ইসলাম কাকে বলে ইসলামের পরিচয় ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ইসলাম কাকে বলে? ইসলামের পরিচয়, ইসলাম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

0

 

ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ মনোনীত একমাত্র সর্বশেষ ধর্ম। যে ধর্মকে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যার মূলে রয়েছে সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল-কুরআন। পৃথিবীর শুরু থেকেই আল্লাহ দুনিয়ার মানুষের জন্য বিভিন্ন কিতাব এবং নবি রাসুল পাঠিয়েছেন। সেইসব কিতাব এবং ধর্মের আপডেট ভার্সন হচ্ছে ইসলাম। আজ আমরা জানার চেষ্টা করব ইসলাম কাকে বলে? ইসলামের পরিচয়, ইসলাম শিক্ষার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা।  

ইসলাম অর্থ কী এবং ইসলাম কাকে বলে 

ইসলাম শব্দটি “সিলমুন” ধাতু থেকে নির্গত। যার অর্থ হলো আনুগত্য কিংবা আত্মসমর্পণ করা। সুতরাং ইসলাম শব্দের অর্থ দাঁড়ায় আনুগত্য করা, নিজেকে বিনয়াবনত করা, আত্মসমর্পণ করা, হুকুম মান্য করা, কোন আপত্তি ছাড়াই যেকোনো আদেশ-নিষেধ মেনে নেওয়া, একনিষ্ঠভাবে ইবাদত বন্দেগী করা ইত্যাদি। 

অতএব ইসলামের পারিভাষিক অর্থ দাঁড়ায়, একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর সকল আদেশ নিষেধ আইন কানুন ইত্যাদি মেনে চলে একমাত্র তাঁর ইবাদত করা। মোটকথা ইসলাম হচ্ছে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আদিষ্ট পথে চলে দুনিয়াবী জীবনযাপন করা। 

একইসাথে এই পৃথিবীতে একজন মানুষকে এমন ভাবে জীবনযাপন করতে হবে, যাতে সে এই দুনিয়ার কাজকর্মের ফলাফল পরবর্তী দুনিয়া তথা পরকালের জন্যেও সঞ্চয় হয়। যা তাকে দুনিয়াবী শান্তি ও পরকালীন মুক্তিতে সহায়তা করবে। 

ইসলাম ও মুসলিম

আল্লাহর আনুগত্যের নাম হচ্ছে ইসলাম। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সকল কিছু মেনে নিয়ে তাঁর আনুগত্য করে তাকে বলা হয় “মুসলিম।” যে নিজেকে মুসলিম দাবি করে তাকে হযরত মুহাম্মদ সা. এর আনীত  ইসলামের সকল শর্ত মেনে নিতে হয়। যে নিঃশর্তভাবে রাসুলের আদর্শের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার মাধ্যমে ঈমান এনে তা বাস্তবায়ন করে কেবলমাত্র সে-ই হচ্ছে প্রকৃত মুসলিম তথা মুমিন। 

ইসলামের পরিচয় 

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ইসলাম মানে হচ্ছে, মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি এমন বিশ্বাস স্থাপন করা, যে বিশ্বাসের ফলে তাঁর নিকট একজন মানুষ পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে। একইসাথে এই বিশ্বাসের কারণেই বিনা দ্বিধায় ও বাঁধায় তাঁর যাবতীয় আদেশের আনুগত্য করে এবং যাবতীয় নিষেধ বর্জন করে। সর্বোপরি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ইসলাম ও কুরআনের দেওয়া বিধান এবং তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ ও অনুকরণে জীবনযাপন করে, আর এটাকেই বলা হচ্ছে ইসলাম।

আল্লাহর রাসুলের একটি হাদিসে তিনি   ইসলামের মূল পরিচয় খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন,

ইসলাম কাকে বলে? ইসলামের পরিচয়, ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মোটকথা ইসলামের পরিচয় হলো আল্লাহর আদিষ্ট কর্ম বাস্তবায়নে এবং নিষিদ্ধ কর্ম বর্জনের মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর মানুষের হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে বহু নবী রাসুলের মাধ্যমে নানান আদেশ নিষেধ, বিধি বিধান প্রেরণ করেছেন। 

আর এসব আদেশ নিষেধই প্রতিটি সময় শরিয়ত হিসেবে প্রতিটি যুগে পরিচিত ছিলো। বর্তমান সময়ে পবিত্র কুরআন এবং রাসুলের সুন্নাহ ও হাদিসই হচ্ছে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ শরিয়ত তথা ইসলাম। যেকারণে ইসলামই হলো মানবজাতির জন্য নির্দেশিত সর্বশেষ ও সর্বোত্তম জীবন বিধান। আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বলেন,

ইসলাম কাকে বলে? ইসলামের পরিচয়, ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

সুতরাং ইসলাম হলো আল্লাহ তায়ালার নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম। এটি মানবজাতির জন্য আল্লাহ তায়ালার একটি বিশেষ নিয়ামত। আর এই ইসলামেই রয়েছে মানবজীবনের সকল বিষয় ও সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধানের দিকনির্দেশনা। তাই তো আল্লাহ তায়ালা বলেন, 

ইসলাম কাকে বলে ইসলামের পরিচয়, ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মোটকথা প্রতিটি মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কাজকর্মের যথাযথ দিকনির্দেশনা ইসলামে বিদ্যমান। হোক সেটা  ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিকসহ যেকোনো বিষয়। পৃথিবীতে উদ্ভূত সকল প্রকারের সমস্যার সমাধান এই  ইসলামে যথাযথভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। 

এমনকি মানুষসহ প্রতিটি জীবের মৃত্যুর পরবর্তী জীবন বা পরকালের অবস্থা কী এবং কেমন হবে, তার বর্ণনাও ইসলামে পরিষ্কার ভাবে খুলে খুলে বর্নণা করা হয়েছে। সুতরাং সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামের কোনো বিকল্প নেই।

