গুনিয়াতুত তালেবীন ও হানাফী মাযহাব

2

InShot 20230527 151531399গুনিয়াতুত তালেবীন ও হানাফী মাযহাব

 

সত্যবিদ্বেষী কিছু লোক গুনিয়াতুত তালেবীন নামক কিতাবের ভুয়া রেফারেন্স দিয়ে অনলাইন-অফলাইনে ইমাম আবু হানীফা রহ. ও হানাফীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তাদের দাবি, আব্দুল কাদের জিলানী রহ. নাকি তাঁর গুনিয়াতুত তালেবীন কিতাবে লিখেছেন— হানাফীরা মুরজিয়া ফিরকার অন্তর্ভুক্ত। হানাফী ফিরকার মানুষেরা আবূ হানীফা নুমান ইবন সাবিতের অনুসারী। তারা মনে করে যে, ঈমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল থেকে যা কিছু এসেছে তা সামগ্রিকভাবে জানা ও মুখে স্বীকার করা।

দলীল হিসেবে সাধারণ মানুষকে কিছু ভুয়া অনুবাদ-সংবলিত উর্দু/বাংলা কিতাব দেখানো হচ্ছে। কিন্তু মূল আরবী কিতাব থেকে হানাফীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা দেখাতে পারেনি তারা।

মূলত মুরজিয়া ফিরকার বর্ণনায় হানাফীদের আলোচনা বাংলাদেশ-পাকিস্তানের কিছু বাংলা/উর্দু কিতাবেই উল্লেখ রয়েছে। আব্দুল কাদের জিলানীর মূল আরবী কিতাবে মুরজিয়া ফিরকার বর্ণনায় হানাফীদের আলোচনার ছিটেফোঁটাও নেই।

 

গুনিয়াতুত তালেবীনে আসলে কী আছে

এবার আমরা দেখবো, আব্দুল কাদের জিলানী তাঁর আসল গুনিয়াতুত তালেবীন কিতাবে মূলত কী বলেছেন? হানাফীদের বিরুদ্ধে আদৌ কি তাঁর এমন কোনো বক্তব্য আছে? নাকি অন্য কিছু?

আমি কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গুনিয়াতুত তালেবীন কিতাবটি দেখেছি। বিশেষ করে সুপ্রাচীন ও সুপ্রসিদ্ধ প্রকাশনী ‘দারুল কুতুব ইলমিয়া’ বৈরুত, লেবানন থেকে প্রকাশিত গুনিয়াতুত তালেবীন ও বৈরুতের ‘দারুল জায়্যিদ’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গুনিয়াতুত তালেবীন এবং বিশ্ববিখ্যাত অনলাইন লাইব্রেরি মাকতাবাতুশ শামেলায় প্রকাশিত গুনিয়াতুত তালেবীন কিতাবটি ভালো করে দেখেছি।

উক্ত কপিগুলোর একটাতেও মুরজিয়া ফিরকার আলোচনায় হানাফীদের আলোচনা নেই! বরং ‘হানাফিয়্যাহ’ শব্দের পরিবর্তে ‘গাসসানিয়াহ’ লেখা রয়েছে। দেখুন মূল কিতাব থেকে-

وأما المرجئة ففرقها اثنتا عشرة فرقة: الجهمية، والصالحية، الشمرية، اليونسية، اليونانية، النجارية، الغيلانية، الشبيبية، الغسانية، المعاذية، المريسية، والكرامية.

অর্থ: মুরজিয়ারা ১২টি ফিরকায় বিভক্ত: ১. জাহমিয়্যাহ, ২. সালিহিয়্যাহ, ৩. শাম্মারিয়্যাহ, ৪. ইউনুসিয়্যাহ, ৫. সাওবানিয়্যাহ, ৬. নাজ্জারিয়্যাহ, ৭. গাইলানিয়্যাহ, ৮. শাবীবিয়্যাহ, ৯. গাসসানিয়াহ, ১০. মুআযিয়্যাহ, ১১. মারীসিয়্যাহ ও ১২. কার্রামিয়্যাহ।

তারপর ‘গাসসানিয়াহ’ ফিরকার পরিচয় এভাবে দেওয়া হয়েছে—

وأما الغسانية: فهم أصحاب غسان الكوفي، زعم أن الإيمان هو المعرفة والإقرار بالله ورسوله وبما جاء من عنده جملة على ما ذكره البرهوتي في كتاب الشجرة

