বিদআত কী বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 

1

“বিদআত” আমাদের সমাজে একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। বিদআত কী? বিদআত কাকে বলে? এবং বিদআতের পরিনাম কী? এই নিয়ে রয়েছে আমাদের মধ্যে নানান দ্বন্দ্ব এবং বাকবিতন্ড। যা নিয়ে আমাদের সমাজ আজ  দুটি শ্রেণী বিভক্ত হয়ে গেছে।  কেউ বলেন বিদআত মানেই খারাপ। আবার কেউ যুক্তি দিয়ে দেখাতে চান বিদআত ভালো মন্দ দুটোই। তাই আসুন দেখি কুরআন হাদিসের আলোকে বিদআত আসলেই কতটুকু ভালো এবং কতটুকু মন্দ।

বিদআত কাকে বলে 

বিদআত মূলত আরবি একটি শব্দ। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় নতুন সৃষ্টি বা আবিষ্কার, যা আগে ছিলো না এখন নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। আমরা যখন বিদআত শব্দটি শরিয়াতের পরিভাষায় জানার চেষ্টা করব, তখন এর অর্থ দাঁড়াবে যে, দ্বীন ইসলামের মধ্যে এমন নতুন কোনো কাজ কিংবা নতুন কোনো ইবাদত, অথবা সওয়াব ও নেকীর উদ্দেশ্যে করা এমন কোনো আমল আবিষ্কার করা যা আগে দ্বীন ইসলামে ছিলো না। কিংবা এর সমর্থনেও কোনো দলিল পাওয়া যায় না।

শুধু তাইনয় এমন কোনো ইবাদত কিংবা এমন আমল যার সমর্থনে কুরআন ও সহিহ সুন্নাহ ও হাদিসে কিছু পাওয়া যায় না। সেই ইবাদত কিংবা সেইসব ইবাদতের সমষ্টিকে বলা হয় বিদআত। মোট কথা ইসলামের নামে ইসলামের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করা মানেই বিদআত।

আমরা বিদআত সম্পর্কে যদি আরো একটু পরিষ্কার হই, তাহলে বলতে হবে, বিদআত হচ্ছে এমন আমল – যে আমল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেননি। এমনকি তাঁর পরবর্তীতে তাঁর সাহাবীগণ বাঃ কিংবা তাবেয়ী বা তবেতাবেয়ী (রহ.) গণ ও করেননি। একইসাথে এমন আমল করা যা হাদিস ও সুন্নাহ বিরোধী। সেইসব ইবাদত বা আমলকে বলা হয় বিদআত।

তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার যে, ইসলামে দুনিয়াবী কোনো বিষয়বস্তুকে বিদআতের অন্তর্ভূক্ত করে না বা দুনিয়াবী কোনো কিছুর জন্য বিদআত শব্দটি ব্যহার্য্য নয়। আমাদের মুসলমানদের মধ্যে একটি শ্রেণী রয়েছে, যারা বিদআতকে দুনিয়াবী বিষয়বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত করেন। কিন্তু বিদআত মানে নতুন আবিষ্কার হলেও, তা শুধুমাত্র দ্বীন ইসলামের ইবাদত বন্দেগী, ঈমান, আমল, আকিদা ইত্যাদির জন্য প্রযোজ্য হবে। 

এইসব দ্বীনি বিষয় ছাড়া দুনিয়াবী অন্যান্য কোনো ক্ষেত্রেই বিদআত শব্দটি সংশ্লিষ্ট নয়। যেমন আমাদের পৃথিবীতে প্রতিদিনই নতুন নতুন অনেক কিছুই তৈরি কিংবা আবিষ্কার হচ্ছে। যা আমরা আগে দেখিনি কিংবা আগে ছিলো না। যেমন বৈদ্যুতিক যাবতীয় জিনিস, পাখা, মোবাইল, গাড়ি, উড়োজাহাজ ইত্যাদি।  সুতরাং বিদআতের সহজ বাংলা করতে গেলে দুনিয়াবী এইসব বিষয়কেও বিদআত বলতে হবে।

অথচ এইসব নতুন সৃষ্টি বা আবিষ্কারকে ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে বিদআত বলার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এইসব সৃষ্টি আমাদের ইবাদতের অংশ নয়। আর বিদআত শব্দটি সরাসরি রাসূল (সা.) ই উচ্চারণ করেছেন এবং বিদআত সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। অতএব রাসূল (সা.) কোন দৃষ্টিকোণ থেকে বিদআত শব্দটি আমাদের জানিয়েছেন সেটিই আমাদের বিবেচ্য বিষয়।