এই কারণেই ইসলাম একটি সর্বজনীন ধর্ম। এটি কোনো কাল, অঞ্চল বা জাতির জন্য এককভাবে সীমাবদ্ধ নয়। আমরা দেখি যে পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের নামকরণ হয়েছে সে সব ধর্মের প্রবর্তক, প্রচারক, অনুসারী কিংবা জাতি ইত্যাদির নামে। 

কিন্তু ইসলাম সর্বজনীন ধর্ম হওয়ার কারণে এর নামকরণ কারও সাথেই সম্পৃক্ত করা হয়নি। বরং মহান আল্লাহ ও রাসুলের (সা.) এর আনুগত্যের মাধ্যমে শান্তির পথে জীবন পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে এর নামকরণ করা হয়েছে ইসলাম।

ইসলামী  শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জজন্য। তিনিই  আমাদের একমাত্র ইলাহ। আমরা প্রতিটি মানুষই তাঁর মুখাপেক্ষী বান্দা ও আদিষ্ট গোলাম। তাঁর প্রেরিত ধর্ম ইসলাম দর্শনের মধ্যেই রয়েছে প্রতিটি মানুষের  সফলতা, উন্নতি ও শান্তিময় জীবন উপভোগের নিয়ামক।

আর ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা যুক্তিবান্ধব, বাস্তব ও পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এই পৃথিবীর   মানব জাতির প্রতিটি বিষয়ের সমস্যা সমাধান এবং নানান বিধি বিধান ইসলামে অত্যন্ত চমৎকারভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। সেকারণে পৃথিবীর সকল মানবজাতির জন্য উক্ত পরিপূর্ণ জীবন বিধান মেনে চলা খুবই জরুরী। 

কেননা এই জীবনব্যবস্থা রয়েছে প্রভূত দুনিয়াবী শান্তি এবং পরকালীন নিরাপত্তা। বরং ইসলামের ধর্মীয় অনুশাসনের শিক্ষা উপেক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করলে প্রতিটি মানুষের পদে পদে রয়েছে অশান্তি, অনাচার ও লাঞ্ছনা। একইসাথে তাকে মুখোমুখি হতে হবে পরকালীন ভয়াবহ শাস্তির মুখে।

আর এই কারণেই মানব সভ্যতাকে অভিজাতরূপে টিকিয়ে রাখতে হলে ও  মানবজাতির উৎকর্ষ সাধন চাইলে। আল্লাহ প্রদত্ত  ইসলামি শরিয়তের শিক্ষার বিধি-বিধান মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নেই। আর বিধি-বিধান মেনে চলতে হলে অবশ্যই এইসব বিধি বিধানের শিক্ষা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করাও জরুরী। 

যেকারণে ইসলামের প্রথম শিক্ষাই ছিলো ‘পড়’। অর্থাৎ জানতে হলে আগে পড়তে হবে। পড়া ছাড়া জ্ঞানার্জন অসম্ভব। আর জ্ঞানের বিপরীত নাম হলো ‘মূর্খতা’। মূর্খতা এমন একটি বিষয়, যা মানুষের নেতিবাচক দিককেই উপস্থাপন করে। একারণে পৃথিবীর কোনো মানুষই নিজেকে মূর্খ বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। 

আর ইসলামও তার অনুসারীদের মূর্খ হিসাবে দেখতে চায় না। তাই বারবার পবিত্র কুরআনে মানুষকে ব্যাপকভাবে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করার জন্য বলা হয়েছে। শুধু তাইনয় দুনিয়াবী প্রয়োজন ও সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেক জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজনীয়তা বেশী। তাই  ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও  ইলম বা জ্ঞানার্জন করা ফরজ ও অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। আর তাই আল্লাহ তায়ালা বলেন,

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

পবিত্র কুরআন ও হাদিসে যে ‘ইলম বা জ্ঞানের কথা বলা হচ্ছে, তার মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলামের ধর্মীয় দ্বীনি জ্ঞান। এখানে একটি দল এবং প্রত্যেক মুসলমানের উপর যে জ্ঞান অর্জন করা ফরজ করা হয়েছে। তার অর্থ হলো, ইসলাম জানার এবং মানার জন্য যাবতীয় ইসলামী মূল জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

যার মধ্যে রয়েছে যাবতীয় ফরজ কাজ আদায় করা, হালাল বেছে চলা, হারাম থেকে বেঁচে থাকা ইত্যাদি। এছাড়াও যে মূল বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, একজন মুসলিমের ইসলাম সম্পর্কে বিশুদ্ধ আকিদা থাকা বা পোষণ করা। কেননা একজন মুসলিমের ঈমানের মূল হলো তার আকিদা। 

কেউ আল্লাহর উপর ঈমান আনলো, কিন্তু সঠিক আকিদায় ইসলাম পালন করলো না। তাহলে তার ঈমান কখনোই পরিপূর্ণ হবে না। তাই একজন মুলমানের জন্য সহীহ আকিদা জানা এবং মানা খুবই জরুরী।  

এছাড়াও একজন মুসলিমের পাক-নাপাকের হুকুম, নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, জাকাতসহ অন্যান্য ইবাদত, যেগুলো ইসলামী শরিয়ত  মতে ফরজ বা ওয়াজিব সেই সম্পর্কে বিশুদ্ধ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এছাড়াও একজন মুসলিমের দৈনন্দিন জীবনযাপনে ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা, হালাল-হারাম, বিবাহ-তালাক ইত্যাদি সম্পর্কেও জ্ঞান অর্জন করা বাধ্যতামূলক।যেকারণে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

আলী (রা.) বলেন, আয়াতে বর্ণিত,  এই আয়াতের ব্যাখ্যা হলো, ধর্মীয় বিভিন্ন  জ্ঞানের মাধ্যমে পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা। কেননা আল্লাহ আগেই জানিয়েছেন যে,  হারাম কাজ করলে জাহান্নাম এবং আল্লাহর সৃষ্ট ও প্রদত্ত বিধি বিধান পালন না করলে সোজা জাহান্নাম।

