ফিনিশীয় সভ্যতা- লেখক ডট মি

ফিনিশীয়দের কথা

0

বর্ণমালার সূচনা

চলছে বইমেলার মৌসুম। বইমেলায় পাঠক ভীড় জমাচ্ছে তাদের পছন্দের বইটি কিনতে।নানা লেখক নানা ধরনের বই লিখেছেন। কেউ গল্প,কেউ কবিতা, কেউ উপন্যাস বা কেউ বা আত্মজীবনী। এই যে সাহিত্যের জগতে লেখকরা তাদের লেখালেখি নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন,তা কীভাবে লিখেছেন ভাবুন তো? হ্যাঁ, ঠিকই ভেবেছেন।সকল লেখকই তাদের নিজস্ব ভাষায় নানা বর্ণমালা দিয়ে তাদের জ্ঞানের ভান্ডারকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।যে বর্ণমালা দিয়ে এতোকিছু কখনো ভেবেছেন, তা কীভাবে এসেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ফিনিশীয়রাই বর্ণমালার উদ্ভাবক

সভ্যতার ইতিহাসে বর্ণমালা উদ্ভাবনের সবচেয়ে বড় অবদান ফিনিশীয়দের।ফিনিশীয়রাই মূলত বর্ণমালা প্রথম উদ্ভাবন করে।আমরা যে ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে লেখালেখি করি,তা উদ্ভাবনেও কিন্তু ফিনিশীয়দের ভূমিকা রয়েছে। ফিনিশীয়রা ২২ টি ব্যঞ্জনবর্ণ উদ্ভাবন করে।মূলত,আধুনিক বর্ণমালার সূচনা হয় এখান থেকেই।তাদের এই উদ্ভাবিত বর্ণমালার সাথে পরবর্তীতে গ্রিকরা স্বরবর্ণ যোগ করে। ফলে বর্ণমালা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

এই ফিনিশীয়দের অবস্থান ছিলো লেবানন পর্বত এবং ভূমধ্যসাগরের মাঝামাঝি এক ফালি সরু ভূমিতে।এখানে কৃষিকাজের জন্য কোনো উর্বর জমি ছিলো না। ফলে,তাদের আয়ের একমাত্র উৎসই ছিলো বাণিজ্য। প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম নাবিক ও জাহাজ নির্মাতা হিসবে তারা অন্যতম ছিলো।ধ্রুবতারা দেখে তারা দিক নির্ণয় করতো বলে ধ্রুবতারা অনেকের কাছেই “ফিনিশীয় তারা” নামে পরিচিত ছিলো।ফিনিশীয়রা দক্ষতার সাথে মাটির পাত্র তৈরি,কাপড় তৈরি ও রং করতে পারতো।

তাহলে,পরিশেষে বলাই যায,এই যে আমি লিখাটি লিখেছি এবং আপনি লিখাটি পড়ছেন,তাতে অবদান অনেকটাই ফিনিশীয়দের।কেননা,তাদের আবিষ্কার করা বর্ণমালা দিয়েই আমরা লেখাপড়াসহ জ্ঞানের বিচিত্র শাখায় বিচরণ করছি।

 


আরো পড়ুন-


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

Shifa

Author: Shifa

আল্লাহ যা করবেন কল্যাণের জন্য করবেন 🙂

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গল্প এক পুরুষ বারো বিয়ে আফছানা খানম অথৈ

  গল্প এক পুরুষ বারো বিয়ে আফছানা খানম অথৈ গরীব কৃষকের মেয়ে তাছলিমা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছে।আভাব অনটনের সংসার তাই

কবিতা শ্রেষ্ঠ নবী আফছানা খানম অথৈ

কবিতা শ্রেষ্ঠ নবী আফছানা খানম অথৈ নুরের নবী দয়ার ছবি এলেন দুনিয়ায়, আলোকিত করলেন সমস্ত দুনিয়া। নুরের নবী দয়ার খনি

ছলনা

ভালবাসি বললে ভুল হয়। বলতে হয় ঘৃণা করি।কারন, ভালবাসার নামে তুমি যা দিয়েছ সব ছলনা। তুমি এমন ভালবাসা কেন দিলে

বড়ো সাধ

বড়ো সাধ মোঃ রুহুল আমিন এই ধরাতে শতো বছর বেঁচে থাকতে চাই, মানুষ হলে মানুষ কূলে পাবো তখন ঠাঁই। দেহের

Leave a Reply