অর্থ: ‘গাসসানিয়াহ’ ফিরকা হচ্ছে, গাসসান আল কূফীর অনুসারী। তারা মনে করে যে, ঈমান হলো আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর নিকট থেকে যা কিছু এসেছে তা সামগ্রিকভাবে জানা (হৃদয়ের জ্ঞান) ও মুখে স্বীকার করা (অন্তরের বিশ্বাস ও মুখের স্বীকারোক্তিই ঈমান, কর্ম ঈমানের অংশ নয়)। বারহূতী তা কিতাবুশ শাজরাতে উল্লেখ করেছেন।  [গুনিয়াতুত তালেবীন: ১৮৬ —মাকতাবাতুল ইলমিয়্যাহ, মাকতাবাতুশ শামেলা]

এখানে ১২ দলের কোথায় হানাফীদের কথা লেখা আছে, কেউ দেখাতে পারবে? কিন্তু জাল/ভুল অনুবাদিত উর্দু/বাংলা গুনিয়াতুত তালেবীনে ৯ নম্বরে ‘হানাফিয়্যাহ’ লেখা রয়েছে— তা সঠিক নয়, বরং ভুল বা জালিয়াতি।

 

ভুল বা জালিয়াতির স্বরূপ উন্মোচন

মূল কিতাবে মুরজিয়া ফিরকার ৯ নম্বরে রয়েছে ‘গাসসানিয়াহ’ ফিরকার নাম। আর হানাফীদের পরিচয় দিতে গিয়ে যে তথ্যটি দেওয়া হয়েছে এটি মূলত ‘গাসসানিয়াহ’ ফিরকার বৈশিষ্ট্য। এর সাথে হানাফীদের ন্যুনতম সম্পর্কও নেই। তো যাইহোক, আমরা দেখতে পাই, মূল কিতাবে ‘হানাফিয়্যাহ’ শব্দ এবং হানাফীদের নাম গন্ধও নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, যা নেই তা-ই প্রচার করা হচ্ছে।

 

সংশয় নিরসন

উপরের মূল আরবী পাঠটুকু বিশ্বাস করতে অনেকের এখনো কষ্ট হবে, কারণ হানাফীদের নামে এই মিথ্যা তথ্যটা এত বেশি প্রচার হয়েছে যে হানাফীরা পর্যন্ত এই ভুল তথ্যটি বিশ্বাস করে নিয়েছে। যাচাই করার সুযোগ হয়নি।

তাই আমি সুবিখ্যাত এবং সর্বজনসমাদৃত অনলাইন লাইব্রেরী মাকতাবাতুশ শামেলার গুনিয়াতুত তালেবীন কিতাবের লেটেস্ট ভার্সনের মূল আরবি টেক্সট এর স্ক্রিনশট কমেন্ট বক্সে শেয়ার করছি। আপনিও মাকতাবাতুশ শামেলা থেকে মিলিয়ে নিতে পারেন।

দেখবেন বৈরুত, লেবানন থেকে প্রকাশিত ‘গুনিয়াতুত তালেবীনে’র টেক্সট এর সাথে মাকতাবাতুশ শামেলার আরবি টেক্সট এর বিন্দুমাত্র তফাৎও নেই। এবং আমি উপরে যে সঠিক আরবি টেক্সট দিয়েছি এটা মাকতাবাতুশ শামেলা থেকেই কপি করা। এখন কারো প্রশ্ন আসতে পারে, মাকতাবাতুশ শামেলা কর্তৃপক্ষ কি সঠিক টেক্সটটা উল্লেখ করেছে? নাকি তারাও ভুল করেছে?

তাদের উদ্দেশ্যে বলি, মাকতাবাতুশ শামেলা এমন একটি সর্বজনীন অনলাইন লাইব্রেরী, এখানে কোন কিতাবের টেক্সট পাবলিশ করার আগে সর্বোচ্চ পর্যায়ের যাচাই-বাছাই ও তাহকীক করা হয়, টেক্সটা ভুল নাকি সঠিক। অসংখ্য পান্ডুলিপি ও পুরাতন সংস্করণ থেকে তারা সঠিক ও নির্ভরযোগ্য টেক্সটটাই পাবলিশ করে থাকে। তাই এখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।

তাছাড়া এই টেক্সটগুলোই যে আসল তা প্রমাণের জন্য বৈরুত লেবানন ও অন্যান্য বড় বড় প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গুনিয়াতুত তালেবীনের কপিগুলোই যথেষ্ট। কারণ, এইসব বড় বড় প্রকাশনী কর্তৃপক্ষ কখনো চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো কিতাব পাবলিশ করে না। অতএব বোঝা গেলো, গুনিয়াতুত তালেবীনের মূল কপিতে ইমাম আবু হানীফা রাহ. ও হানাফীদের বিরুদ্ধে কিছুই লেখা নেই। সব ভণ্ডদের কারসাজি!

এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারে, কোনো কোনো কপিতে তো হানাফিদের কথা রয়েছে। তা কেন? এর উত্তর হচ্ছে, আসলে এমন জঘন্য কাজ কোনো হানাফীবিদ্বেষী ভণ্ড লিপিকরই করেছে! আগের যুগে তো প্রেস ছিল না, তাই কিতাবাদি লিখতে হতো হাতে। আর হাতে লিখতে গিয়েই অসাধু লিপিকর এই ভুল তথ্যটি ঢুকিয়ে দিয়েছে।

“গাসসানিয়াহ” শব্দের পরিবর্তে “হানাফিয়্যা” ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং “গাসসানিয়াহ”র পরিচিতির স্থানেও ’হানাফিয়্যাহ’ শব্দটি লিখে দিয়েছে। অর্থাৎ অসাধু লিপিকর শুধু নামের পরিবর্তন করে দিয়েছে, ব্যাস এতোটুকুই। আর এই নামের ভুল থেকেই বিশাল কাণ্ড ঘটে গেছে।

আপনি আরবী টেক্সটগুলো আবার মিলিয়ে দেখুন, দেখবেন সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।

ভুল আরবি টেক্সট

أما المرجئة ففرقها اثنتا عشرة فرقة: الجهمية والصالحية والشمرية واليونسية والثوبانية والنجارية والغيلانية والشبيبية والحنفية والمعاذية والمريسية والكرامية وأما الحنفية فهم أصحاب أبي حنيفة النعمان بن ثابت زعموا أن الإيمان هو المعرفة والإقرار بالله ورسوله وبما جاء من عنده جملة على ما ذكره البرهوتي

মাকতাবাতুশ শামেলাসহ অন্যান্য বিখ্যাত প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত সঠিক আরবি টেক্সট

وأما المرجئة ففرقها اثنتا عشرة فرقة: الجهمية والصالحية، الشمرية، اليونسية، اليونانية، النجارية، الغيلانية، الشبيبية، الغسانية، المعاذية، المريسية، والكرامية وأما الغسانية: فهم أصحاب غسان الكوفي، زعم أن الإيمان هو المعرفة والإقرار بالله ورسوله وبما جاء من عنده جملة على ما ذكره البرهوتي في كتاب الشجرة

সম্মানিত পাঠক, উপরে আপনারা গুনিয়াতুত তালেবীন কিতাবের মূল কপিগুলোতে দেখলেন যে, আব্দুল কাদের জিলানী কখনোই হানাফীদেরকে মুরজিয়াদের অন্তর্ভুক্ত করেননি। মূলত এটা তাঁর নামে ভণ্ডরা জালিয়াতি করেছে। আর এখনো কিছু ভণ্ডরা এসব জালিয়াতি প্রচার করে চলেছে। বংশধর বলে কথা!

 

আরেকটি আপত্তির জবাব

কেউ কেউ আবার এটাও বলেন, আবদুল কাদের জিলানী শুধু হানাফীদেরকে নয় বরং সরাসরি এবং স্পষ্টভাবেই ইমাম আবু হানীফা রাহ.কে মুরজিয়া বলেছেন। তবে এ কথার পক্ষে কেউই মূল কিতাব থেকে কোনো রেফারেন্স উল্লেখ করতে পারেননি।

সত্যি কথা হচ্ছে, আব্দুল কাদের জিলানীর নামে যা কিছু হানাফীদের বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়, তার সবই জাল, মিথ্যা এবং বানোয়াট। তিনি হানাফীদেরকে বাতিল ফিরকা মুরজিয়্যাহর অন্তর্ভুক্ত এবং স্বয়ং ইমাম আবূ হানীফাহ রহ.-কে মুরজিয়া কখনোই বলতে পারেন না। এই ‘বলতে না পারার’ পিছনে কয়েকটা কারণ আছে।

১. তিনি তাঁর উক্ত কিতাবের একাধিক জায়গায় ইমাম আবূ হানীফা রহ.-কে ‘ইমামুলল আ’যম’ তথা সর্বোচ্চ ইমাম হিসেবে উল্লেখ করেছেন!

