বাবার হাসি

play icon Listen to this article
0

**********************************************

ফজরের আযানের ধ্বনি শোনার পর আমার যেই কাজ তা হলো,
বাবাকে জাগানো।
বাবাকে জাগিয়ে মেশওয়াক করার জন্য হাতের কাছে ডাল টা ধরিয়ে দেওয়া।
মেশওয়াক শেষে বাবা অযু করে নেয়।
বাবাকে পাঞ্জাবিটা পড়িয়ে নিজেও রেডি হয়ে নেই।
বাপ-বেটা মিলে একসাথে বেড়িয়ে যাই রবের ডাকে।
সালাত শেষে বাবা আর আমি নিয়ম করেই শিশির ভেজা ঘাসে হাটি।
সকালের নাস্তা রেডি করার সাথে সাথেই হাঁক পড়ে যায় টেবিলে যাওয়ার।
বাবা আমি আর আমার ছোট ছেলে তাশরীফ বসে যাই খাওয়ার প্রতিযোগিতায়।

প্রতিবারই বাবাকে খাইয়ে দেই।
এতে আমার হৃদয়টা অনেকটা পরিতৃপ্ত পায়।

হঠাৎ আমার ছেলে আমাকে অবাক করে প্রশ্ন করে,
-বাবা,দাদু তো নিজের হাতেই খেতে পারে তারপরেও তুমি দাদুকে খাইয়ে দাও?
গোসল করিয়ে দাও কেন?

ছেলের এমন প্রশ্ন শুনে মুচকি হেসে বললাম,

“তুমি যেদিন বড় হবে,আর আমি বৃদ্ধ হয়ে যাবো!
আমি খেতে পারার সামর্থ্য থাকলেও যেন তুমি আমাকে খাইয়ে দাও।যত্ন করো।
সেজন্য আমার জায়গাটা দখল করে নিচ্ছি আগে থেকেই।

উত্তর শুনে বাবার সে কি হাসি,নিষ্পাপ হাসি।
এই হাসিতে রয়েছে জান্নাতীয় সুখ।
ইচ্ছে করে সারাটা জীবন ধরে এই হাসিটা দেখে যাই।

গল্প – বাবার হাসি
রাবিয়াতুল জান্নাত স্মৃতি

Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

srettee Akter

Author:

Related Posts

শান্তির ঘাঁটি

রোজার মাসের চাঁদ উঠেছে খুশি মুমিন বান্দা, ফরজ রোজা পালন করবে ছেড়ে সকল ধান্দা। প্রভুর হুকুম পালন করতে রাখে ফরজ

নারী পুরুষ

  মানুষ ভাবে…. দুই ভাগেতে নারী পুরুষ জাত, সমান ভাবে দেশের কাজে আছে সবার হাত। নারী পুরুষ মিলে লড়ছে বিভেদ

প্রতিশ্রুতি

মহান উত্তম শাবান মাসের শবে বরাত রাত, মুসলিম উম্মা আজ প্রার্থনায় উঠায় যে দুই হাত। জিকির তালিম মশগুল বান্দা গভীর

ধান্দায় খাচ্ছে লুটে

মানুষ বাঁচে একশো বছর কিংবা তাহার কম, নিজের নজির প্রকাশ করে ছাড়ে গর্বের দম। দিবস রাতে টাকার পিছে শুধুই মানুষ

2 Replies to “বাবার হাসি”

Leave a Reply