সুতরাং আমরা যদি আমাদের পরিবার পরিজনের সকল সদস্যকে হারাম হালাল সম্পর্কে জ্ঞান না দেই। তাহলে তারা ঈমান আনার পরও জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে বাধ্য। আর তাই আমাদের উচিত হবে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে দ্বীন ইসলামের জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া। 

এছাড়াও আমরা অধিকাংশ মুসলমান জন্মগত ভাবেই মুসলিম হওয়ার কারণে আমরা ইসলামের মৌলিক ঈমান আকিদা এবং আমল সম্পর্কে কিছুই জানি না। ফলে আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কিংবা বাপ দাদা পূর্বপুরুষদের অনুসরণে ইসলাম পালন করি। 

এভাবে ইসলাম পালন করতে গিয়ে আমাদের অধিকাংশ মানুষই মূল ঈমান আকিদা থেকে দূরে সরে গেছি। তাই প্রকৃত ঈমানদার হতে হলে অবশ্যই দ্বীনের জ্ঞান আবশ্যক।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম ইসলামে দ্বীন শিক্ষা কতটুকু জরুরী। আর এই শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জন্যই ফরজ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা দ্বীন ইসলামের শিক্ষা কিংবা ইসলামী শিক্ষা অর্জন করব কীভাবে? কার অনুসরণ অনুকরণে আমরা ইসলামী শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করব।

এই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিষয় ভাবার রয়েছে। আল্লাহ এই পৃথিবীতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে পাঠিয়েছেন আল্লাহর বান্দাদের আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞান ও শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সুতরাং আমাদের যদি কোনো জ্ঞানার্জন করতে হয়, তাহলে আমাদের অবশ্যই রাসুল (সা.) এর আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর থেকেই অর্জন করতে হবে। 

আমরা যদি রাসুল (সা.) এর দেখানো পথ ছাড়া নিজেদের মন মতো ইসলাম পালন করি তাহলে আমরা কখনোই মুক্তির পথ পাবো না। তাই সর্বাবস্থায় রাসুলের অনুসরণই হচ্ছে প্রকৃত ইসলামএব্যাপারে আল্লাহ বলেন,

“অতঃপর তারা যদি আপনার কথায় সাড়া না দেয়, তবে জানবেন, তারা শুধু নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহর হেদায়েতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না।” (সুরাঃ আল কাসাস, আয়াতঃ ৫০)

সুতরাং রাসুলের পরিবর্তে কখনোই নিজেদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে ইসলামের জ্ঞান অর্জন করা যাবে না। ইসলামের জ্ঞান অর্জন করতে হলে অবশ্যই রাসুলের প্রদর্শিত পথেই জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

ইসলামী শিক্ষার মূল হচ্ছে  কুরআন

আমরা এতক্ষণ জানলাম প্রতিটি মানুষকে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর এই এই জ্ঞানের মূলে রয়েছে পবিত্র কুরআন। আল্লাহ এই কুরআনের মাধ্যমেই মানুষকে জ্ঞানের শিক্ষা দিচ্ছেন। সুতরাং ইসলামের জ্ঞানার্জন করতে হলে অবশ্যই আমাদের কুরআন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।

কুরআন জানা ছাড়া কখনোই ইসলামী শিক্ষা পরিপূর্ণ হবে না। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত কুরআনে কী আছে কী নেই তা জানার চেষ্টা করা। যারা কুরআন সম্পর্কে জানে না এবং কুরআনের শিক্ষার বিমুখী চলা চলে, তাদের পরিনতি হয় খুবই খারাপ। 

অথচ আল্লাহ পবিত্র কুরআনে তাঁর প্রেরিত জ্ঞানের চর্চা করার জন্য বার বার তাগিদ দিয়েছেন। অথচ অধিকাংশ মুসলমান আরবি কুরআন পড়লেও কুরআনের মধ্যে কী আছে কী নেই তা জানে না। অথচ আল্লাহ বলেন, 

“আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?” [সুরা ক্বামার ৫৪:৩২]

আরেকটি আয়াতে আল্লাহ বলেন, 

“এটা (কুরআন)  খোদাভীরুদের জন্যে অবশ্যই একটি উপদেশ।” [সুরা হাক্বকাহ ৬৯:৪৮]

আল্লাহ বলছেন এটা (কুরআন) হচ্ছে উপদেশ। অর্থাৎ এখানে প্রতিটি মানুষের জন্য নানান জ্ঞানের উপদেশ আদেশ নিষেধ রয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে এই কুরআন পড়ে এবং জেনে এর থেকে প্রকৃত শিক্ষা আহরণ করতে হবে। আর যারা কুরআনের জ্ঞান গ্রহণ করে না কিংবা মানে না অথবা বিশ্বাস করে না। তাদের জন্য তিনি ব্যবস্থা রেখেছেন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ বলেন, 

“যারা আল্লাহর কথায় বিশ্বাস করে না, তাদেরকে আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন না এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [সুরা নাহল ১৬:১০৪]

সুতরাং জ্ঞানার্জন করতে হলে অবশ্যই আল্লাহর কিতাব থেকেই জ্ঞান নিতে হবে। কেননা একজন ঈমানদারের মূল হলো হিদায়াত প্রাপ্ত হওয়া। যে মুসলমান আল্লাহর হিদায়াত পায় সে ই ইহকালে শান্তি এবং  পরকালে মুক্তি লাভ করতে পারে। তাই আল্লাহ বলেন, 

“এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি এবং আল্লাহ-ই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন।” [সুরা হাজ্জ্ব ২২:১৬]

অতএব কুরআন পড়ে তবেই দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর দ্বীনের জ্ঞানার্জন যে করবে আল্লাহ তাকে হিদায়াত দান করবেন।