বিদআত সম্পর্কে যতগুলো হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তার সবই হচ্ছে ঈমান আমল এবং আকিদা সম্পর্কিত। যা আমরা পরবর্তীতে স্পষ্ট করে জানতে পারব। অতএব দুনিয়াবী কোনো বিষয়ই কখ‌নো বিদআত হতে পারে না। যা আমাদের সুফি সুন্নিরা বুঝে বসে আছেন। এই শ্রেণীর মুসলমানরা পৃথিবীর যাবতীয় বিষয়কে বিদআতর অন্তর্ভূক্ত করেছেন। যা বিদআতের মূল ধারণার পরিপন্থি।

একইসাথে অনেকে ইসলামের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা ইবাদতের সহযোগী বিষয়কেও বিদআতের অন্তর্ভূক্ত করেন। যা কখনোই সঠিক নয়।  যেমন ইবাদতের জন্য কিংবা ইবাদতের সহযোগী হিসাবে মসজিদ পাকা করা, মসজিদে লাইট, ফ্যান, এসি লাগানো। কিংবা দ্বীনি জ্ঞানার্জনের জন্য মক্তব,  মাদ্রাসা ইত্যাদি স্থাপন করা আক্ষরিক ও শাব্দিক অর্থে বিদআত হলেও। তা ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এবং রাসূল (সা.) এর নির্দেশিত দিকনির্দেশনার ভিত্তিতে বিদআত নয়।

কেননা এইসব বিষয় জীবন জীবিকা এবং জীবনের মানন্নোয়নের সাথে জড়িত। এইসব দ্বারা দ্বীন ইসলামের ঈমান, আকিদা, ইবাদত, আমলের মধ্যে কোনো নতুনত্ব কিংবা কমবেশি অথবা মূল ইবাদতে কোনো তারতম্য সৃষ্টি হয়নি। সুতরাং আধুনিক যুগের মোবাইল, রাস্তাঘাট, কম্পিউটার, ইত্যাদি কোনো কিছুই ইসলামী শরিয়তের বিদআতের অন্তর্ভূক্ত নয়।

বরং যেসব ইবাদত বা আমলে কম বেশী করা হয়, অথবা যে ইবাদত বা আমল পূর্বে ছিলো না কিন্তু নতুন করে করা হয়। তাহলে ঐসব ইবাদত বা আমল অবশ্যই ইসলামের দৃষ্টিতে বিদআত বলে গণ্য হবে। যেমন মাগরিবের তিন রাকাত সালাত কেউ চাইলে চার রাকাত পড়তে পারবে না। পড়লে তা ইবাদতে বৃদ্ধির কারণে বিদআত হবে। আবার কেউ যোহরের চার রাকাত ফরজ সালাত চাইলে তিন রাকাত আদায় করতে পারবে না। করলে তা হবে বিদআত।

অনুরূপভাবে ইসলামে সহীহ্ শুদ্ধ ভাবে রাসূল (সা.) এর নির্দেশিত মুসলমানদের জন্য ঈদ হচ্ছে দুটি, এখন কেউ যদি আরো একটি বাড়িয়ে অন্য কোনো দিন কে ঈদ উদযাপন করে, কিংবা দুই ঈদের চেয়ে সেরা ঈদ মনে করে তাহলে তা হবে বিদআত। কেননা রাসূলের নির্দেশ যেখানে দুটি ঈদ পালন করার। এবং তাঁর সাহাবীদের, তাবেয়ীদের ও তবেতাবেয়ীদের আমল হচ্ছে দুটি ঈদের। সেখানে সওয়াবের নিয়তে নেকীর আশায় কেউ যদি ইসলামে আরেকটি ঈদের সূচনা করে। তাহলে তা হবে সুস্পষ্ট বিদআত।

অতএব দুনিয়াবী কোনো বিষয়বস্তু ছাড়া আখিরাতের ঈমান, আমল আকিদা সম্পর্কিত যেকোনো ইবাদতে নতুনত্ব বা কমবেশি করাই হচ্ছে বিদআত।

এই সম্পর্কে রাসূলের সুস্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে, “(হে মুসলমানগণ) তোমরা (দ্বীন ইসলামের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত (বিদআত) কর্মসমূহ (ঈমান, আকিদা, আমল) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী) অনুরূপভাবে সহীহ মুসলিমের একটি হাদিসের বর্ণনায় রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কাজ (কোনো আমল, ইবাদত ইত্যাদি) করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ (অর্থাৎ রাসূল এবং তাঁর সাহাবীদের থেকে পালনের কোনো নজির) নেই, তা বর্জনীয় (অর্থাৎ কখনোই এমন ঈমান, আকিদা, ইবাদত, আমল ইত্যাদি করা যাবে না) ।’

