ফাযায়েলে আ’মালের নতুন সংস্করণের উপর আপত্তি ও জবাব —৩
📒 অনুবাদে খিয়ানতের অভিযোগ
অভিযোগ উঠেছে যে, অনুবাদকগণ ‘সন্তুষ্টি’র স্থলে ‘আদেশ পালন’ অনুবাদ করেছেন। এটা নাকি অনেক বড় ইলমী খিয়ানত। এবং এর দায়ভার যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস শায়খ আব্দুল মালেক হাফিযাহুল্লাহ এর ওপরও চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আল্লাহ হিফাযত করুন।
তারা লিখেছে- “এরপর এখন পর্যন্ত সর্বশেষ অনুবাদ- যেটা ‘দারুল ফিকর’ থেকে বের হয়েছে। এর ভূমিকা ও ফাজায়েলে তাবলীগ অংশের অনুবাদ করেছেন মাওলানা আমিরুল ইসলাম লোকমান। আর এই অংশের তাহকীক-তাখরীজ করেছেন মাওলানা আহমাদ ইউসুফ শরীফ ও মাওলানা ইউসুফ ওবায়দী। আর পুরো বইটির সম্পাদক হিসাবে রয়েছেন মাওলানা ইউসুফ ওবায়দী। আসুন এখন আমরা তাদের অনুবাদে নজর দেই—
‘’হামদ ও সানার পর। মুজাদ্দিদে দ্বীন ও সমকালীন উলামা-মাশায়েখের মাথার মুকুট (হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস রহ.) ইসলাম প্রচারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু আয়াত ও হাদীস একত্রিত করে উপস্থাপন করার আদেশ করেন।
যেহেতু আমার মতো গুনাহগারের জন্য এমন মহামনীষী ও আল্লাহওয়ালাদের আদেশ পালন নাজাতের মাধ্যম ও গুনাহ থেকে মুক্তির উসিলা হতে পারে…।‘’
দ্রষ্টব্য: ফাযায়েলে আমাল; অনুবাদ: মাওলানা আমিরুল ইসলাম লোকমান; তাহকীক-তাখরীজ সম্পাদনা: মাওলানা ইউসুফ ওবায়দী; মাওলানা আহমাদ ইউসুফ শরীফ; পৃষ্ঠা নং ১০; প্রকাশক: দারুল ফিকর; প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সম্মানিত পাঠক! আপনারা মূল উর্দু কিতাবের লিখিত অংশ পড়েছেন। আপনাদের সুবিধার জন্য মূল অংশটুকু আবারো উল্লেখ করছি:
چونکہ مجھ جیسے سیہ کار کے لئے ایسے ہی حضرات کی رضا و خوشنودی وسیلہ نجات اور کفارہ سیئات ہو سکتی ہے
সরল তরজমা: ‘’কারণ আমার মতো গুনাহগারের জন্য এমন হযরতদের সন্তুষ্টি ও খুশি নাজাতের উসিলা এবং গুনাহসমূহের কাফফারা হতে পারে।’’
সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা:
তিন তিনটি প্রকাশনীর কেউই অনুবাদের যথাযথ হক আদায় করেননি। বরং দারুল ফিকর থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সংস্করণে বড় ধরনের আমানতের খেয়ানত করা হয়েছে। পূর্বের তাবলীগী কুতুবখানা ও দারুল কিতাব- উভয় প্রকাশনী ‘রাযা’ ও ‘খুশনূদী’ শব্দ দুটির যথাযথ অনুবাদ করলেও সর্বশেষ জালিয়াত প্রকাশনী এই শব্দ দুটি গায়েব করে দিয়েছে। ‘সন্তুষ্টি’ ও ‘খুশি’ শব্দ দুটির বদলে ‘আদেশ’ শব্দ আবিষ্কার করেছে। অথচ মূল উর্দু বইতে আদেশ শব্দের ‘আ’-ও নেই। যা একটি স্পষ্ট ধোঁকাবাজি। জগতের কোন ডিকশনারিতে ‘রাযা’ বা ‘খুশনূদী’-এর অর্থ ‘আদেশ পালন’ করা হয়েছে তা আমরা ওই সকল অনুবাদক, তাহকীক-তাখরীজকারী ও সম্পাদকের নিকট জানতে চাই। আমাদের জানামতে, সম্পাদক সাহেব মাওলানা আব্দুল মালেকের দী—র্ঘদিনের শাগরেদ। এই কি যোগ্য শাগরেদের নমুনা! আর এটাই কি গুরুর খেয়ানতের শিক্ষা!”
