পবিত্র কুরআনের পরে ইসলামি জ্ঞানের দ্বিতীয় ও বিশুদ্ধতম উৎস হলো হাদিস।আমাদের সমাজে বহু হাদিস প্রচলিত আছে।কিন্তু কেউ একটি বাণী শুনিয়ে শেষে রাসূল বলেছেন ট্যাগ লাগিয়ে দিলেই কি তা হাদিস হয়ে যায়? আজকে আমরা আলোচনা করব সেই বিষয়েই।
এই বাংলা অঞ্চলে কুরআন হাদিসের সহিহ জ্ঞান রাখে এই সংখ্যাটা নিতান্তই কম।এমনকি মাদরাসা ফারেগ অনেক তথাকথিত আলেমও তাদের জ্ঞানের পরিধি বেশিদূর নিতে পারে নাই।আমরা ছোটবেলা থেকেই ওয়ায়েজ বা বক্তাদের কাছ থেকে সমাজ ও জীবননিষ্ঠ বিভিন্ন হাদিস শুনে থাকি এবং আমল করে থাকি।কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমরা যা শুনে থাকি তার প্রত্যেকটা হাদিস সহিহ নয় বরং জাল ও বানোয়াট হাদিসও রয়েছে যা রাসুল(স) এর পবিত্র মুখ থেকে কখনোই নিঃসৃত হয়নি।
একজন জেনারেল লাইনে পড়োয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে সহিহ কিংবা জাল হাদিস খুজে বের করা কখনোই সম্ভব নয়।কিন্তু এ বিষয়ে আলেমগণ বেশ কিছু বই লিখেছেন,এমনকি আমাদের বাংলা ভাষাতেও।তেমনই একটি বই ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর(রহ) এর লেখা “হাদিসের নামে জালিয়াতি”।
এ বইয়ে তিনি বর্ণনা করেছেন হাদিস কী,হাদিস সংরক্ষণের ইতিহাস,হাদিস সংরক্ষণে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা। তুলে ধরেছেন কীভাবে জাল হাদিস গুলো এসেছে।জালিয়াতগণ কীভাবে জালিয়াতি করেছে সাধারণ মুসলিম উম্মাহর সাথে।কিন্তু তিনি শুধু জাল হাদিস তুলে ধরেই ক্ষান্ত হননি, বিভিন্ন সনদ,যুক্তি ও ইতিহাসভিত্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে সনদ ও দলিল দিয়ে যাচাই-প্রমাণ করে দেখিয়েছেন হাদিসগুলো কেন জাল।
বইটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন, আমাদের সমাজে প্রচলিত বহু জাল হাদিসের কথা।যেমন:
১.স্বদেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
২.স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত।
…….ইত্যাদি।
তাই, কুরআন – সুন্নাহ অনুযায়ী সঠিক আমল করতে ও হাদিসের গভীরতা বুঝতে বইটি পড়ে দেখতে পারেন।
আরো পড়তে পারেন-
চমৎকার রিভিউ