সুতরাং বিদআত হলো এমন ঈমান, আকিদা, ইবাদত, আমল ইত্যাদির বিষয়, যা রাসূল (সা.) এবং তাঁর পরবর্তী সাহাবা, তাবেয়ী, তবেতাবেয়ীগণ (রহ.) করেননি। 

বিদআত কত প্রকার ও কি কি

ইসলামে রাসূল (সা.) পরবর্তী কিংবা তাঁর নির্দেশনার বাইরে গিয়ে ঈমান, আমল, আকিদার ক্ষেত্রে নতুন কোনো ধারণা বা ইবাদত কিংবা নেকীর উদ্দেশ্যে করা আমলের ভিত্তিতে বিদআতকে দুইভাগে ভাগ করা হয়।

১) নতুন বিশ্বাসের ভিত্তিতে করা বিদআত

২) নতুন ইবাদতের ভিত্তিতে করা আমলের বিদআত

নতুন বিশ্বাসের ভিত্তিতে করা বিদআত

রাসূল (সা.) ইসলামকে যে ঈমান আকিদার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই ঈমান আকিদার বাইরে গিয়ে নিজস্ব বা বাতিল কোনো ঈমান আকিদা পোষণ করা হচ্ছে নতুন বিশ্বাসের ভিত্তিতে বিদআত। যেমন ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে কাদরীয়া, যাহমীয়া, মুতাজিলা, কাদিয়ানি, শিয়া ইত্যাদি নতুন নতুন যেসব মতবাদ সৃষ্টি বা উৎপত্তি হয়েছে, তাকে বলা হয় নতুন বিশ্বাসের ভিত্তিতে বিদআত। যা রাসূল (সা.) আনীত ধর্ম বিশ্বাসের পরিপন্থী। 

নতুন ইবাদতের ভিত্তিতে করা আমলের বিদআত

রাসূল (সা.) পরবর্তী নতুন এমন কোনো ইবাদত করা যা আল্লাহ, রাসূল (সা.) এবং তাঁর সাহাবীগণের দ্বারা স্বীকৃত নয়, তাকে বলা নতুন ইবাদতের ভিত্তিতে আমলের বিদআত। আবার এই নতুন ইবাদতের আমল কয়েক প্রকার হয়ে থাকে। 

  • সম্পূর্ণ নতুন এমন কোনো ইবাদত আবিষ্কার করা যা রাসূলুল্লাহ (সা.) পালন করেননি। যেমন নতুন কোনো সালাত (নামাজ), সিয়াম (রোজা), বা ঈদ (ঈদে মিলাদুন্নবী)। যা আগে কখ‌নো ছিলো এবং কেউ পালন করেনি। কিন্তু এখন (নেকীর আশায়)  নতুন করে তৈরি করে পালন করা। 
  • ইসলামী শরীয়ত সম্মত কোনো ইবাদতকে নিজেদের ইচ্ছা কিংবা সুবিধামতো নতুন করে হ্রাস বৃদ্ধি বা কম বেশি করা। যেমন চার রাকাত ফরজ সালাত বা নামাজ এক রাকাত বাড়িয়ে কমিয়ে আদায় করা।
  • ইসলামী শরীয়ত সম্মত কোনো ইবাদতকে নতুন কোনো বিদআতী কিংবা নিজস্ব পদ্ধতিতে পালন করা। যেমন রাসূল (সা.) ইসলামে যেসব দোয়া জিকির ইত্যাদির শিক্ষা যেমন দিয়েছেন তা সেই পদ্ধতিতে পালন না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে পালন করা। অর্থাৎ যে দোয়া কালাম নিচুস্বরে পড়ার কথা। সেই দোয়া কালাম দলগতভাবে উচ্চস্বরে পাঠ করা। 

কিংবা জিকিরের নামে নতুন নতুন দোয়া চালু করা। কালেমাকে নিজেদের ইচ্ছামত ভেঙে ভেঙে দলগত ভাবে জিকির করা (যা রাসূল (সা.) এর সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত নয়)। একদিনে কুরআন খতম করা এবং এর জন্য উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহার করা ইত্যাদি।

বিদআতের পরিচয়

আমাদের উপমহাদেশের অধিকাংশ মুসলমান বিদআত কী, বিদআতের পরিচয়, বিদআতের ভয়াবহতা ইত্যাদি সম্পর্কে কোনো জ্ঞান রাখে না। তারা জানেই না ইসলামে বিদআত নামের কিছু আছে! অথবা বিদআত সম্পর্কে জানলেও, বিদআত যে খারাপ কিছু সেই সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই।

তাই আমরা এই পর্যায়ে বিভিন্ন হাদিস থেকে বিদআতের পরিচয় সম্পর্কে ধারণা নিব ইনশা আল্লাহ।