📗 আমাদের জবাব
প্রথমেই বলে রাখি, অনুবাদে ইলমী খিয়ানতের অভিযোগ উঠানো হয়েছে কেবলই ভাষাজ্ঞান না থাকার কারণে। ন্যুনতম ভাষাজ্ঞান থাকলেও এ অভিযোগ ওঠার কথা না। যাইহোক, এ বিষয়ে আলোচনা করা যাক। আলোচনাটা পড়লে আশা করি লজ্জায় তাদের মুখ দেখানোরও জায়গা থাকবে না।
📗 আদেশ পালন ও সন্তুষ্টি
প্রথমে আমাদেরকে ‘আদেশ পালন’ ও ‘সন্তুষ্টি’ সম্পর্কে জানতে হবে। মূলত ‘আদেশ পালন’ ও ‘সন্তুষ্টি’ এই দুটি শব্দ আপেক্ষিকভাবে সমার্থবোধক। অর্থাৎ উক্ত বাক্যে ‘সন্তুষ্টি’ দ্বারা ‘আদেশ পালন’ই উদ্দেশ্য। কিন্তু কিভাবে? সেটাই আমরা এখন ব্যাখ্যা করবো।
ভাষা সম্পর্কে সামান্য জ্ঞানও আছে এমন সবাই জানে যে, একটা শব্দ অনেক অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দের অর্থ একটা; কিন্তু পূর্বাপর শব্দ/বাক্যের ব্যবহারের ভিন্নতার কারণে অর্থও ভিন্ন হয়ে যায়।
যেমন ‘দেখা’ শব্দের স্বাভাবিক অর্থ দর্শন করা বা দৃষ্টিপাত করা। কিন্তু এই ‘দেখা’ শব্দটিকে যখন ভিন্ন ভিন্ন শব্দ/বাক্যের বিপরীতে ব্যবহার করা হয় তখন এ শব্দটি ‘দর্শন’ ছাড়াও বিভিন্ন অর্থ প্রদান করে। বোঝার সুবিধার্থে কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি।
📒 ‘দেখা’ শব্দের বিভিন্ন অর্থ
১. তত্ত্বাবধান করা। (এ কাজটি আমি দেখি)
২. সেবাশুশ্রূষা করা। (রোগীকে দেখার মতো লোক নেই)।
৩. চিকিৎসা করা। (তোমাকে কোন ডাক্তার দেখছে?)।
৪. অভিজ্ঞতা থাকা/প্রত্যক্ষ জ্ঞান লাভ করা। (এ বয়সে কতো দেখেছি)।
৫. পরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণ করা। (নাড়ি দেখা)
৬. বিচার-বিবেচনা করা (আচ্ছা, আমি দেখি)
৭. বিলম্ব করা/অপেক্ষা করা। (দেখো কী হয়/আরো কয়েকটা দিন দেখো)
৮. সন্ধান করা। (একটা বাসা দেখো তো, ছেলের জন্য বৌ দেখা)
১০. চেষ্টা করা। (অনেক তো হলো, আর দেখে কী হবে?)
১১. প্রতিশোধ নেওয়া/হুমকি দেওয়া/ভয় দেখানো। (তোকে নেক্সট টাইম দেখে নেবো)
১২. স্থির করা/বোঝা/সিদ্ধান্তে আসা। (ভেবে দেখো, এ কাজ পারবে কিনা)
১৩. সাবধান হওয়া/সতর্ক থাকা। (দেখো, ভুল যেন না হয়)
১৪. উপভোগ করা। (খেলা দেখা)
১৫. ধারণা করা। (এ লোকটা তো দেখছি, আস্ত গাধা)
একইভাবে ‘সন্তুষ্টি’ শব্দটির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এ শব্দটি বিভিন্ন শব্দ/বাক্যের পূর্বাপর ব্যবহার এর ভিন্নতার কারণে অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রদান করে।
১. তৃপ্ত/পরিতৃপ্তি।
‘সন্তুষ্টি’ শব্দটিকে যখন ‘যৌন চাহিদা/সঙ্গম’ এর বিপরীতে ব্যবহার করা হবে তখন এর অর্থ হবে যৌন পরিতৃপ্ত করা। যেমন, সে নিজের সঙ্গী/সঙ্গিনীকে শারীরিকভাবে সন্তুষ্ট করতে পারে না —এর অর্থ হচ্ছে সে তার সঙ্গী/সঙ্গিনীকে যৌন পরিতৃপ্ত করতে পারে না।
[এই উদাহরণটা দেওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করেছি; তবুও বোঝানোর জন্য দিতে হলো। দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]
২. নাম করা/সুনাম অর্জন করা
