঃ ২)
“হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। ” (সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৫৭)
“আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। “(সূরাঃ হিজর, আয়াতঃ ৯)
“এবং এটা একটা বরকতময় উপদেশ, যা আমি নাযিল করেছি। অতএব তোমরা কি একে অস্বীকার কর? ” (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৫০)
রাসুলুল্লাহর স্বীকৃতি হচ্ছে কুরআন
” আমি আপনাকে (হে রাসুল) সত্যদ্বীনসহ সুসংবাদদাতা এবং ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি, জাহান্নামীদের সম্বন্ধে তোমাকে কোন প্রশ্ন করা হবে না। “(সূরা বাকারা ২ :১১৯)
“মুহাম্মদ সাঃ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। ” (সূরাঃ আল আহযাব, আয়াতঃ ৪০)
” হে মুমিনগণ, তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি, তাঁর রাসূলের প্রতি এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করেছেন এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি পূর্বে নাযিল করেছেন। “(আন নিসা ৪ : ১৩৬)
” নিশ্চয় আপনি প্ররিত রাসূলগণের একজন। সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।’’ [সূরা ইয়াসিন, আয়াত: ৩-৪]
‘‘আমি আপনাকে সমগ্র জগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’’ [ আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭]
‘‘হে নবী! আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদ দাতা, ভীতি প্রদর্শক ও উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।’’ [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৪৫-৪৬]
“নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ২১]
কুরআন এসেছে সতর্কবাণী হয়ে
” এমনিভাবে আমি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি এবং এতে নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহভীরু হয় অথবা তাদের অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়। ” (সূরাঃ ত্বোয়া-হা, আয়াতঃ ১১৩)
” বলুনঃ আমি তো কেবল ওহীর মাধ্যমেই তোমাদেরকে সতর্ক করি, কিন্তু বধিরদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে সতর্কবাণী শোনে না। ” (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৪৫)
কুরআন এসেছে সুসংবাদ দিতে
“তাদের সুসংবাদ দিচ্ছেন তাদের পরওয়ারদেগার স্বীয় দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, সেখানে আছে তাদের জন্য স্থায়ী শান্তি।” (সূরাঃ আত তাওবাহ, আয়াতঃ ২১)
” এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে। ” (সূরাঃ বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ৯)
” আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন। “(সূরাঃ মারইয়াম, আয়াতঃ ৯৭)
অন্যান্য উপাস্যকে ভূলুন্টিত করতে
” যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার সনদ নেই, তার হিসাব তার পালণকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না। “(সূরাঃ আল মু’মিনূন, আয়াতঃ ১১৭)
“আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছু ধবংস হবে। বিধান তাঁরই এবং তোমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরাঃ আল কাসাস, আয়াতঃ ৮৮)
“আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।” (সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ১৬৩)
“আপনি বলুনঃ বল তো দেখি, যদি আল্লাহ তোমাদের কান ও চোখ নিয়ে যান এবং তোমাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেন, তবে এবং তোমাদের আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে এগুলো এনে দেবে? দেখ, আমি কিভাবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিদর্শনাবলী বর্ণনা করি। তথাপি তারা বিমুখ হচ্ছে। ” (সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ৪৬)
“হে কারাগারের সঙ্গীরা! পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? ” (সূরাঃ ইউসূফ, আয়াতঃ ৩৯)
কুরআন সত্য মিথ্যার প্রভেদকারী
” রমযান (হলো সে) মাস যে মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে, (কুরআন) মানব জাতির জন্য পথনির্দেশিকা এবং স্পষ্ট তথ্য-ধারণকারী পথনির্দেশিকা ও সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী। ” (সূরা বাকারা ২:১৮৫)
“নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা। “(সূরাঃ আত্ব-তারিক্ব, আয়াতঃ ১৩)
কুরআন হচ্ছে শরীয়তের দলিল
“এরপর আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না। ” (সূরাঃ আল জাসিয়া, আয়াতঃ ১৮)
“আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো। ” (সূরাঃ আল আ’লা, আয়াতঃ ৮)
“(হে নবী মুহাম্মাদ!) তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যে ওহী আসে তুমি সেটারই অনুগত্য-অনুসরণ করে চলো। “[সূরা আনআম ১০৬]
“(হে মুমিনগণ!) তোমাদের রবের পক্ষ থেকে (নবী মুহাম্মাদের উপর) তোমাদের জন্য (শরীয়ত হিসেবে) যা নাজিল করা হয়েছে, তোমরা তার অনুগত্য করে চলো। আর তাঁকে বাদ দিয়ে (অন্য কোনো) অভি ভাবকের অনুগত্য-অনুসরণ করো না। “[সূরা আ’রাফ ৩]
“আর (হে নবী মুহাম্মাদ!) আল্লাহ তোমার কাছে নাজিল করেছেন আল-কিতাব (কুরআন) এবং হিকমাহ্ (সুন্নাহ)”। [সূরা নিসা ১১৩]
আরো পড়ুন-
- সেরা ইসলামিক বই–যা অবশ্যই পড়া উচিত
- বিশ্বের সেরা কিছু মুসলিম আবিষ্কারক
- আল্লাহ্র হিদায়াত পাওয়ার শর্তসমূহ কী
- কবরের প্রশ্ন এবং আমাদের অজ্ঞতা
- কুরআন বিমুখীতার পরিনতি
- শিরক কী, মানুষ কীভাবে শিরক করে
- আল্লাহর কাছে যারা সফল
- ঈমান কী, পরিপূর্ণ ঈমানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা
- তাওহিদ কী? কীভাবে আল্লাহর তাওহিদ ক্ষুন্ন হয়
Author: সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী জন্ম চট্টগ্রামে। জীবিকার প্রয়োজনে একসময় প্রবাসী ছিলেন। প্রবাসের সেই কঠিন সময়ে লেখেলেখির হাতেখড়ি। গল্প, কবিতা, সাহিত্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলা পত্রিকায়ও নিয়মিত কলাম লিখেছেন। প্রবাসের সেই চাকচিক্যের মায়া ত্যাগ করে মানুষের ভালোবাসার টানে দেশে এখন স্থায়ী বসবাস। বর্তমানে বেসরকারি চাকুরিজীবী। তাঁর ভালোলাগে বই পড়তে এবং পরিবারকে সময় দিতে।
আলহামদুলিল্লাহ