এক‌টি হাদিস আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

 

আরেকটি হাদিসেও হযরত মা আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

অর্থাৎ দ্বীন ইসলামের মধ্যে কেউ যদি (ঈমান, আমল, আকিদায়) নতুন এমন কিছু উদ্ভাবন করল, যা আমাদের ইসলামে মধ্যে নেই তা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবে। একইভাবে কেউ এমন কিছু (ইবাদত বন্দেগী) আমল করল, যা রাসূল এবং তাঁর সাহাবীদের কতৃক নির্দেশিত নয়। তাহলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না বরং তা পরিত্যাজ্য।

একইভাবে আরেকটি হাদিস যা জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হামদ ও ছালাতের পর বলেন,

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

 

অর্থাৎ পবিত্র কুরআনের বাণী এবং রাসূল (সা.) এর হেদায়েত হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ হেদায়েত। একইভাবে দ্বীন ইসলামের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করা হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম কাজ। আর দ্বীনের মধ্যে নতুন করা নিকৃষ্টতম কাজ এই জন্য যে, দ্বীন ইসলামকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সা.) পরিপূর্ণ করেই প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। সুতরাং রাসূল (সা.) পরবর্তী ইসলামে নতুন করে কোনো কিছুই করার প্রয়োজন নেই।

কেননা আল্লাহ রাসূল (সা.) কে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন দ্বীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এবং তিনি তাঁর দায়িত্ব পরিপূর্ণ করেই এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। এখন যদি কেউ তাঁর পরবর্তীতে ইসলামে নতুন করে কোনো কিছু যোগ করে তার অর্থ হবে, রাসূল (সা.) তাঁর দায়িত্ব পরিপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ করে যাননি। সুতরাং তাঁর রিসালাত প্রশ্নবিদ্ধ! যা কখনোই ইসলামী শরিয়তে গ্রহনযোগ্য নয়। এই কারণে দ্বীন ইসলামে আমল কোনো নতুনত্ব আনা যাবে না।

অপর আরেকটি হাদিস যা হযরত ইরবায বিন সারিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সলাত আদায় করালেন। অতঃপর আমাদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে গেলেন। আমাদের উদ্দেশ্যে এমন মর্মস্পর্শী নাসীহাত করলেন যাতে আমাদের চোখ গড়িয়ে পানি বইতে লাগল। অন্তরে ভয় সৃষ্টি হল মনে হচ্ছিল বুঝি উপদেশ দানকারীর যেন জীবনের এটাই শেষ উপদেশ। এক ব্যক্তি আবেদন করল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদেরকে আরো কিছু উপদেশ দিন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ইসলামে এমন কোনো আমল (সওয়াবের উদ্দেশ্যে করা কোনো ইবাদত) ইসলামে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় যা রাসূল (সা.) এবং তাঁর খোলাফায়ে রাশেদ্বীন (রা.) করেননি। সুতরাং এমন ইবাদত (বা নেকীর উদ্দেশ্যে কোনো আমল) করা যা আল্লাহর রাসূল (সা.) এবং তাঁর খোলাফায়ে রাশেদ্বীন করেননি তা স্পষ্টত বিদআত। আর বিদআত মানেই গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতা। আর দ্বীন ইসলাম থেকে পথভ্রষ্ট হওয়া মানেই জাহান্নামের দিকে ধাবিত হওয়া।

ইসলাম প্রসারে পদ্ধতি উদ্ভাবন

আমাদের উপমহাদেশের একদল মুসলমান রয়েছে যারা নিজেদের সুফি সুন্নি বা আহলে সুন্নি নামে পরিচয় দেয়। এরা কখনোই হাদিসের বর্ণিত বিদআতকে স্বীকার করে না। বরং তারা বিদআতকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। যার একটি ভাগ তারা দাবি করে বিদআতে হাসানা যা করা ভালো। আরেকটিকে নাম দিয়েছে বিদআতে সাইয়্যা। যা হচ্ছে মন্দ বিদআত।

অথচ রাসূল (সা.) কোনো হাদিস দ্বারাই বিদআতকে দুই ভাগে ভাগ করেননি। কিংবা উনি কোথাও বিদআতকে ভালো কিংবা মন্দ নামে অবহিত করেননি। একইসাথে তিনি যেখানেই বিদআতের কথা উল্লেখ করেছেন সেখানেই একে খারাপ বলেই এর থেকে মুসলিম উম্মাহকে দূরে থাকার পরামর্শ এবং নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

সুতরাং বিদআতে হাসানা নামে একদল মুসলমান যাবতীয় বিদআত করেও তা সওয়াবের কাজ বলে মনে করছেন। আর এই কাজকে নিজেদের পক্ষে আনার জন্য কিছু হাদিসকে তারা যুক্তি হিসাবে পেশ করে। তার মধ্যে একটি হাদিস হলো যা আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