ধর্মীয় শিক্ষার ফজিলত

যারা ধর্মীয় জ্ঞানার্জন করবে তারা ইহকালে শান্তি ও পরকালের মুক্তির পাশাপাশি নানান ফজিলত লাভ করবে। এই বিষয়ে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

সুতরাং একজন ঈমানদারের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আমাদের ইলম তথা দ্বীনের জ্ঞানার্জন জরুরী। 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব ইসলাম কাকে বলে ইসলামের পরিচয় ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা 8

উপরোক্ত হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন কেবলমাত্র তাকেই দ্বীনের জ্ঞান প্রদান করেন। যিনি কুরআনের শিক্ষা দেন তিনিই হচ্ছেন সর্বোত্তম ব্যক্তি। একইসাথে ইসলামের জ্ঞানার্জনের কারণে যেকোনো ব্যক্তির জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা সুগম হয়, একইসাথে যারা ইসলামের জ্ঞানার্জন করে তাদের জন অন্যান্য প্রাণীকুলও নাজাতের দোয়া করতে থাকে। শুধু তাইনয় দ্বীনের জ্ঞান এমন একটি জিনিস, যা দ্বারা যেকোনো মুসলমান মৃত্যুর পরও সওয়াব পেতে থাকবে।

এমনকি যারা দ্বীনের জ্ঞানার্জন করে আলেম ওলামা হয়েছেন বা যারা দ্বীনের চর্চা নিজে করে এবং অন্যকেও দ্বীন ধর্মের শিক্ষা দেয়। তারা হচ্ছেন নবি রাসুল (আ.) গণের  উত্তরাধিকারী। সুতরাং দ্বীনের চর্চা এবং জ্ঞানার্জন করার নানান উপকারিতা রয়েছে। যা আমাদের ইহকাল ও পরকালের জীবনের পাথেয় হবে। 

ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব

আমরা সবাই জানি শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড- তাই প্রতিটি মানুষের নূন্যতম শিক্ষা বা জ্ঞান থাকা আবশ্যক। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত। শিক্ষা ছাড়া কখনোই কোনো দেশ জাতি উন্নতি লাভ করতে পারেনি।

তাই শিক্ষাকে ইসলাম খুবই গুরুত্ব সহকারে লালন করে। এই কারণেই পবিত্র কুরআনের প্রথম বানীই ছিলো,

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

অর্থাৎ আল্লাহ মানুষকে শুরুতেই জানিয়ে দিচ্ছেন যে, তোমাকে পড়তে হবে এবং জানতে। আর জানার জন্য পড়া জরুরী। তাই আল্লাহ মানুষকে পড়তে বলছেন পবিত্র কুরআন।

কেননা জাগতিক শিক্ষা এবং ইসলামী শিক্ষার মূলে রয়েছে পবিত্র  কোরআন মাজিদ। তাই আল্লাহ বলছেন, 

 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

অর্থাৎ পবিত্র কুরআন পৃথিবীতে এসেছে বিশ্ব মানবতাকে হেদায়েতের সঠিক পথের সন্ধান দেওয়ার জন্য। তাই তো আল্লাহ বলেন, 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

অন্য আয়াতে বলেন, 

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

অর্থাৎ, কুরআন হচ্ছে মানব জাতির জন্য হেদায়েত স্বরূপ। হেদায়েতের এই কিতাব শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। কেননা এই কিতাবেই রয়েছে প্রকৃত শিক্ষার আলো, মানুষের জীবনধারা, কর্মপদ্ধতি, আদর্শ, কর্মচাঞ্চল্য, ত্যাগ, সাধনা ও সফলতার সমন্বয় ইত্যাদি।

যেকারণে ইসলাম মানুষকে সর্বদা শিক্ষার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং আহ্বান করে অজ্ঞতার থেকে মুক্তি নিয়ে আলোর দিকে ফিরে আসার। তাইতো ইসলামি জীবন দর্শনে জাগতিক নৈতিক দ্বীনিসহ সকল শিক্ষার সমন্বয় ঘটেছে।

শুধু তাইনয় পবিত্র কোরআন-হাদিসে সকল প্রকার শিক্ষার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা বার বার উদৃত হয়েছে। শিক্ষা বিষয়ে এমন অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বিদ্যমান, যা কেবল শিক্ষার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তার প্রতিই নির্দেশ করে। 

ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যদি শিক্ষাকে ভাগ করি তাহলে দেখা যাবে যে, শিক্ষা মূলত দুই প্রকার : জাগতিক শিক্ষা ও দ্বীনী শিক্ষা। জাগতিক শিক্ষা হচ্ছে, সেই শিক্ষা বা জ্ঞান যা দিয়ে বা যা দ্বারা  মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রয়োজন পূরণ হয়।  যেমন আধুনিক বিজ্ঞানের নানান শাখা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, গণিত, পদার্থ ইত্যাদি। 

এই শিক্ষার মূলে রয়েছে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা। অর্থাৎ এই দুনিয়ায় একজন মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য, ভালো থাকার জন্য যা যা করতে হয়, তার সবই হচ্ছে জাগতিক জ্ঞান। আর জাগতিক জ্ঞান আসে দুনিয়াবী নানান অভিজ্ঞতা থেকে। 

অন্যদিকে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টি সম্পর্কে জানার জন্য বুঝার জন্য এবং সেই অনুযায়ী জীবনযাপন করার জন্য যে জ্ঞান অর্জন করা হয় সেটা হচ্ছে দ্বীনী শিক্ষা। এই শিক্ষার মূলে রয়েছে ওহী তথা কুরআন হাদিসের জ্ঞান।

