কবিতা বন্দিনি আফছানা খানম অথৈ

0কবিতা বন্দিনি আফছানা খানম অথৈ সোনার থালায় জন্ম আমার রুপার থালায় বাস, কর্মদোষে জেলখানায় হলো আমার বাস। আমি নারী পাপী তাপি পেলাম না মাফ, অসৎ উপায় অবলম্বনে হলো কারাবাস। অতি লোভে তাতি নষ্ট জীবন নষ্ট টাকায়, এ কথাটি সদা সত্য হলো তার প্রমাণ। টাকার লোভে সেবার নামে করলাম দুর্নীতি, পরীক্ষা ছাড়া বের করলাম করোনা পজেটিভ

কবিতা:-প্রার্থনাদ

0প্রার্থনাদ -রাজু হাওলাদার প্রভু পাপিষ্ঠ অধমকে করো তুমি ক্ষমা, ভূমিষ্টের পরে পাপিষ্ঠ পৃথিবীতে পাপ করেছি জমা। বেদ-বেদান্ত বাইবেল, স্মৃতি -সংহিতা গীতা, তুমিই প্রভু তুমিই রব, নবী আহম্মদের মিতা। জেন্দাবেস্তা-কুন্ডিকা,কল্প-কূর্মপুরাণ ঋগ্বেদ, অধমই বান্দা অধম’ই গোলাম, শ্রেষ্ঠ রাসুল সাগরেদ। প্রভু পাপিষ্ঠ অধমকে করো তুমি ক্ষমা, পূন্যের চেয়ে লুকায়িত কলবে পাপ করেছি জমা। পাপ কুড়িয়ে এসেছি আমি, করবে

কবিতা শীতে কাবু বুড়ি আফছানা খানম অথৈ

0শীতে কাবু বুড়ি আফছানা খানম অথৈ শীত পড়ছে কনকন কাঁপছে বুড়ি ঠকঠক, আয় তোরা দেখে যা, শীতে কাঁপছে বুড়ির গাঁ। লেপ কাঁথা নাই ঘরে বুড়ির পোলা গেছে ফেলে, বুড়ি কাঁদে বসে বসে চোখের জলে বুক ভাসে। ভাত দেয়না কাপড় দেয়না দেয়না কাঁথা বালিশ, এমন শীতে বাঁচার মতো নাই কোন হুশ। বুড়ি কাঁপে থত্থর বাঁচার নাই

কবিতা ফুল সবার প্রিয় আফছানা খানম অথৈ

0ফুল সবার প্রিয় আফছানা খানম অথৈ ফুল সবার প্রিয় ফুলকে সবাই ভালোবাসে। জুঁই চামেলি হাসনা হেনা থাকে সবার বাগানে সুবাস ছড়ায় দিবানিশি মনের উঠোন জুড়ে। তাদের ঘ্রাণে মাতোয়ারা প্রাণের সকল স্পন্দন। বিয়ে কিম্বা জন্মদিনে রঙবেরঙের ফুল দিয়ে সাজাই ঘর দুয়ার। দেখতে লাগে ভারী সুন্দর জুড়িয়ে যায় প্রাণ। খোকাখুকি খেলা করে ফুলের মালা নিয়ে, টাকার চেয়ে

কবিতা মরতে হবে একদিন আফছানা খানম অথৈ

0মরতে হবে একদিন আফছানা খানম অথৈ মিছে এ দুনিয়া থাকব না চিরদিন, যেতে হবে একদিন পৃথিবীর মায়া ছাড়িয়া। টাকা পয়সা ধন দৌলত সঙ্গে নাহি যাবে, সঙ্গে যাবে ঈমান আমল সাড়ে তিন হাত কাপন। ছেলে মেয়ে স্বজনেরা কেউ হবে না সঙ্গী, অন্ধকার কবরে থাকবে পড়ে দেহখানি। মনে রেখো মিছে এদুনিয়া থাকবে না চিরদিন মরতে হবে একদিন,

কবিতা আল্লাহ আমার রব আফছানা খানম অথৈ

0আল্লাহ আমার রব আফছানা খানম। অথৈ আল্লাহ আমার রব এই রবই আমার সব, দিবানিশি জফি প্রভু শুধু তোমারি নাম। তুমি ছাড়া নেইকো আপন তুমি দয়ার সাগর, তোমার দয়ায় বেঁচে আছি এই পৃথিবীর ছায়ায়। তুমি মোদের জীবন দাতা তুমি বিধাতা , তোমার হুকুম না মানিলে থাকবে দু:খ দুর্দশা। তুমি প্রভু রিজিকদাতা সৃষ্টিজগতের মালীক, তোমার নামের উছিলাতে

মা বাবা

0বাবাও নাই মাও নাই তারপরও সে মানুষ । তার  মানে?  মা বাবা ছেড়ে যাওয়ার পর কোন এক ভিখারি তাকে মানুষ করেছে। তাহলে? ভিখারীকেই মা বাবা বলতে হবে। যদি এই মা বাবাও ছেড়ে যায়? তাহলে অন্য মা বাবাকে মা বাবা বলতে হবে। ধরলাম সেই মা বাবাও ছেড়ে চলে গেল, তখন? নতুন যে মা বাবা আছে তাকে

কবিতা বেঈমান মুনাফিক আফছানা খানম অথৈ

0বেঈমান মুনাফিক আফছানা খানম অথৈ বেঈমান আর মুনাফিকে ভরে গেছে দেশ, সত্য মিথ্যা যাছাই করা এখন বড় কঠিন কাজ। মিথ্যা বলে গুজব ছড়ায় সত্য যায় ঢেকে, মূহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে মিথ্যা বাক্য দেশে। কোনটা আসল কোনটা নকল বুঝা বড় মুস্কিল এমন বয়ান করেন তারা যেন সত্যিকারের আলেম। আলেম সেজে ধরছে বেশ করছে বয়ান নানান দেশে, বিশ্বাস

কবিতা ঘর জামাই আফছানা খানম অথৈ

0ঘর জামাই আফছানা খানম অথৈ ঘর জামাই ঘরে থাকে বউয়ের আঁচল তলে, সব সময় চলতে হয় বউয়ের মন যুগিয়ে। সকাল সন্ধ্যা টিপতে হয় বউয়ের পা দুখানি একটু খানি ভুল হলে খাই বউয়ের পিটুনি। ঘর জামাই বড়ই অলস করতে চাইনা কোন কাজকর্ম, তাই উঠতে বসতে শুনতে হয় বউয়ের গালমন্দ। বউ থাকেন সিংহাসনে বসে জামাই থাকেন পায়ের

কবিতা শৈশবের মধুর স্মৃতি আফছানা খানম অথৈ

0শৈশবের মধুর স্মৃতি আফছানা খানম অথৈ শৈশবের মধুর স্মৃতির দিনগুলির কথা মনে হলে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে সেই তেপান্তরে। মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে করতাম মিছেমিছি বনভোজন রান্না করতাম ধুলোবালির মজা করে খেতাম সবাই মিলে। পড়ার ঘরে না দেখে মা ছুটে আসতেন খুঁজতে, মাকে দেখে দিতাম দৌড় পালাইতাম তেপান্তরে। সন্ধ্যা হলে ফিরলে ঘরে খেতাম মায়ের বকুনি,