একইভাবে আরেকটি হাদীস দ্বারাও বিদআতে হাসানার দলিল দেওয়া হয় তাহলো –

 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

 

উপরোক্ত হাদিসের মূল উদ্দেশ্য হলো, কোনো মুমিন মুসলমান যদি অন্য কাউকে সৎ পথের দিকে আহবান করলে তার নেকী হবে। একইভাবে খারাপ পথে আহবান করলেও গুনাহগার হবে। অনুরূপভাবে কেউ ইসলামে কোনো কিছুতে ভালো পদ্ধতি আবিষ্কার করলো সে তার নেকী পাবে। এখানে এটা সুস্পষ্ট যে রাসূল (সা.) ভালো পদ্ধতি বলতে নতুন ঈমান, আমল, আকিদা ইত্যাদি কিন্তু বুঝায়নি।

আমরা ইতিমধ্যে বিদআত সম্পর্কিত অন্যান্য যে হাদিস গুলো পেয়েছি এবং জেনেছি। তাতে এটা স্পষ্ট ছিলো যে রাসূল (সা.) বিদআত শব্দ দ্বারা ঈমান আমল ইবাদত ইত্যাদিকেই ইংগিত করেছেন। একইসাথে বিদআত শব্দ দ্বারা এইসব কাজকে খারাপ হিসাবেই উপস্থাপন করেছেন।

কিন্তু যারা বিদআতে হাসানার নাম দিয়ে বিদআতকে ভালো বলে সম্বোধন করতে চান, তারা উপরোক্ত এই দুটি হাদিসকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই দুই হাদিসের কোথাও ঈমান, আমল, আকিদা, ইবাদত ইত্যাদির কথা যেমন উল্লেখ নেই। একইভাবে এই দুই হাদিসের কোথাও বিদআত শব্দটিও নেই।

সুতরাং এই দুটি হাদিস কখনোই বিদআতের দলিল কিংবা এই হাদিস দিয়ে বিদআত করা যাবে বা বিদআত করার জন্য উৎসাহিত করা যাবে না। তাহলে এই হাদিসের উদ্দেশ্য কী? রাসূল (সা.) কী কারণে এবং কী উদ্দেশ্য নিয়ে এই কথা বলেছেন? 

এখানে রাসূল (সা.) খুবই সহজ করে বলে দিয়েছেন যে, কোনো ব্যক্তি যদি সৎ কাজের দিকে আহবান করে তাহলে সেই সৎ কাজ যারা যারা করবে তাদের সমান নেকীর ভাগিদার যিনি ঐ সৎ কাজ বা ভালো কাজটি শুরু করেছিলেন। অর্থাৎ এখানে মূল উদ্দেশ্য হলো সৎ এবং ভালো কাজ। পৃথিবীতে অসংখ্য অগণিত ভালো কাজ রয়েছে। এইসব ভালো কাজগুলো কেউ না কেউ শুরু করেছিলেন।

এখানে ভালো কাজ বলতে মানুষের উপকার। যেসব কাজের মাধ্যমে মানুষের উপকার হয়, কষ্ট লাঘব হয়,  সেইসব কাজ গুলো যারাই শুরু করেছেন কিংবা ঐ পথ দেখিয়েছেন। তারা আজীবন সেখান থেকে নেকী পেতে থাকবে। আর এটা পাওয়ার একটাই শর্ত থাকবে। সেটা হচ্ছে ঈমান। অর্থাৎ কেউ ঈমান এনে ভালো কাজ করবে এবং সেই ভালো কাজ গুলো থেকে অন্যান্যরাও উপকৃত হবে কিংবা অন্যান্যরাও তার দেখানো পথে কাজ করে যাবে। তাহলে প্রথম ভালো কাজের উদ্যোগকারী প্রতিনিয়তই নেকীর ভাগিদার হবেন।  

একইভাবে অন্য হাদিসে এসেছে, ইসলামে কোনো ব্যক্তি ভালো পদ্ধতির উদ্ভাবন কিংবা প্রচলন করলে, সেই পদ্ধতি যারা যারা অনুসরণ করবে তাদের সমান সওয়াব প্রথম ব্যক্তি পাবে। যদিও অন্যান্যদের সওয়াবের কমতি হবেনা। সুতরাং এখানে বলা হচ্ছে ভালো পদ্ধতি। অর্থাৎ ইসলামে এমন কিছু আছে যা আরও মোডিফাই বা উন্নত কিংবা সহজতর করলে সকলের উপকার হয়। 