২. অনেক মাসআলার ক্ষেত্রে তিনি হাম্বলী হওয়া সত্ত্বেও ইমাম আবু হানীফা রহ. এর মাযহাব শ্রদ্ধার সাথে উল্লেখ করেছেন।

৩. আবু হানীফা রহ. এর নামের সাথে সশ্রদ্ধ ‘রাহিমাহুল্লাহ’ দু’আটি ব্যবহার করেছেন। অথচ বাতিল ফিরকার লোকদের নামের সাথে ‘রাহিমাহুল্লাহ’ ব্যবহার করা জায়েয নেই।

দেখুন উক্ত কিতাবে আবু হানীফা রহ.-কে তিনি কতো শ্রদ্ধার সাথে উল্লেখ করেছেন।

১. আব্দুল কাদের জিলানী র. বলেন—

كان عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه -يكبر من صلاة الغداة يوم عرفة إلى صلاة العصر من يوم النحر، وهو مذهب الإمام الأعظم أبى حنيفة النعمان -رحمه الله تعالى

অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু ইয়াওমুল আরাফাহর ফজর থেকে ইয়ামুন নাহারের আসর নামাজ পর্যন্ত তাকবীর দিতেন। আর এটাই হচ্ছে ইমাম আযম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহু তা‘আলা এর মাযহাব। [গুনিয়াতুত তালেবীন: ২/৮৫, শামেলা]

২. আব্দুল কাদের জিলানী র. অন্য জায়গায় লিখেন—

وقال الإمام أبو حنيفة -رحمه الله -: ليس في الفطر تكبير مسنون.

ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহু বলেন— ঈদুল ফিতরের মাসনূন তাকবীর নেই। [গুনিয়াতুত তালেবীন: ২/৮৬, শামেলা]

৩. আব্দুল কাদের জিলানী র. অন্য জায়গায় সালাত তরককারীর ব্যাপারে লিখেন—

وقال الإمام أبو حنيفة رحمه الله: لا يقتل ولكن يحبس حتى يصلي فيتوب أو يموت في الحبس.

অর্থ: ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ বলেন— (সালাত তরকারীকে) হত্যা করা হবে না কিন্তু বন্দী করা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে সালাত আদায় করে এবং তওবা করে অথবা বন্দী থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। [গুনিয়াতুত তালেবীন: ২/১৮৮, শামেলা]

৪. আব্দুল কাদের জিলানী র. অন্যত্র লিখেন—

قال الإمام أبو حنيفة من أن الإسفار بها أفضل

অর্থ: ইমাম আবু হানিফা বলেন— ফজর সালাত ইসফার করে পড়া উত্তম। [গুনিয়াতুত তালেবীন: ২/১৭০, শামেলা]

 

এখন কথা হচ্ছে, যিনি নিজের কিতাবে আবূ হানীফাহ রাহ.কে ইমাম আ’যম তথা সর্বোচ্চ বড় ইমাম বলে সম্বোধন করেছেন! যার মাযহাব নিজের কিতাবে সম্মানের সাথে উল্লেখ করেছেন!। যার নামের সাথে দুআ-সূচক বাক্য ‘রাহিমাহুল্লাহ’ ব্যবহার করেছেন।তিনি একই কিতাবে কীভাবে তাঁকে (পথভ্রষ্ট) মুরজিয়া বলে আখ্যায়িত করতে পারেন?

এসব কিছু থেকে বোঝা যায়, আব্দুল কাদের জিলানীর নামে আবু হানীফা রাহ. ও হানাফীদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ করা হয়েছে- সব জাল, বানোয়াট, মিথ্যা অপবাদ, এবং ভিত্তিহীন।

 

লিখেছেন: লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান

 


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

2

লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান

Author: লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান

লুবাব হাসান সাফ‌ওয়ান। ঠিকানা: নোয়াখালী। কর্ম: ছাত্র। পড়াশোনা: আল-ইফতা ওয়াল হাদীস [চলমান] প্রতিষ্ঠান: মাদরাসাতু ফায়দ্বিল 'উলূম নোয়াখালী।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

কবিতা আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ

আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ মা আমেনার গর্ভেতে জন্ম নিলো এক মহামানবের, নাম হলো তার মুহাম্মদ রাসুল আসলো ভবের

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ ইমাম মাহাদী (আ:) আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কেয়ামতের

কবিতা দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ

দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ কেয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসবে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবে, কাফের মুনাফিক যাবে তার দলে ঈমানদার মুমিন

গল্প হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনের গল্প আফছানা খানম অথৈ

জন্ম:হযরত মুহাম্মদ (সা:) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রে বনি হাশিম বংশে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার

Leave a Reply