ইসলামে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

আল্লাহ তাআলা দারুল আসবাব বা উপকরণের জগত দ্বারা এই দুনিয়াকে সৃষ্টি করেছেন। আর এই দুনিয়া এমন যে, এখানে মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজন রয়েছে। সেইসাথে  এই প্রয়োজনগুলো পূরণের জন্য মানুষকে দেওয়া হয়েছে পঞ্চ ইন্দ্রিয় ও জ্ঞান-বুদ্ধি। আর এইসব গুলোকেই কাজে লাগানোর জন্য ইসলাম পূর্ণমাত্রায় গুরুত্ব দিয়েছে।

দুনিয়াবী জ্ঞান অর্জনের হুকুম 

দুনিয়াবী জ্ঞান আমরা কীভাবে কী কাজে লাগব। কিংবা আমাদের কোন জ্ঞানের চর্চা করা উচিত কিংবা কোন জ্ঞানের চর্চা করা যাবে না। এর উপর ভিত্তি করে জ্ঞান চর্চাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যার এক ভাগে রয়েছে  অপরিহার্য জ্ঞান, অপর ভাগে রয়েছে হারাম জ্ঞান। 

অপরিহার্য জ্ঞান হচ্ছে ওই সব জ্ঞান যা একজন মানুষের দুনিয়াতে বেঁচে থাকার জন্য খুবই অপরিহার্য। যেমন, কৃষিবিদ্যা,  চিকিৎসা বিদ্যা, পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন বিদ্যা গণিত বিদ্যা ইত্যাদি সমগোত্রীয় যত জ্ঞান বিদ্যা রয়েছে তা প্রতিটি মানুষের জন্য দুনিয়ায় বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যিক।

এইসব দুনিয়াবী জ্ঞান সবাইকে পারদর্শী না হলেও কিছু না কিছু মানুষকে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। কেননা এইসব না হলে কখনোই এই দুনিয়ায় বেঁচে থাকা যাবে না।

পক্ষান্তরে যে জ্ঞানের চর্চা দ্বারা দুনিয়ার কোনো উপকার হয় না। যে জ্ঞান অর্জনের আল্লাহকে ভুলে মানুষ কুফরের দিকে ধাবিত হয়, সেই জ্ঞান হচ্ছে হারাম জ্ঞান। যা কখনোই চর্চা করা কিংবা অর্জন করা যাবে না। 

যেমন আল্লাহ বিরোধী জ্ঞানের চর্চা করা অর্থাৎ কুরআন হাদিসের ভুল ধরার চেষ্টা করা, ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করতে গবেষণা করা, ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরী সাহিত্য চর্চা, কুফরি তাবিজ কবজের চর্চা করা ইত্যাদি। একইসাথে এমন সব জ্ঞান যা দ্বারা মানুষের কোনো কল্যাণ নেই তাও চর্চা করাও নিষেধ।

শুধু তাইনয় হারাম কাজের জ্ঞান চর্চা করাও হারাম। আবার কিছু কিছু কাজ ব্যক্তি, পরিস্থিতি এবং সময় ভেধে হালাল হলেও জনসমক্ষে এইসব কাজের জ্ঞান চর্চা করাও হারাম। যেমন যৌন বিদ্যা। 

সর্বোপরি এই দুনিয়ায় আমাদের বেঁচে থাকার এবং জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয়তায় যেসকল জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, সেইসব জ্ঞান অর্জন করা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে আবশ্যকীয়। তাই জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে মৌলিকভাবে অনৈসলামিক মনে করার অবকাশ নেই। 

তবে এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, একজন মুসলমানের দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। এবং দুনিয়াবী জীবনযাপনের জন্য যে জ্ঞানের প্রয়োজন তাও অর্জন করা উত্তম। কিন্তু কখনোই দুনিয়াবী প্রয়োজনে এমন কোনো জ্ঞান অর্জন করা যাবে না, যা দ্বীনি জ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক।

যেমন আমাদের দেশে পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে শিক্ষার উপাদান ও পরিবেশে নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতাকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। যা ইসলামের মৌলিক নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। এবং এটা যেকোনো মুসলমানের জন্য হারাম। কেননা যে শিক্ষা একজন মানুষ অর্জন করে আল্লাহ বিরোধী হবে, কিংবা যে শিক্ষা ইসলামের আইনকানুন বিরোধী। সেই শিক্ষা কখনোই একজন মুসলমানের জন্য জায়েজ নয়।

এখানে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দুনিয়াবী জ্ঞান শুধু দুনিয়ার জন্য নয়। বরং এই দুনিয়াবী জ্ঞানের মাধ্যমে যে উপকারটা হবে, সেটার মূল্য একজন মানুষ পরকালেও পাবে। অর্থাৎ একজন মানুষ দুনিয়াবী জ্ঞান দ্বারা ডাক্তার হলো। আর এই ডাক্তার যতজন রোগীকে সেবা দিয়ে ভালো করবে, তারজন্য সে মহান আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাবে।

সুতরাং কেউ যদি আখিরাতের জন্য দুনিয়াবী জ্ঞান অর্জন করে তাহলে সে দুনিয়া এবং আখিরাত দুটোই অর্জন করতে পারবে। একইসাথে দেশ এবং জাতির জন্য সামরিক বাহিনী কিংবা নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগদানও দুনিয়া এবং আখিরাতের সওয়াব পাওয়া যাবে।

মোটকথা আমরা সরাসরি দ্বীনি জ্ঞান ছাড়াও দুনিয়াবী যত জ্ঞান আছে, তা যদি মানুষের কল্যাণে কিংবা ইসলামের কল্যাণে অর্জন করে তা বিতরণ করি। তাহলে আমরাও সেখান থেকে দু ভাবেই লাভবান হবো। এই কারণে ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অত্যাধিক। 

ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা

ইসলামী শিক্ষা হলো সেই শিক্ষা যা একজন মানুষকে সঠিক ঈমান আকিদা জানার এবং বুঝার জন্য দেওয়া হয়। অপরদিকে আধুনিক শিক্ষা হচ্ছে, সেই শিক্ষা যা দুনিয়াবী লাভের জন্য অর্জন করা হয়। 