এখানে কখনোই ঈমান, আমল, আকিদা, ইবাদত ইত্যাদি হবে না। কেননা এইসব বিষয় রাসূল (সা.) পরবর্তীতে কখনোই কমবেশি কিংবা সংযোজন বিয়োজন হবেনা। এই ব্যাপারে সরাসরি কুরআন এবং হাদিসের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অর্থাৎ ঈমান, আমল, আকিদার বিষয়ে কখনোই নতুনত্ব কিংবা পরিবর্তন, পরিবর্ধন ইত্যাদি করা যাবেনা। যা আমরা বিদআত সম্পর্কিত হাদিসে স্পষ্ট দেখেছি। এছাড়াও পবিত্র কুরআনেও রাসূলের দিকনির্দেশনা ছাড়া কোনো ঈমান আমল গ্রহণযোগ্য নয় বলে আল্লাহ হুশিয়ারি দিয়েছেন।

তাহলে এইসব হাদিসের অর্থ কী? কোন ক্ষেত্রে এই হাদিস সমূহ ব্যবহৃত হবে। এর উত্তর হলো এমন কাজ শুরু করা যা মানুষের উপকার হয়। একইভাবে ইসলামের প্রচার প্রসারের এমন কাজ করা যা দ্বারা ইসলামের উপকার হয়। এই জন্যই হাদিসে বলা হয়েছে, যে ইসলামে ভালো পদ্ধতির সূচনা করল। অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে তার উপকারে ভালো কাজের সূচনা করা।

যেমন সময়ের সাথে সাথে আধুনিক বিশ্বে নানান পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সাথে ইসলামের প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে আধুনিকতা আনয়নও হচ্ছে দিনদিন। আগে ছিলো মাটির মসজিদ ছিলো, এখন পাকা মসজিদ হলো। পবিত্র কুরআন ছিলো মানুষের মুখে মুখে আর অন্তরে এবং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সূরা সমূহ লিপিবদ্ধ হিসাবে। সেখানে কুরআনকে একটি গ্রন্থে একত্রে লিপিবদ্ধ করা ইলো।

আগে রাসূলের হাদিস ও সুন্নাহ মানুষ জানতো এবং অধ্যায়ন করতো একক ব্যক্তির কাছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন মুহাদ্দিসগণ নিজস্ব তত্বাবধানে নিজের ঘরে বা আস্তানায় হাদিসের দরস দিতেন। এরপর মুহাদ্দিসগণ নিজেরাই কিতাব লিখে হাদিসের প্রচার প্রসার শুরু করেন। এভাবে ধীরে ধীরে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়ে বর্তমানে মাদ্রাসায় ব্যাপকহারে কুরআন হাদিসের জ্ঞান চর্চা হচ্ছে।

এছাড়াও বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে ইন্টারনেট অনলাইনেও কুরআন হাদিসের চর্চা এবং প্রশিক্ষণ চলছে। এগুলো সবই হচ্ছে দ্বীন ইসলাম প্রচার প্রসারে নিত্যনতুন পদ্ধতি। যা অতীতে ছিলো না বর্তমানে কিন্তু হচ্ছে। এই যে কুরআন হাদিসের চর্চার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি যিনি উদ্ভাবন করেছেন, তিনি তার সওয়াব এবং তাকে যারা যারা অনুসরণ করছেন তাদের সওয়াব তাঁর আমলনামায় যুক্ত হবে।

এইজাতীয় দ্বীন ইসলামের কল্যাণে যা কিছুই হবে তার সব সওয়াব এবং যারাই উপকৃত হবেন, তাদের সওয়াবসহ প্রথম আবিষ্কারকের আমলনামায় যুক্ত হবে। যেমন এই জাতীয় আরও উদাহরণ হলো, আযান এবং ওয়াজ মাহফিলের জন্য মাইক ব্যবহার  সহ আধুনিক জীবনে মানুষের প্রয়োজনে ইবাদত করার সহযোগী হিসাবে যা করা হচ্ছে তা ই ইসলামে নতুন পদ্ধতি।

এইসকল নতুন পদ্ধতি কোনো আমল বা ইবাদত নয়। বরং সবই হচ্ছে ইবাদতের জন্য। তাই নেকীর উদ্দেশ্যে যেকোনো আমল যা ইসলাম স্বীকৃত নয় তা ই বিদআত। এইকারণে এই হাদীস দ্বারা নতুন নতুন সুন্দর আমলের দলিল হতে পারে না। যারা বিদআতে হাসানাহর কথা বলে থাকেন তারা এই হাদীস দিয়েই দলিল প্রমাণ করতে চান যে এই হাদিস দ্বারা রাসূল (সা.) নতুন নতুন আমলের কথা বলেছেন। কিন্তু এটা কখনোই তা নয়। 

