“রূপকথার গল্পে আমি”-১৯

0

( অনেকদিন পর আজকে (১২.১২.২০২৩) আবার লিখতে বসেছি। ২০০৮ সালে লিখা শুরু করেছিলাম। আঠারো তম পর্ব পর্যন্ত লিখা ছিল। আজকে থেকে গল্পের বাকি অংশ লিখব।)

 

(১৯)

অনার্সে ভর্তি হয়ে যাই। নিজ বাড়ি থেকেই অধ্যয়ন শুরু করি। বাড়িতে অধ্যয়নের এই নতুন অধ্যায়ে আমি পুরোনো স্বাধীনতা অনুভব করি। সেই ছোট ক্ষণগুলি, পুরনো স্মৃতির স্থান, সবসময় আমার হৃদয়ে বাস করে রয়েছে। সেই বিশেষ সময়ের স্থান, সেই পুরনো স্মৃতির আলোকে যা আমাকে হাসতে, ভাবতে, এবং জীবনের সুখ-দুঃখ অভিজ্ঞান করতে উৎসাহিত করে। আমার দিন চলছে সাদামাটা ভাবে। এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসছে। আমার ও পরিবর্তন আসার কথা ছিল কিন্তু আমি মোটেও ভুলতে পারছিলাম না পুরোনো সেই স্মৃতি গুলো।

কিছু কথা বলা হয় নি এখনো তবে আজকে বলবো- আপনাদের মনে হয়তো আসতে পারে মাত্র তিন মাসে অনিক আমার এত আপন হলো কিভাবে। এখন বলি শুনেন- আমি যখন খুব ছোট ছিলাম ক্লাস টু অথবা থ্রি হবে, তখন আমার ভাইয়ের সাথে অনিক স্যার কে দেখেছি। মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং আমার সাথে টুকিটাকি কথা বলতেন, ভালো লাগতো। কিন্তু যেহেতু আমি অনেক ছোট ছিলাম তখন অনিক কে পছন্দ করার কারণ অবশ্যই ভিন্ন ছিল।

বড় হয়ে যখন সেই মানুষ কে অন্য এক পরিবেশে অন্য রকম ভাবে পেয়েছি তখন নিজের মনে ও অন্য রকম ফিলিংস কাজ করেছিল। কিন্তু সেটা পরিপূর্ণতা পেয়েছিল একমাত্র অনিক স্যার এর আমার প্রতি সফ্ট আচরণ থেকে। না হলে হয়তো আমি ও স্যার আর আমার সম্পর্কের অন্য কোনো নাম দিতে পারতাম না। এই যে বললাম “অন্য কোনো নাম”। আসলে অন্য কোনো নাম কোনো দিন প্রকাশ্যে ছিল না। আমি জানিনা এই সম্পর্কের নাম কি ছিল?

স্যার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার অনেক বছর হয়ে গেছে কিন্তু আমি এখনো ভুলতে পারিনি এর কারণ অনেক সেনসিটিভ হৃদয় দিয়ে অনুভব করলে বুঝতে পারবেন

 

“তখন আমার যৌবনকাল শুরু। একদম সাদা হৃদয়, এ মনে কারো ছবি আঁকা হয়নি। যৌবনকালে এই অনুভূতি প্রায় সবার ই কাজ করে। আমি ভাষা দিয়ে সুন্দর করে বুঝাতে পারতেছি না। তো জীবনের প্রথম আমার “মন” নামক বিশাল একটা জায়গায় তার ছবি এঁকেছি। এর জন্য এই ছবি মুছে ফেলতে পারিনি। আর এতে আমার কোনো দোষ নেই কারণ “সম্পূর্ণ ওর আমার সাথে ব্যবহার আমাকে দুর্বল করেছে, তার ছবি আমার হৃদয়ে আঁকতে বাধ্য হয়েছি”।

 

আমি অনেক লেখক কে গল্প উপন্যাসে লিখতে দেখেছি হৃদয়ে প্রথম আঁকা ছবি কখনো মুছে ফেলা যায় না। আমার ও অবস্থা সেই রকম হয়েছে। আমি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অপেক্ষায় অপেক্ষা করে যাচ্ছি….!


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

0

Sumana Begum

Author: Sumana Begum

আমি সুমানা বেগম। সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করি। আমার বাবার নাম হাজী মো. আতাউর রহমান এবং মায়ের নাম তায়্যিবা খানম। তারা কেউ বেঁচে নেই। আমি তাদের সব ছোট মেয়ে। বিয়ানী বাজার সরকারি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছি এবং সিলেট এম. সি. কলেজ থেকে মাষ্টার্স। আমার স্বপ্ন ছিল চাকরি করব। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে তেমন উন্নতি করতে পারিনি। তবে আমার আশা পূরণ হয়েছে আমি কিছু দিন শিক্ষকতা পেশায় কাজ করতে পেরেছি। আমি বিবাহিত এবং আমার একটি আট বছরের মেয়ে আছে নাম মাহনূর জান্নাত।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

গল্প চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ

চেয়ারম্যানের মেয়ে আফছানা খানম অথৈ মেহেরপুর একটি সুন্দর গ্রাম।এই গ্রামে কিছু অদ্ভুত নিয়মকানুন চালু আছে,যা অন্যকোন গ্রামে নেই।এই গ্রামে নারীরা

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ

গল্প মেয়েরা ও মানুষ আফছানা খানম অথৈ রানু বউ হয়ে এসেছে চার পাঁচ মাস হলো।এরই মধ্যে তার স্বামী স্কলারশিপ এর

গল্প মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ

মেয়ে সাক্ষী আফছানা খানম অথৈ আবিদ হায়দার বেড়াতে এসেছে গ্রামে তার বন্ধু ফুয়াদ'র বাসায়।অবশ্য সে একা না,তার সঙ্গে আছে,বন্ধু সজল

গল্প বন্ধ্যা আফছানা খানম অথৈ

গল্প বন্ধ্যা আফছানা খানম অথৈ আলেয়া বউ হয়ে এসেছে চার বছর হলো।এখনো মা হতে পারেনি। এজন্য রীতিমতো তাকে কটু কথা

One Reply to ““রূপকথার গল্পে আমি”-১৯”

Leave a Reply