কিন্তু বর্তমান সময়ে যে বিষয়টি নিয়ে খুবই তোড়জোড় চলছে সেটা হচ্ছে, ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা। ইসলাম বিরোধী শিবির থেকে সবসময়ই ইসলাম এবং ইসলামী শিক্ষাকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চলছে। যেকারণে তারা নানান ভাবে ইসলামী শিক্ষাকে ছোট করতে এবং সমাজে অচল বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে।

আর তাই খুবই সুকৌশলে আমাদের দেশের মানুষের মাঝে একটা বিভেদ সৃষ্টির পাঁচতারা চলছে। কিন্তু বাস্তবিক ভাবে আধুনিক শিক্ষার সাথে ইসলামী শিক্ষার কোনো সংঘর্ষ নেই। আমরা আগেই আলোচনা করেছি, ইসলামী শিক্ষা হচ্ছে যা একজন মুসলমানের অর্জন করা ফরজ।

পক্ষান্তরে আধুনিক শিক্ষা ঐ শিক্ষা, যে শিক্ষা দ্বারা একজন মানুষ দুনিয়াবী উপকার সাধন করবেন। তাই দুনিয়ার উপকার করতে কারো বাঁধা নেই। তাই ইসলামী শিক্ষায়ও তথা মাদ্রাসা শিক্ষায় যথেষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এই পরিবর্তন সময়ের প্রয়োজনে জরুরী ছিলো বিধায় তা পরিবর্তিত হয়েছে।

কিন্তু ইসলামী শিক্ষা কখনোই আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। বরং ইসলাম দুনিয়াবী প্রয়োজনে সকল প্রকার জ্ঞানার্জনকে উৎসাহিত করে। অথচ আধুনিক শিক্ষার নামে বর্তমানে মাদ্রাসার ইসলামী শিক্ষায় নানান চক্রান্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বর্তমানে মূল আধুনিক শিক্ষায় সরাসরি কিংবা আড়ালে আবডালে ইসলাম বিরোধী শিক্ষাসহ নানান নাস্তিক্যবাদের প্রচার প্রচারণা চলছে। আধুনিক শিক্ষায় এমন এমন বিষয় সংযোজন করা হয়েছে, যা সরাসরি ইসলাম বিরোধী। একইসাথে এমন এমন বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।

শুধু তাইনয়, আধুনিকতার নামে ইসলামী মাদ্রাসা শিক্ষায়ও এইসব নাস্তিক্যবাদের প্রচলন করতে অনেকেই উঠেপড়ে লেগেছে। যা কখনোই এই দেশের মুসলিম জনতা মেনে নিবে না। তাই আধুনিক শিক্ষার নামে কখনোই অনৈইসলামিক শিক্ষা মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া গ্রহনযোগ্য নয়।

 

ইসলাম সম্পর্কিত পিডিএফ বই 

  • ঈমান ও আকীদা, মুফতী মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান খান
  • প্রশ্নোত্তরে ইমান ও আকিদা, এনামুল হক মাসউদ
  • ছোটদের ইমান-আকিদা শিক্ষা, মাওলানা শাহ আলম গৌরখপুরি হাফিযাহুল্লাহ
  • আকিদা ও আমল, হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী রহ.
  • ভুল আকীদা ও শুদ্ধ আকীদা জানার উপায়, মুফতী হারুন রসুলাবাদী
  • ঈমান ও ঈমান ভাঙ্গার কারণ, মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইবরাহীম
  • আকীদা বিভ্রান্তি ও নিরসন, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম
  • আমাদের আকিদা ও দাওয়াত, আবু আব্দুর রহমান মুকবিল বিন হাদী আল-ওয়াদিয়ী (রহ.)
  • বিশুদ্ধ আকীদা, আল্লামা ইলিয়াস গুম্মান
  • ইসলামী আকীদা, মাওলানা মুহাম্মদ মূসা
  • মৌলিক আকীদা, শাইখ ড. হাইসাম আল-হাদ্দাদ
  • ইসলামী আকীদা, মাওলানা মুহাম্মদ ইদরীস কান্দলভী
  • দেওবন্দি আকিদা, মাওলানা খলীল আহমাদ সাহারানপুরী রহ.
  • ইসলামী আকীদা, ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
  • ঈমান ও নামায, বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া
  • ঈমান ও ইসলাম, মওলানা খালেদ আল-বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি
  • ঈমান ও ইনসান, বদিউজ্জামান সাঈদ নূরসী
  • কুফর ও ঈমান, ড. আবু মুহাম্মদ
  • বিশুদ্ব আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ, ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম
  • ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ, মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন
  • নাওয়াকিদুল ঈমান ও উসূলুত তাকফীর, মাওলানা হেলালুদ্দীন পুকুরিয়বী
  • ঈমান, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
  • ঈমান ও আমলে সালেহ, মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিম
  • ইসলামী আকীদা শিক্ষা, আবুবকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী
  • ইসলামী আকীদা কালেকশন, মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন
  • ঈমান ও ইসলামের সহজ পরিচয়, নূরুল ইসলাম খলিফা

প্রশ্নোত্তর

সিলমুন শব্দের অর্থ কি

“সিলমুন” হচ্ছে আরবি একটি ধাতু। যা থেকে ইসলাম শব্দটি এসেছে। সালাম শব্দের অর্থ হচ্ছে শান্তি। আর সালাম থেকে সিলমুন। আর সিলমুন থেকে ইসলাম।  যার অর্থ হলো আনুগত্য কিংবা আত্মসমর্পণ করা। সুতরাং ইসলাম শব্দের অর্থ দাঁড়ায় আনুগত্য করা, নিজেকে বিনয়াবনত করা, আত্মসমর্পণ করা, হুকুম মান্য করা, কোন আপত্তি ছাড়াই যেকোনো আদেশ-নিষেধ মেনে নেওয়া, একনিষ্ঠভাবে ইবাদত বন্দেগী করা ইত্যাদি। 

ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি

ইসলাম মানেই হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান। যেখানে মানুষের জীবনযাপনের জন্য আল্লাহ তা আলা নানান বিধি বিধান প্রনয়ণ করেছেন। আর একজন মানুষ ঈমান এনে এইসব বিধি বিধানের প্রতি বিশ্বাস রেখে সেইমতে আমল করার নামই হচ্ছে ইসলাম।

আর তাই ইসলামিক স্কলারগণ ইসলামের ব্যবহারিক অর্থ নির্ধারণ করছেন দুইভাবে। যেখানে তারা ইসলামের মূল অর্থ “শান্তি” কে ভাগ করেছেন শান্তি স্থাপন এবং বিরোধ পরিহার। অর্থাৎ আল্লাহর যাবতীয় আইনকানুন মেনে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করে নিবিঢ় শান্তি স্থাপিত করা।

অপরদিকে তাঁর বিরোধিতা পরিহার করে শান্তিতে থাকা। অর্থাৎ আল্লাহর এমন এমন সব বিধিনিষেধ রয়েছে, যা মানুষ চাইলেই সহজে মান্য করতে পারে না। ফলে শয়তানের প্ররোচনায় অধিকাংশ মানুষ তাঁর আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে জীবনযাপন করে। যেটা আল্লাহর বিরুদ্ধাচারণ।

এখন আমরা যদি ইসলামের ব্যবহারিক অর্থ জানতে চাই, তাহলে তা দাঁড়াবে যে – আমরা আল্লাহর সমস্ত কিছু মেনে নিয়ে তাঁর বশ্যতা স্বীকার করব। একইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে না গিয়েও তাঁর বশ্যতা মেনে নিব। এটাই হচ্ছে ইসলামের ব্যবহারিক অর্থ।

হুজ্জাতুল ইসলাম শব্দের অর্থ কি

হুজ্জাতুল ইসলাম বা হুজ্জাত আল-ইসলাম হচ্ছে (আরবি: حجة الإسلام‎‎) একটি সম্মানজনক উপাধি যার অর্থ ‘ইসলামের প্রামাণ্য অবয়ব’। যা বিভিন্ন সময় ইসলামের জন্য খেদমতকারীদেরকে উপাধি হিসাবে দেওয়া।

মূলত এই “হুজ্জাতুল ইসলাম” উপাধিটি প্রথম দেওয়া হয়েছিল ইমাম আল-গাজ্জালি (রহ.) কে। এর কারণ ছিলো ইমাম গাজ্জালী সুফিবাদ এবং মূল ইসলামের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছিলেন। প্রকৃতঅর্থে ইসলামের মধ্যে সুফিবাদের কোনো স্থান নেই। সুফিবাদের এমন এমন সব আকিদা রয়েছে যা মূল ইসমামের সাথে সাংঘর্ষিক।

তাই সুফিবাদের শুরু থেকেই এই মতবাদ ইসলামে প্রশ্নবিদ্ধ। যেকারণে বিভিন্ন জন বিভিন্ন সময়ে সুফিবাদকে একটি ইসলামিক চাদর পরাতে চেয়েছেন। যার মধ্যে ইমাম গাজ্জালীও রয়েছেন। 

তিনি তাঁর বিভিন্ন গবেষণা দ্বারা চেষ্টা করেছেন সুফিবাদকে একটি মর্যাদায় নিয়ে যেতে। একইভাবে তাঁর প্রচেষ্টা ছিলো মূল ইসলামের শরিয়তের সাথে সুফিবাদের একীকরণের। এই কাজে তিনি সফলও হয়েছেন। আর তাই তাকে  “হুজ্জাতুল ইসলাম” উপাধিটি দেওয়া হয়।

যদিও এই  “হুজ্জাতুল ইসলাম” উপাধিটি ইমাম গাজ্জালীর জন্য নির্দিষ্ট হলেও, পরবর্তীতে অন্যান্য সুফিদের জন্যও এই উপাধি ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। যেমন দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবিকেও এই উপাধি দেওয়া হয়।

ইসলাম শব্দের উৎপত্তি

আরবি ব্যাকরণে একই ধাতু থেকে উৎপন্ন শব্দকে বিভিন্নভাবে কয়েকটি পদে ব্যবহার করা হয়। যেমন ইসলাম শব্দটি সীন, লাম, মীম ধাতু থেকে সৃষ্টি হয়েছে। এর অন্তর্নিহিত অর্থ হলো শান্তি, আপোষ, বিরোধ পরিহার ইত্যাদি। 

আরবিতে এই একই ধাতু নানান অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, সালমুন শব্দের অর্থাৎ যুদ্ধ বিরতির জন্য শান্তির প্রস্তাব। পবিত্র  কুরআনে আল্লাহ্ বলেন,

ইসলাম শব্দের অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা ইসলাম কি ইসলাম কাকে বলে ইসলাম এর ব্যবহারিক অর্থ কি ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলাম ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

কুরআনের আরেকটি জায়গায় সিলমুন শব্দটি  ইসলামী বিধান হিসাবে এসেছে। আল্লাহ বলেন, 

 

ইসলাম কাকে বলে ইসলামের পরিচয় ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা 2 3

কুরআনে অন্য একটি আয়াতে সালাম শব্দটি যুদ্ধ পরিহারের প্রস্তাব হিসাবে এসেছে। যেমন আল্লাহ বলেন,

ইসলাম কাকে বলে ইসলামের পরিচয় ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা 3 4

মোটকথা ইসলাম শব্দটি একটি ধাতু থেকে উৎপন্ন হয়ে নানান শব্দে বিভক্ত হয়েছে। যেকারণে ইসলাম শব্দের মূলে পাওয়া শান্তি। যার উৎপত্তির মূলে রয়েছে নানান শব্দ।