‘সন্তুষ্টি’ শব্দটিকে যখন কারো পিছে খরচ/ব্যয়/ত্যাগ ইত্যাদির বিপরীতে ব্যবহার করা হবে, তখন এর অর্থ হবে ‘নাম করা’ বা সুনাম অর্জন করা। যেমন, কেউ বললো, আমি পরিবারের পিছনে এত এত খরচ করেও আজ পর্যন্ত কাউকে সন্তুষ্ট করতে পারলাম না। এর মানে, তিনি সবার জন্য খরচ করেও কারো কাছে তার নাম নেই।
৩. মন জয় করা
সন্তুষ্টি শব্দটিকে যখন পণ্য, ক্রেতা, ভোক্তা ইত্যাদির বিপরীতে ব্যবহার করা হবে তখন এর অর্থ হবে মন জয় করা বা স্যাটিস্ফাইড করা। যেমন, কেউ যদি বলে, আপনাদের কোম্পানির পণ্য ক্রেতাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এর অর্থ হচ্ছে, আপনাদের কোম্পানির পণ্য ক্রেতাদের মন জয় করতে পারেনি।
৪. সঠিক উত্তর দেওয়া
সন্তুষ্ট শব্দটিকে যখন প্রশ্নের বিপরীতে ব্যবহার করা হবে তখন এর অর্থ হবে সঠিক বা সমুচিত উত্তর বা জবাব দেওয়া যেমন শিক্ষক কোন ছাত্রকে প্রশ্ন করার পর ছাত্রের জবাব শুনে শিক্ষক যদি বলে তুমি আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারোনি। এর মানে ছাত্র সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
৬. দ্বীনবিরোধী কাজ করা
‘সন্তুষ্টি’ শব্দটিকে যখন সমাজের ‘বিপরীতে’ ব্যবহার হবে তখন এর অর্থ হবে দ্বীনবিরোধী কাজ করা। যেমন, যখন বলা হয়, মসজিদের ইমাম সাহেব সমাজ সন্তুষ্ট করে চলে। এর অর্থ হচ্ছে, ইমাম সাহেব, সমাজ/সমাজের মানুষ যেদিকে —সেদিকেই চলার চেষ্টা করে; দ্বীনের তোয়াক্কা করে না। আর সমাজকে সন্তুষ্ট করতে গেলে দ্বীন বিরোধী কাজ করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। সুদের বিরোধিতা করা যাবে না, ঘুষের বিরোধিতা করা যাবে না, যৌতুকের বিরোধিতা করা যাবে না। অতএব, সমাজ সন্তুষ্ট করা মানে দ্বীনবিরোধী কাজ করা।
৭. 📗 আদেশ পালন করা [আর এটাই এখানে উদ্দেশ্য] 📗
‘সন্তুষ্টি’ শব্দটিকে যখন আদেশের বিপরীতে ব্যবহার করা হবে তখন এর অর্থ হবে আদেশ পালন করা। যদি জালেম সরকারের আদেশের বিপরীতে ব্যবহার করা হয় তখন এর অর্থ হবে জালিমের অন্যায় আদেশ পালন করা, জালিমের সহায়তা করা, পা চাটা, গোলামী করা ইত্যাদি। যেমন, জালিম সরকারকে সন্তুষ্ট করে চলা মানে জালিম সরকারের সকল আদেশ-নিষেধ পালন করে চলা।
একইভাবে ‘সন্তুষ্টি’ শব্দটিকে যখন মাতা-পিতা, মুরুব্বী, গুরুজন, উস্তাদ/শায়খের আদেশের বিপরীতে ব্যবহার হবে তখনও এর অর্থ হবে আদেশ পালন করা। যেমন, মাতা-পিতাকে সন্তুষ্ট করা মানে মাতা-পিতার আদেশ পালন করা। গুরুজনকে সন্তুষ্ট করা মানে গুরুজনের আদেশ পালন করা।
তো এখানেও ‘সন্তুষ্টি’ শব্দটি বাবা সমতুল্য আপন চাচা, গুরুজন, উস্তাদ/শায়খের আদেশের বিপরীতে ব্যবহার হয়েছে, অতএব এখানেও সন্তুষ্টি শব্দের অর্থ হবে ‘আদেশ পালন করা’।
অতএব, উম্মাহের অতন্দ্র প্রহরী সম্মানিত অনুবাদকগণ ‘সন্তুষ্টি’র স্থলে ‘আদেশ পালন’ অনুবাদ করে কোন রকমের জালিয়াতি বা ইলমী খিয়ানত করেননি। বরং তারা লেখকের উদ্দেশ্যকে মানুষের সামনে অতি সুন্দরভাবেই প্রকাশ করেছেন। এমন সুন্দর ও সূক্ষ্ম ভাষালঙ্কারকে ইলমী খিয়ানত বলাটাই হচ্ছে আসল খিয়ানত ও জালিয়াতি এবং সাধারণ মানুষকে মিসগাইড করা।
