কলা, গাজর, কালোজিরা, খেজুর সহ সব ফল, ঔষধি গাছ এবং খাবারের অনেক উপকারিতা রয়েছে, পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও আছে। এই লেখাটিতে বিভিন্ন ভেষজ খাবারের গুণাগুণ এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে খাই এমন কিছু খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
এর পাশাপাশি নিবন্ধটি পড়লে আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তরও পাবেন। প্রতিদিন আমাদের কি কি খাবার খাওয়া উচিত সেটা জানার জন্য কোন খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে সবচেয়ে ভালো জানতে পারবেন। বিভিন্ন অনলাইন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এখানে উপস্থাপনের চেষ্টা করছি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় নি।
বিভিন্ন খাবারের উপকারিতা
এর আগে আমরা অনেকগুলো লেখা প্রকাশ করেছিলাম, বিভিন্ন খাবারের উপকারিতা নিয়ে। এখনে সেই লেখাগুলোর লিংক যুক্ত করা আছে। আপনি চাইলে যেকোন লেখায় ক্লিক করে সেই লেখাটি পড়তে পারেন। তাহলে ঐ খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- বেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সয়া সসের উপকারিতা
- আদার উপকারিতা ও অপকারিতা
- লেবুর উপকারিতা
- মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা
- রসুনের উপকারিতা
- ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
- ময়দার উপকারিতা ও অপকারিতা
- মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা
- গর্ভবতী মায়েদের খাবার তালিকা
- চিচিংগা রান্নার রেসিপি, উপকারিতা, চাষ পদ্ধতি
ঐষধি গাছের গুণাগুণ
যেসব গাছের এক বা, একাধিক অংশ মানুষের ঐষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায় সেগুলোকে ঐষধি গাছ বা, Medicinal Herbs বলে। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্নরকম ঐষধি গাছের অভাব নেই। এগুলোর গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা থাকলে এর থেকে উপকৃত হওয়া যায়। এরকম কিছু গাছ সম্পর্কে আগে প্রকাশিত লেখাগুলো পড়ুন নিচের লিংক থেকে-
খাদ্য ও পুষ্টি তালিকা
আমাদের শরীরের চাহিদা পূরণের জন্য কিছু মৌলিক খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই মৌলিক খাদ্যগুলোকে সাধারণত ৪ ভাগে বা, ৩ ভাগ করা হয়। যথাঃ দেহ গঠনকারী উপাদান প্রটিন, শক্তি প্রদানকারি শর্করা, এবং রোগ প্রতিরোধকারী ভিটামিন। এছাড়া শিশুদের চাহিদা পূরণে দুধের কোন বিকল্প নেই।
নিচের খাদ্যতালিকা অনুসরণ করলে আশা করা যায় আপনার সব চাহিদাই যথাযথভাবে পূরণ হবে। আমাদের সবার উচিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করা। এর জন্য নিচের তালিকাই অনুসরণ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনি চাইলে এই তালিকা বা, অন্য যেকোন তালিকা অনুসরণ করতে পারেন। আরো ভালো হয়, যদি সারাদিনে নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করেন।
সকালে
১। খাদ্যশস্য | আটার রুটি |
২। মাছ-মাংস | ডিম |
৩। শাক-সবজি | আলু ভাজি |
৪। দুধ ও দুগ্ধজাত | পনির/মিষ্টি/১ কাপ দুধ/ দুধ মিশ্রিত চা |
দুপুরে
১। খাদ্যশস্য | ভাত |
২। মাছ-মাংস | মাছের তরকারি |
৩। শাক-সবজি | পুঁইশাক/পালংশাক |
৪। দুধ ও দুগ্ধজাত | দই/পায়েস |
রাতে
১। খাদ্যশস্য | ভাত/রুটি |
২। মাছ-মাংস | মাংস |
৩। শাক-সবজি | নিরামিষ |
৪। দুধ ও দুগ্ধজাত | দুধ/মিষ্টি |
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার তালিকা
কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ
খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কী কী?
খাদ্যের উপাদান ৬ টি। এগুলো হচ্ছে- শর্করা, প্রোটিন, স্নেহপদার্থ, খাদ্যপ্রাণ, খনিজ লবণ এবং পানি। বিভিন্ন খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পুরো লেখাটি পড়ুন।
আমিষ জাতীয় খাদ্য কাকে বলে?
কার্বন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, এবং নাইট্রোজেন দিয়ে গঠিত যে সকল খাদ্য উপাদান জীবদেহের বৃদ্ধি এবং ক্ষয় পূরণ করে তাদেরকে আমিষ বা, প্রোটিন বলে। এতে সালফার, ফরফরাস ও আয়রণও থাকে। এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান।
ভিটামিন জাতীয় খাবার কি কি?
বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। এগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এর আরো অনেক উপকারিতা আছে। তাই, আমাদের উচিত বেশী বেশী ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা। এরকম কিছু খাবার হচ্ছে- মিষ্টি আলু, বাধাকপি, ব্রকলি, আম, টম্যাটো, মিষ্টি কুমড়া, পেপে ইত্যাদি।
কোন খাদ্য থেকে বেশি শক্তি পাওয়া যায়?
সব খাবার থেকেই শক্তি পাওয়া যায়। মূলত শর্করা হচ্ছে, শক্তির প্রধান উৎস। বেশী পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার খেলে মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া এবং শারিরিক পরিশ্রম করাটা জরুরি। এছাড়া ভিটামিন জাতীয় খাবার আমাদে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শক্তিও জোগায়।