বিদআতের পরিনাম

দ্বীন ইসলামের মধ্যে ধর্মীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির  শয়তানের অন্যতম একটি হাতিয়ার হচ্ছে বিদআত। এই বিদআতের এমন গুণ রয়েছে, যা দ্বারা সুন্দর সহজ এবং প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ পর্যন্ত আজ ইসলাম থেকে উধাও হয়ে গেছে। আর তাই যারা বিদআত সৃষ্টি করে এবং তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তাদের ওপর মহান আল্লাহ পাকের লানত বর্ষিত হয়। এইকারণে  বিদআতের শাস্তি হবে খুবই ভয়ানক ও ভয়াবহ। নিচে বিদআতের এবং বিদআতীদের বিভিন্ন শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

বিদআতের সহযোগীদের ওপর আল্লাহর লানত

আলী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

 

উপরোক্ত হাদিস থেকে এটা স্পষ্ট যে অন্যান্য পাপের সাথে বিদআতীও একটি জঘন্য পাপ। যে পাপের কারণে বিদআতীদেরও আল্লাহ অভিশাপ দিচ্ছেন। 

বিদআত আল্লাহর কাছে অগ্রহণযোগ্য 

আয়েশা (রা.) বর্ণিত রাসূল (সা.) এর একটি হাদিস,

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

অর্থাৎ রাসূলের অনুসরণ অনুকরণ ব্যতিরেকে বিদআতের মাধ্যমে যত ভালো আমলই করা হোক না কেন, তা আল্লাহর কাছে সরাসরি পরিত্যাজ্য। 

বিদআতীর তওবা অগ্রহনযোগ্য

আল্লাহ দুনিয়ায় থাকা অবস্থায় মৃত্যুর যন্ত্রণার আগ পর্যন্ত যেকোনো মানুষের তওবা কবুল করবেন। কিন্তু যে ব্যক্তি বিদআতী তার তওবা ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে বিদআত ছেড়ে দেয়।

আনাস ইবনু মালেক (রা.) বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

বিদআতীরা হাওযে কাউছারের পানি থেকে বঞ্চিত 

যারা সুন্নাত বর্জন করে বিদআত করে বিদআতী পরিচয় নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে। তাদের আল্লাহর রাসূল কিয়ামতের মাঠে হাউজে কাউছার থেকে পানি পান করাবেন না। এমনকি তাদেরকে দেখামাত্র দূর দূর করে তাড়িয়ে দিবেন। 

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি  নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি যে,

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

 

 

 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

 

সুতরাং যারা বিদআত করে বিদআতী হবে, তারা কখনোই হাউজে কাউছারের পানি পান করতে পারবেন না। 

বিদআতীদের প্রতি ফেরেশতাসহ সকল থেকে  অভিশাপ প্রাপ্ত 

যারা মাদীনার মধ্যে কোনো প্রকার বিদআত করবে তাদের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাসহ সকলেই অভিশাপ দিতে থাকবে।

একটি হাদিসে আসেম (রা.) বলেন, আনাস (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

বিদআতীরা জান্নাত বঞ্চিত

যারা বিদআত করবে তারা সহজে জান্নাতে যেতে পারবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন 

বিদআত কী? বিদআতের ভয়াবহতা ও পরিনাম 
বিদআত কত প্রকার ও কি কি
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত থেকে বাঁচার উপায়
বিদআতের অপকারিতা
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত বই
Bid'ah
বিদআত কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত বিদআত
বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বিদআত কত প্রকার
বিদআতের তালিকা pdf
বিদআত pdf
বিদআত কিছু যুক্তি ও
বিদআত শব্দের অর্থ কী?
তিনটি বেদআত কি কি
ধর্মদ্রোহ কি কুফরী
বিদআত দুই প্রকার কি কি

 

উপরোক্ত হাদিসের অর্থ হচ্ছে, রাসূল (সা.) এর শিক্ষা ও সুন্নাহ থেকে সরে গিয়ে নিজেদের মনগড়া কিংবা ইবাদত আমল করলে তা কখনোই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।

 

বিদআতের পরিচয়

আজ উপমহাদেশের মুসলিমরা বিদআতের নামে ছাড়াছাড়ি এবং বাড়াবাড়ি করছে। যা কখনোই ইসলামে গ্রহনযোগ্য নয়। নিম্নে বিদআত নিয়ে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি গুলো দেওয়া হল। 