আশা করি, জ্ঞানী ও সত্যসন্ধানীদের জন্য অভিযোগকারীদের ইলমী খিয়ানত বুঝতে অসুবিধা হবে না।
📗 উপসংহার
একজন সত্যসন্ধানী ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারীর জন্য এতোটুকুই যথেষ্ট হবে বলে আশা করছি। তবুও আমরা যদি এ বিষয়টিকে মানতেক তথা তর্কশাস্ত্রের বিচারে বিবেচনা করি তাহলে কথা আরো অনেক বেড়ে যাবে। কিন্তু অনেক সাধারণ ভাই এ সকল শাস্ত্রীয় আলোচনা বুঝতে পারবে না। অতএব বিরত থাকলাম। কিন্তু, তারা যদি এরপরও জল ঘোলা করার চেষ্টা করে, তবে আমরাও আগাতে ইচ্ছুক।
পরিশেষে, এমন সূক্ষ্ম ও সঠিক অনুবাদ করার জন্য সম্মানিত অনুবাদকগণকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন।
📗 শেষের কথা
📒 এদিকে অবিযোগকারীরা যে জোর গলায় বললো, “পূর্বের তাবলীগী কুতুবখানা ও দারুল কিতাব- উভয় প্রকাশনী ‘রাযা’ ও ‘খুশনূদী’ শব্দ দুটির যথাযথ অনুবাদ করলেও সর্বশেষ জালিয়াত প্রকাশনী এই শব্দ দুটি গায়েব করে দিয়েছে। ‘সন্তুষ্টি’ ও ‘খুশি’ শব্দ দুটির বদলে ‘আদেশ’ শব্দ আবিষ্কার করেছে। অথচ মূল উর্দু বইতে আদেশ শব্দের ‘আ’-ও নেই। যা একটি স্পষ্ট ধোঁকাবাজি।”
📗 আচ্ছা এখন কি তারা ‘আদেশ পালন’ খুঁজে পেয়েছে? এবং এটা কি বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে অনুবাদকগণ ইলমী খিয়ানত করেননি বরং এটা তাদের নিজেদেরই মূর্খতা!
📒 তারা আরো বলেছে, “জগতের কোন ডিকশনারিতে ‘রাযা’ বা ‘খুশনূদী’-এর অর্থ ‘আদেশ পালন’ করা হয়েছে তা আমরা ওই সকল অনুবাদক, তাহকীক-তাখরীজকারী ও সম্পাদকের নিকট জানতে চাই।”
📗 আশা করি অভিযোগকারী এতক্ষণে তা জানতে পেরে গেছে।
📒 অভিযোগকারী আরো বলেছে, “আমাদের জানামতে, সম্পাদক সাহেব মাওলানা আব্দুল মালেকের দী—র্ঘদিনের শাগরেদ। এই কি যোগ্য শাগরেদের নমুনা! আর এটাই কি গুরুর খেয়ানতের শিক্ষা!”
📗 জি হ্যাঁ, এটাই গুরুর আমনতদারিতার শিক্ষা। আপনাদের গুরুরা তো আপনাদেরকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারিনি বরং খিয়াতের শিক্ষা দিয়েছে। তা আপনাদের অভিযোগ দেখেই তা প্রমাণিত হয়েছে। এখনও কি আপনাদের একটু হলেও লজ্জাবোধ হবে না? লজ্জাবোধ না হওয়ারই কথা লজ্জা থাকলেই তো!
[দ্বিতীয় পর্ব রেখে তৃতীয় পর্ব লিখেছি, কারণ দ্বিতীয় পর্ব তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ করে দ্বিতীয় পর্বের কিছু কাজ বাকিও থেকে গেছে।]
লেখা: লুবাব হাসান সাফওয়ান
ছাত্র: মাদরাসাতু ফায়দ্বিল ‘উলূম আল ইসলামিয়্যাহ
#Debateforsunnah
#Lubaabswritings
#Ahnaafwritersworld
আরো পড়ুন-
- ইমাম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহি এর উপর সাহাবীর শানে বেয়াদবি অভিযোগ ও তার জবাব
- আরবি জানলেই আলেম নয়, তবে আলেম হতে হলে আরবী জানতেই হবে
- ভাষা দিবসের উপহার
- খুতবাহ চলাকালীন সুন্নত পড়ার বিধান
- অবৈধ সুখের শাস্তি -১