ইসলাম ধর্মের বয়স কত

পৃথিবীর সৃষ্টির শুরু থেকেই ইসলাম ধর্ম চলে আসছে। আল্লাহ প্রথম মানুষ আদম আঃ কে সৃষ্টি করার সাথে সাথেই ইসলামের পদচারণা শুরু হয়। যা ধীরে ধীরে বিভিন্ন উপায়ে পরিপক্ক হতে থাকে।

এই পরিপক্কতার আল্লাহ প্রতিটি যুগে সময়ে ও জাতির কাছে ইসলাম পৌঁছে দিয়েছিলেন। যার নমুনা হচ্ছে পৃথিবীতে বিভিন্ন নবী রাসুলের আগমন। এইসব নবী রাসুল আঃ গণ পৃথিবীর সৃষ্টি থেকেই ইসলামের তথা আল্লাহর দিকে দাওআত দিয়ে আসছেন।

এই দাওআতই হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মূল কাজ। আর এই দাওআতের নমুনা ও ধরণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম। সময়ে সময়ে ইসলামের ফরম্যাট আপডেট হয়েছে। যেমন ইব্রাহিম আঃ মুসা আঃ দাউদ আঃ ইসা আঃ ইত্যাদি নবী রাসুলদের জন্য বিভিন্ন আইনকানুন দিয়ে ইসলামের বার্তা তৎকালীন সময়ে তৎকালীন জাতি সমূহের জন্য প্রেরিত হয়েছিল। তাই এইসব নবী রাসুলদের ধর্মও ছিলো ইসলাম। 

আর তাই যদি জিজ্ঞাসা করা হয় ইসলাম ধর্মের বয়স কত? তাহলে এর উত্তর হবে পৃথিবীর সৃষ্টি থেকেই ইসলামের জন্ম। আর যদি বলা ইসলামের সর্বশেষ আপডেটের বয়স কত? তাহলে এর উত্তর ৬১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই বর্তমান আপডেট এবং সর্বশেষ ইসালামের শুরু।

যা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে আল্লাহ পৃথিবীতে সমগ্র জাতির জন্য নির্ধারণ করেছেন। এবং যা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত বলবদ থাকবে।

ইসলামের মৌলিক বিষয় কয়টি

ইসলাম হচ্ছে একটি ব্যবহারিক ধর্ম। অর্থাৎ ইসলাম মানেই চর্চা করা। যে ইসলামে দাখিল হবে তাক ইসলামের নানান বিষয়ের উপর বিশ্বাস ও আমল করতে হবে। এই হিসাবে ইসলামের মৌলিক বিষয় হলো পাঁচটি।

অর্থাৎ যারা ইসলাম পালন করবে তারা এইসব বিষয় পালনের মাধ্যমে ইসলাম পরিপূর্ণ করবেন। একইসাথে ঈমানেরও মৌলিক বিষয় সাতটি। যা একজন মুসলমানের বিশ্বাস করা জরুরী। আর তা হলো,

  • আল্লাহ কে বিশ্বাস করা
  • ফেরেশতা সমূহের উপর বিশ্বাস করা 
  • আল্লাহর কিতাব সমূহের উপর বিশ্বাস রাখা
  • আল্লাহর প্রেরিত সকল নবী রাসুলদের উপর বিশ্বাস রাখা
  • ইহকালের পর কিয়ামত সংঘটিত হয়ে পৃথিবী ধ্বংস হবে এই বিশ্বাস রাখা
  • তাকদির তথা ভাগ্য বিশ্বাস রাখা। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের ভাগ্য আল্লাহ আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। মানুষ সেই মতেই নিজের জ্ঞান গরিমা দিয়ে চলছে। 
  • পরকালে বিশ্বাস করা। অর্থাৎ এই পৃথিবী কিয়ামতে ধ্বংস হওয়ার পর আরেকটি জীবন শুরু হবে। যেখানে মানুষের পৃথিবীর জীবনযাপনের উপর বিচার করা হবে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ইসলাম কাকে বলে? ইসলাম কী এবং কেন। ইসলামের পরিচয়, ইসলামী শিকার  গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আশাকরি ইসলাম সম্পর্কে নানান প্রশ্নের উত্তরও আপনারা পেয়ে গেছেন। আসুন আমরা সঠিক ইসলাম জেনে তবেই আমরা মানার চেষ্টা করি। বর্তমানে সময়ের আমাদের আরো বেশী বেশী ইসলামুখী হওয়া উচিত। 

 

আপনি আরো যা পড়তে পারেন

 

 


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী

Author: সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী জন্ম চট্টগ্রামে। জীবিকার প্রয়োজনে একসময় প্রবাসী ছিলেন। প্রবাসের সেই কঠিন সময়ে লেখেলেখির হাতেখড়ি। গল্প, কবিতা, সাহিত্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলা পত্রিকায়ও নিয়মিত কলাম লিখেছেন। প্রবাসের সেই চাকচিক্যের মায়া ত্যাগ করে মানুষের ভালোবাসার টানে দেশে এখন স্থায়ী বসবাস। বর্তমানে বেসরকারি চাকুরিজীবী। তাঁর ভালোলাগে বই পড়তে এবং পরিবারকে সময় দিতে।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

কবিতা আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ

আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ মা আমেনার গর্ভেতে জন্ম নিলো এক মহামানবের, নাম হলো তার মুহাম্মদ রাসুল আসলো ভবের

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ ইমাম মাহাদী (আ:) আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কেয়ামতের

কবিতা দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ

দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ কেয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসবে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবে, কাফের মুনাফিক যাবে তার দলে ঈমানদার মুমিন

গল্প হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনের গল্প আফছানা খানম অথৈ

জন্ম:হযরত মুহাম্মদ (সা:) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রে বনি হাশিম বংশে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার

Leave a Reply