বাড়াবাড়ি

রাসূল (সা.) এবং তাঁর সাহাবী, তাবেয়ী, তবেতাবেয়ী যা করেননি তাই করেই বাড়াবাড়ি করছে। যেমনঃ মীলাদ, শবে বরাত, চল্লিশা, মুদ্দারের সামনে কুরআন পড়া, খতমে জালালী, খতমে ইউনুস, কুরআন খানি, ফাতিহা খানি, শবীনা খতম, দরুদে তাজ, দরুদে লাক্ষী, দু‘আয়ে গাঞ্জুল আরশ, কুম কুম ইয়া হাবীবা ওযীফা, উরস, কবরে চাদর দেয়া, কবর পাকা করা, কবর পূজা করা, কবরের উপর লেখা, তাতে ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা, সেখানে আগর বাতি-মোমবাতি জ্বালানো, সেখানে নযরানা পেশ করা, মুখে নিয়্যাতের গদ উচ্চারণ করা (নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া —– বলে), ফরজ সালাতের পর এবং  জানাযার সালাতের পর সস্মিলিতভাবে হাত তুলে দু‘আ করা প্রভৃতি। এগুলো এমন ‘আমাল যার মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তরীকা বিদ্যমান না থাকায় নিঃসন্দেহে বিদ’আত- যার পরিণাম জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু নয়।

ছাড়াছাড়ি

রাসূল (সা.) উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন এমন অনেক কিছুই আজ আমরা ছেড়ে দিয়েছি। যেমনঃ জানাজার সালাতে সূরা ফাতেহা পাঠ ছেড়ে দেওয়া। প্রতি ফরজ সালাতের পর দোয়া পাঠ করা (মুনাযাত নয়)। অসংখ্য হাদীসে এসেছে  রাসূল (সা.) ফরজ সালাতের পর বসে অনেক দোয়া পাঠ করতেন। কিন্তু এখন আমাদের সমাজে ফরজ সালাতের পর ইমামসহ সবাই মিলে মুনাযাত করি। যা কখনোই রাসূলের (সা.) সুন্নাহ নয়। একাকী অবস্থায় যেকোনো সালাতের পর যেকেউ মুনাযাত করে দোয়া চাইতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন প্রতি ফরজ সালাতের পর সবাই মিলে মুনাযাত নেই। এই মুনাযাতের ফলে হাদীসে আসা অসংখ্য দোয়া আজ আমরা কেউ পড়ি না। 

সর্বশেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, রাসূল (সা.) দ্বীন ইসলামের মধ্যে যেকোনো নতুন ঈমান আমল আকিদা সৃষ্টি করাকেই বিদআত বলে আখ্যায়িত করেছেন। সুতরাং ইসলামের কখনোই ঈমান আমল আকিদায় নতুনত্ব আনা যাবে না। শুধু তাইনয় বিদআত বলতে বিদআতে হাসানার নামে ভালো কিছু নেই। সকল বিদআতই মন্দ এবং পথভ্রষ্টতা। আর সকল পথভ্রষ্টতাই হলো জাহান্নাম। অতএব সর্বদা এমন আমল করতে হবে যাতে আমাদের ঈমান আমলে সর্বদা রাসূলের আদর্শ এবং অনুসরণ থাকে।

আপনি আরো যা পড়তে পারেন

 


Screenshot 3
বিজ্ঞাপনঃ বই কিনুন, বই পড়ুন

1

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী

Author: সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী জন্ম চট্টগ্রামে। জীবিকার প্রয়োজনে একসময় প্রবাসী ছিলেন। প্রবাসের সেই কঠিন সময়ে লেখেলেখির হাতেখড়ি। গল্প, কবিতা, সাহিত্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলা পত্রিকায়ও নিয়মিত কলাম লিখেছেন। প্রবাসের সেই চাকচিক্যের মায়া ত্যাগ করে মানুষের ভালোবাসার টানে দেশে এখন স্থায়ী বসবাস। বর্তমানে বেসরকারি চাকুরিজীবী। তাঁর ভালোলাগে বই পড়তে এবং পরিবারকে সময় দিতে।

নিচের লেখাগুলো আপনার পছন্দ হতে পারে

কবিতা আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ

আল কোরআনের প্রতীক আফছানা খানম অথৈ মা আমেনার গর্ভেতে জন্ম নিলো এক মহামানবের, নাম হলো তার মুহাম্মদ রাসুল আসলো ভবের

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় আফছানা খানম অথৈ ইমাম মাহাদী (আ:) আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কেয়ামতের

কবিতা দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ

দাজ্জাল আফছানা খানম অথৈ কেয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসবে নিজেকে খোদা বলে দাবি করবে, কাফের মুনাফিক যাবে তার দলে ঈমানদার মুমিন

গল্প হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনের গল্প আফছানা খানম অথৈ

জন্ম:হযরত মুহাম্মদ (সা:) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রে বনি হাশিম বংশে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার

Leave a Reply